১১ সংলাপ / খুদেগল্প
(ক)
সংস্কৃতি ও অপসংস্কৃতি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপরচনা কর।
অথবা,
(খ) 'একতাই বল' শিরোনামে একটি খুদে গল্প রচনা কর।
(ক) উত্তরঃ
সীমা : জানিস, মা-বাবার সঙ্গে এখন আর টিভি দেখা যায় না।
শান্ত : কেন, কী হয়েছে?
সীমা : আর বলিস না, যা সব দেখায় টিভিতে একবারে সেন্সর নেই।
শান্ত : বুঝেছি, তুই বাইরের চ্যানেলগুলোর কথা বলছিস; তো সেগুলো না দেখলেই তো পারিস।
সীমা : ধ্যাত, কী যে বলিস না, কত সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান হয় চ্যানেলগুলোতে।
শান্ত : তোর কথা একেবারে ফেলে দেয়া যায় না, কিন্তু আমাদের দেশের চ্যানেলগুলোতেও কিন্তু অনেক ভালো অনুষ্ঠান হয়।
সীমা : দূর, এখানকার আর্টিস্টরা সব সেকেলে পোশাক আর মেকআপে অভিনয় করে।
শান্ত : বিষয়টা তা নয়, ওগুলো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ; তাছাড়া সেগুলো দেখতেও বেশ ভালো ।
সীমা : তা ঠিক, কিন্তু আমাদের বয়সি ছেলেমেয়েরা ওগুলো ফলো করে না। তুই আমি কি করেছি, বল?
শান্ত : আমরাও আসলে পারিনি, কিন্তু আমাদের দেশের শিল্প-সাহিত্য, নাটক, সিনেমা, গান সত্যিই খুব ভালো রে।
সীমা : মাও তাই বলে, কিন্তু আমরা চাইলেই কি আমাদের মধ্য থেকে অপসংস্কৃতি দূর করতে পারব বল?
শান্ত : হয়তো পুরোটা পারব না, কিন্তু চেষ্টা করতে হবে দেশের সংস্কৃতিকে সব জায়গায় রিপ্রেজেন্ট করতে।
সীমা : হ্যা, দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও সংগঠন এ কাজের চেষ্টা করছে। আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি ভালো কিছু পাওয়া যাবে।
শান্ত : এভাবে চেষ্টা করতে করতেই একদিন সফল হবে তারা, হাত বন্ধ করে তো বসে থাকা যাবে না।
সীমা : এই রে ক্লাসের সময় হয়ে গেল, চল এখন ক্লাসে যাই।
শান্ত : হ্যা, চল।
(খ) উত্তরঃ
‘‘একতাই বল’’
“রিমি আজও তুই ঠিকমতো ভাত খাসনি”— বলেই মা বাইরে বেরিয়ে এলো। ততক্ষণে আমি কলেজ বাসে উঠে গিয়েছি। হাত নাড়িয়ে মাঝে বিদায় জানাচ্ছি। আর মা রাগ মেশানো হাসিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। বাসে বসে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প শুরু হলো। সারাদিনে কে করব সেসব প্ল্যান। মাধবী ওর নতুন ডায়েরিটা আমাদের দেখাল। বেশ অভিনব ডায়েরি; তালা দেওয়া যায় তাতে। আমরা সবাই সেটা নিয়ে নানারকম মজা করতে লাগলাম। লিজা নতুন একটা নোটবুক কিনেছে– এইচপি ব্যান্ডের। সেটা নিয়েও বেশ খানিকক্ষণ কথা হলো। আসলে কলেজ বাসই আমাদের সকল গল্পের কেন্দ্রবিন্দু। সারাদিন সবাই পড়াশোনা নিয়ে এত ব্যস্ত থাকি যে, কারো সঙ্গে কারো তেমন কোনো কথাই হয় না। মাঝে ৪৫ মিনিটের একটা ব্রেক থাকে। তখন সবাই হালকা খাবার-দাবার সেরে নিই। এ সময় আবার একটু আড্ডা হয়। আজ ব্রেকের সময় বিন্দুকে খুব উদাসভাবে বসে থাকতে দেখলাম। ভাবলাম, হয়তো বাড়ির কেউ ওকে কিছু