৮.দিনলিপি/প্রতিবেদন-১০
(ক) তোমার কলেজে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো।
অথবা,
(খ) জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে একটি মঞ্চ ভাষণ তৈরি করো।
ক) উত্তরঃ
উত্তর: কলেজের প্রথম দিন আমার জীবনের একটি স্মরণীয় দিন। অত্যধিক উচ্ছ্বাস ও আবেগ নিয়ে আমি কলেজে প্রবেশ করলাম। কলেজের দারোয়ান চাচা আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন। ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিবেশ, চারদিকে নতুন মুখ। কেউ আমার পরিচিত নয়, তাই একটু সংকোচ বোধ করলাম প্রথমে। এতসব নতুন মুখের মধ্য থেকে একজন এসে আমার সামনে দাঁড়ালো এবং আমার নাম জিজ্ঞাসা করল। আমি উৎসাহের সাথে তার সাথে পরিচিত হলাম, সেই সাথে কিছুটা স্বস্তিও পেলাম। সেদিনই আমি তাকে বন্ধু করে নিলাম। আমরা দুজন সারা কলেজ ঘুরে দেখলাম। দু'পাশে দুটি দালান, তার মাঝখানে বিশাল মাঠ। মাঠের একপাশে ব্যাডমিন্টন খেলার জায়গা, আরেক পাশে ভলিবল খেলার জায়গা, আর অপর পাশে বিশাল খোলা মাঠ। সে মাঠের দু'দিকে বিভিন্ন ধরনের গাছের সারি। কলেজের মূল দালানের সামনে বাহারি রংয়ের ফুল ফুটে আছে, টবেও নানা জাতের ফুল ফুটে আছে। এগুলোর মধ্যে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস ফুলের সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে।
কলেজের সৌন্দর্য অবলোকন করার পর আমরা একটি কক্ষে গেলাম, সেখানে আমাদের সকল সহপাঠিরা উপস্থিত ছিল। এসময় অন্যান্য স্যারদের সঙ্গে প্রিন্সিপাল স্যার এলেন। প্রথমেই তিনি আমাদের পরিচয় জানলেন এবং আমাদের কুশল জিজ্ঞাসা করলেন। এছাড়াও তিনি কলেজের গৌরবময় ইতিহাস ও সাফল্যের কথা স্মরণ করে আমাদের অনুপ্রাণিত করলেন। সেই থেকে তাঁকে আমি আমার জীবনের আদর্শ হিসেবে নিয়েছি। তারপর আমরা ক্লাসে উপস্থিত হলাম। সেখানে আমাদের শ্রেণি শিক্ষকের কথা আমার মনে আজো গেঁথে আছে। এভাবেই সেদিন আনন্দঘন একটি দিন কাটিয়েছি যা আজও আমার স্মৃতির পাতায় অমলিন।
খ) উত্তরঃ
সম্মানিত সভাপতি ও উপস্থিত সুধীবৃন্দ,
আমাদের আজকের সেমিনারের আলোচনার বিষয় হচ্ছে- 'জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা'। যুগ যুগ ধরে যে নারী ছিল অবহেলিত, সে আজ জানিয়ে দিয়েছে তার উপস্থিতির অপরিহার্যতা। সৃষ্টির শুরু থেকেই নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় সভ্যতার গতি এগিয়ে চলছে অবিরত। তবে কালক্রমে এই নারীই বন্দি হয়েছে পুরুষের সৃষ্ট শৃঙ্খলে। বিশেষত রক্ষণশীল সমাজে চিত্রটি আরও প্রবল।
একটি জাতি গঠনে নারী কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা অনুধাবন করতে ব্যর্থ হলেও, বিজ্ঞ ব্যক্তিরা ঠিকই বুঝেছিলেন। তাই আমরা আমাদের জাতীয় কবির কণ্ঠে শুনতে পাই-
'কোনো কালে একা হয় নি কো জয়ী পুরুষের তরবারী,
প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয়-লক্ষ্মী নারী।'
অর্থাৎ পৃথিবীর বড় বড় সব মহৎ অর্জনে পুরুষকে অনুপ্রেরণা ও শক্তি যুগিয়েছে নারী। পৃথিবীর সূচনা থেকেই সকল ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি তাদের সমান অংশগ্রহণ ছিল। একটি জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে সে জাতির শিক্ষার ওপর। আর একটি শিক্ষিত জাতি তৈরির সূতিকাগার যে নারী, তা সহজেই বুঝেছিলেন নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। তাই তিনি বলেছিলেন- Let France have good mothers and she will have good sons.
সম্মানিত সুধী,
একজন নারী সন্তান জন্ম দিয়ে তাকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা দিয়ে মহান করে গড়ে তোলেন। একজন নারীই পারেন একটি সুশিক্ষিত, জ্ঞানী জাতি উপহার দিতে। শুধু তাই নয়, যুগে যুগে পুরুষের সহধর্মিণী হিসেবে পুরুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করে এসেছে নারী। পৃথিবীতে অনেক কিছু আবিষ্কার করেছে এবং আবিষ্কারে সহযোগিতা করেছে নারী। পৃথিবীতে প্রথম কৃষির সূচনাও হয় এই নারীর হাত ধরে।
এ ছাড়া বর্তমানে রাষ্ট্র ও জাতি গঠনে নারীর শক্তিশালী অবস্থান লক্ষ করা যাচ্ছে। বর্তমানে শিক্ষাক্ষেত্রে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফল করছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিময়েরাভানোরীরা। অনেক দুঃসাহসিক পেশা যেমন- পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, সাংবাদিকতায়ও নারীর দৃপ্ত পদচারণা না কসেনাবাহিনী, গত ২০ বছরের আমিদে কাল আমাদের রাষ্ট্র পারিমাণ লক্ষ করা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের দেশের প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয়য়িকী অজান্ডের গত নির্বাচনের প্রেসিডেরোধীদলীয় নেত্রী দুজনই নারী। মার্কিণ অর্থাৎ নারীরা আজ বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। নারীরা আর চার দেয়ালে বন্দি হয়ে নেই, তারা শিক্ষিত হয়ে উঠছে, গ্রহণ করছে নানা দুঃসাহসিক পেশা। সেই সাথে সামাজিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে রাখছে পুরুষের সমান ভূমিকা। ক্ষেত্রবিশেষে নারীরাই রাখছে অগ্রণী ভূমিকা। তাই সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান আপনার শিশুটি মেয়ে হলে তার জন্যও সমান সুযোগ দিন এবং তার ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহায়তা করুণ। কেননা নারীর সমান অংশগ্রহণই পারে সুষম উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে সকল ক্ষেত্রে নারীর জাগরণ ঘটলেও নারীর ক্ষমতায়ন ও যথার্থ মূল্যায়ন আজও যথাযথভাবে হয়নি। কিন্তু জাতি গঠনে যেহেতু নারীর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই তাই নারীদের অবশ্যই তার যোগ্য সম্মান দিতে হবে।
সবাইকে ধন্যবাদ।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের একটি দিনলিপি রচনা কর।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
(ক) কলেজে প্রথম দিনের অনুভূতি ব্যক্ত করে একটি দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার, কলেজ ছাত্রাবাসের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
(ক) একটি গ্রাম্যমেলা দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি রচনা করো।
অথবা,
(খ) 'সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন' শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপনের জন্য একটি ভাষণ প্রস্তুত করো।
(ক) চা বাগান দেখার অনুভূতি ব্যক্ত করে দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন সম্পর্কে-প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে একটি প্রতিবেদন পেশ কর।