১১ সংলাপ / খুদেগল্প
(ক) ইন্টারনেটের সুফল ও কুফল নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কথোপকথন রচনা করো।
অথবা,
(খ) 'রক্তঝরা ফাগুন' শিরোনামে একটি খুদে গল্প লেখ ।
(ক) উত্তরঃ
অয়ন : তোর বাসায় ব্রডব্যান্ডের স্পিড কেমন?
অমি : ৫১২এম.বি.পি.এস. রেগুলার; মাঝে মাঝে বাড়ে। আমি খুব একটা ব্রডব্যান্ড ব্যবহার করি না। আমার ওয়াইম্যাক্স আছে।
অয়ন : তাহলে ভালো স্পিড পাস?
অমি : হ্যা দোস্ত; মাঝে মাঝে সারারাতই ফেসবুক ইউটিউব চলতে থাকে।
অয়ন : যদিও তোর ব্যক্তিগত ব্যাপার; তারপরও আমার কাছে বিষয়টা ভালো লাগল না। এভাবে ইন্টারনেটের ব্যবহার মোটেও ভালো না।
অমি : কেন, এভাবে ব্যবহার করলে সমস্যা কী?
অয়ন : সমস্যা আছে। তুই অনেক বেশি সময় ওখানে দিয়ে ফেলছিস। তাছাড়া তুই শিক্ষামূলক তেমন কিছুও করছিস না।
অমি : শিক্ষামূলক কাজ পরেও করা যাবে; কিন্তু এখন তো মজা করতে হবে।
অয়ন : না রে, ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার না হলে সেটা ক্ষতির কারণই হয়। তোর চোখের দিকে তাকিয়ে দেখেছিস? কালো দাগ পড়ে গেছে।
অমি : তাহলে কি ব্যবহার বন্ধ করে দেব?
অয়ন : তা তো বলিনি; গঠনমূলক কাজে বেশি ব্যবহার করবি।
অমি : বুঝিনি; একটু সহজ করে বল।
অয়ন : যেমন ধর সমস্ত বিশ্বের তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে; তুই এটা নিয়ে পড়তে পারিস। অথবা ভূমিকম্প নিয়ে পড়তে পারিস; যেহেতু আমরা এখন ভূমিকম্পের আতঙ্কের মধ্যে আছি।
অমি : এগুলো তো সারাদিনই টিভিতে দেখায়। এগুলো নিয়ে আবার পড়ার কী আছে?
অয়ন : আচ্ছা তোর যা জানতে ইচ্ছা করে তাই নিয়েই পড়িস। মোটকথা ভালো কিছু জানার জন্যে, শেখার জন্যে ইন্টারনেট ব্যবহার কর।
অমি : আর আনন্দের জন্যে কিছুই করবো না?
অয়ন : আনন্দের জন্যেও ব্যবহার করবি; তবে সেটা নিজের ক্ষতি না করে।
অমি : গলা তো শুকিয়ে গেল; চল একটু চা খাই।
অয়ন : চল, রফিক ভাইয়ের চা-টা ফাটাফাটি। ওখানে গিয়েই খাই।
(খ) উত্তরঃ
'রক্তঝরা ফাগুন'
প্রভাতফেরিতে মৌমিতা সবার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলালো- 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।' গাইতে গাইতে কণ্ঠ তার রুদ্ধ হয়ে আসছিল। ভীষণ কান্না পাচ্ছিল। বারবার মনে পড়ছিল চাচার কথা। যে চাচা ১৯৫২ সালের এই দিনে মিছিলে ছিলেন, গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছিল প্রত্যক্ষদর্শীরা। মৌমিতার বাবা গিয়েছিলেন নানা জায়গায়, খোঁজ পাননি। ভাষা আন্দোলনের উত্তাল দিনগুলোতে চাচাকে ধরে রাখা যায়নি ঘরে। দাদি তাকে হাত ধরে ঘরে নিয়ে আটকে রেখেছিলেন। তারপরও কীভাবে পালিয়ে গিয়েছিলেন মিছিলে। বাসায় যতক্ষণ থাকতেন কেবল মাতৃভাষার অধিকার আর মর্যাদা নিয়েই কথা বলতেন। ঢাকার কোথায় কোথায়, কার কার নেতৃত্বে মিছিল হচ্ছে তা বলতেন। পুলিশ কীভাবে তাদের খুঁজছে এবং পুলিশের চোখ এড়িয়ে কীভাবে তারা সংগঠিত হতেন সেসব কথা বিস্ময়কর মনে হতো। দাদা চাচাকে উৎসাহিত করতেন। মাতৃভাষার গুরুত্ব সম্পর্কে নানা দিক থেকে ধারণা দিয়ে উদ্বুদ্ধ করতেন। মৌমিতার বাবাও মাঝে মাঝে যোগ দিতেন, কিন্তু চাচার মতো অতটা সক্রিয় ছিলেন না। চাচা পুলিশের ধাওয়া খেয়েছেন, মার খেয়েছেন, হাজতবাসও করেছেন দু-একদিন। সে কারণে তার সাহস যেমন বেড়ে গিয়েছিল, তেমনি আন্দোলনের সাথে একাত্ম হয়ে গিয়েছিলেন। মৌমিতা নাম জানা ভাষাশহিদদের সাথে ওর চাচার কথাও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে শহিদ মিনারে ফুল দিতে আসে প্রতিবছর। শহিদের রক্তঝরা ফাগুন ওর চাচার স্মৃতি হয়ে কাছে টেনে নেয়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) বই মেলা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
অথবা,
(খ) হারানো শিশু ও পথচারীর মাঝে একটি সংলাপ তৈরি কর।
(ক) শব্দ দূষণের কুফল সম্পর্কে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
অথবা,
(খ) উপযুক্ত শিরোনামসহ নিচের সংকেত অনুসরণে একটি খুদে গল্প লেখ: জকি অনেক জমির মালিক। জীবনের নেশাও যেন তার শুধু জমি কেনা। তার স্ত্রী তাকে জমি কেনা থেকে বারণ করতে পারছে না। তাদের একমাত্র মেয়ে জুহির পড়াশুনার দিকেও সে নজর দিতে পারছে না। জমি বিক্রির খবর পেলেই সে বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করতে……