বলেছে তাই মন খারাপ করে বসে আছে। দ্বিতীয় দিন আবার একই জায়গায় ওকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখলাম। কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম ব্যাপার কী? কিন্তু ও তেমন কিছু না বলেই উঠে গেল। রাতে পড়ার টেবিলে বসে চিন্তা করছি বিন্দুর কথা। পড়াশোনায় ও খুবই ভালো, তেমনি ভালো আচরণ। কলেজের শিক্ষকরাও ওকে খুব স্নেহ করেন। তাহলে কী হলো ওর? পরদিন দেখি আবার ওভাবে বসে আছে। এবার আমরা কয়েকজন মিলে ওর সমস্যা জানতে চাইলাম। আমাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল বিন্দু। তারপর যা বলল তাতে আমার রাগে শরীর কাঁপতে থাকল। বিন্দুর বাড়ি কলেজের কাছে হওয়ায় ও প্রতিদিন হেঁটেই যাতায়াত করে। কিছুদিন থেকে নাকি কলেজের সামনে বেশ কিছু বখাটে ছেলে ওকে ইভটিজিং করছে। বাড়িতে ও বলেছিল কিন্তু উল্টো ওকেই কথা শুনতে হয়েছে। আমরা সবাই সবটা শুনলাম,তারপর ওকে আজ ছুটির পর গেটের বাইরে যেতে নিষেধ করলাম। এর মধ্যে আমরা বসে একটা প্ল্যান করলাম। আর সবাইকে থাকতে বললাম। কারণ সংঘবদ্ধ না হলে প্ল্যানটি সফল করা সম্ভব নয়। ছুটি শেষ হতেই বিন্দুকে আমাদের প্ল্যানটি বললাম। প্রথমে ও ভয় পাচ্ছিল কিন্তু অনেককে দেখে সাহস পেল। পরিকল্পনামাফিক কলেজ গেট থেকে বেরিয়ে এগিয়ে গেল ও। বখাটেগুলোও ওকে দেখে এগিয়ে এলো। ঠিক এ সময়ে আমরা প্রত্যেকে মুখে রুমাল বেঁধে বখাটেগুলোর দিকে ঢিল ছুঁড়তে লাগলাম। ঢিল গিয়ে কারও মাথায়, কারও মুখে, কারও চোখে লাগলো। মারাত্মক আহত অবস্থায় বখাটেগুলো কোনোরকমে পালিয়ে প্রাণ বাঁচালো। রাস্তার দুপাশের মানুষজন আমাদের এ কাণ্ড দেখে অবাক হয়ে তাকিয়েছিল। কলেজের শিক্ষকরাও বেরিয়ে এসেছিলেন ততক্ষণে। তারপর পুরো ঘটনাটি শুনে তারা বাহবা দিয়েছিলেন আমাদের। আর আমরা সবাই মিলে বলেছিলাম হিপ! হিপ! হুররে...
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) নিরাপদ সড়ক চাই বিষয়ে দুজনের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর ।
অথবা,
(খ) "তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন? উদ্দীপকটি অনুসরণে একটি খুদে গল্প রচনা কর।
(ক) 'নিরাপদ সড়ক চাই' বিষয়ে দুজনের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর।
অথবা,
(খ) প্রদত্ত সংকেত অনুসরণে 'রক্তদানের পূণ্য' শিরোনামে একটি খুদেগল্প রচনা কর।
মহান শহিদ দিবসে শহিদ মিনারের পাদদেশে রক্তদান কর্মসূচি চলছে। শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে ডা. সাদমান সেখানে উপস্থিত হলেন ...
(ক) বই মেলা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
অথবা,
(খ) হারানো শিশু ও পথচারীর মাঝে একটি সংলাপ তৈরি কর।
(ক) ইন্টারনেটের সুফল ও কুফল নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কথোপকথন রচনা করো।
অথবা,
(খ) 'রক্তঝরা ফাগুন' শিরোনামে একটি খুদে গল্প লেখ ।