১ম
হযরত উমর ফারুক (রা) ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। প্রজাবৎসল, জনদরদি এ. খলিফা জনগণের অবস্থা স্বয়ং অবগত হওয়ার জন্য রাতের বেলা ছদ্মবেশে মদিনা শহরে ঘুরে বেড়াতেন। জনসাধারণের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নতি বিধানে তিনি নিরলস কাজ করেছেন। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ তার অন্যতম অবদান। আমিরুল মুমেনিন হিসেবে তিনি সমধিক পরিচিত।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
একজন মহান পুরুষের মৃত্যুর পর তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে তাঁরই সফল উত্তরাধিকারীগণ ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। এদের মধ্যে জনাব 'ক' বয়স্কদের মধ্যে সবার আগে এই আদর্শ গ্রহণ করেছিলেন। জনাব 'ক' ছিলেন সম্পদশালী। তিনি তাঁর ধন-সম্পদ নতুন এই আদর্শ প্রচারে ব্যয় করেন। তাদের মতের অনুসারী অনেক ক্রীতদাসকে তাঁরা স্বীয় অর্থে মুক্ত করেন। বস্তুত, মহান পুরুষের মৃত্যুর পর 'ক' তার এই আদর্শ টিকিয়ে রাখেন।
সুলতান নাসিরউদ্দিন একজন মহান শাসক ছিলেন। ধর্মভীরু শাসক হলেও পরধর্মের প্রতি তিনি কখনই বিদ্বেষ পোষণ করতেন না। বরং খুবই সহনশীল ছিলেন। তিনি অমুসলিমদের উপর থেকে করের বোঝা কমিয়ে দিয়ে নানা রকম সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন আপোষহীন। তিনি খুলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ ও ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিলেন। তবে তার গৃহীত নীতি, তার বংশের পতনের জন্য দায়ী ছিল।
'ক' রাজ্যের ধর্মীয় নেতা মি. এন্থনি যখন জনসমক্ষে আসেন তখন সবাই অবাক। তিনিও তো তাদের মতো একজন সাধারণ মানুষ। অথচ একদল পুরোহিত বলে আসছিল যে তিনি মানুষ নন, বরং দেবতা। পুরোহিতদের বলা এসব কাহিনি যখন ধর্মীয় নেতার গোচরে আসে তখন তিনি তাদের কঠোর শাস্তি দেন। অতঃপর জনগণকে সাথে নিয়েই তিনি 'ক' রাজ্য প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখেন ।
ইসলামের এক ক্রান্তিকালে তিনি খিলাফতের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন। মহানবি (স)-এর অসমাপ্ত বাসনাসমূহকে বাস্তবে রূপদান করেন। যাকাত বিরোধী আন্দোলন ও ভণ্ডনবিদের অশুভ তৎপরতার ফলে আরব উপদ্বীপে প্রজ্বলিত বিদ্রোহকে নির্বাপিত করেন। ন্যায়সঙ্গতভাবে তিনি ছিলেন ইসলামের পরিত্রাণকর্তা।