৫ । বাক্যতত্ত্ব
(ক) একটি সার্থক বাক্যের কী কী গুণ থাকা আবশ্যক? উদাহরণসহ লেখো।
অথবা,
(খ) বন্ধনীর নির্দেশ অনুসারে যেকোনো পাঁচটি বাক্যান্তর করো:
i. আমার পথ দেখাবে আমার সত্য। (জটিল)
ii. যখন মেঘ গর্জন করে তখন ময়ূর নৃত্য করে। (সরল)
iii. শম্ভুনাথ এ কথায় একেবারে যোগই দিলেন না। (অস্তিবাচক)
iv. বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয়। (নেতিবাচক)
V. চক) যদিও সে দরিদ্র, তথাপি চরিত্রবান। (যৌগিক)
vi. শীতে দারিদ্র মানুষের খুব কষ্ট হয়। (বিস্ময়বাচক)
vii. তোমাকে এই খাতায় লিখতে হবে। (অনুজ্ঞাবাচক)
viii. ফুল সকলেই ভালোবাসে। (প্রশ্নবাচক)
বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের কী কী গুণ থাকা আবশ্যক?
বাক্য কাকে বলে?
যে সুনিব্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার সম্পূর্ণ মনোভাব প্রকাশিত হয়। তাকে বাক্য বলে।
যেমন, রহিম ফুটবল খেলে। এখানে বক্তার সম্পূর্ন মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে।
একটি সার্থক বাক্যের কী কী গুণ থাকা আবশ্যক?
ভাষার বিচারে বাক্যের ৩টি গুণ থাকা আবশ্যক। সেগুলো হলো-
আকাঙ্ক্ষা (Expectancy)।
আসত্তি (Proximity)।
যোগ্যতা (Propriety)।
আকাঙ্ক্ষা কাকে বলে?
বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা তাকে আকাঙ্ক্ষা (Expectancy) বলে।
যেমন, কেউ যদি ‘অর্থই অনর্থের’ বলে থেমে যায়। তাহলে বার্কের অর্থ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। বলতে হবে, ‘অর্থই অনর্থের মূল’। এখানে বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বুঝা গেছে। এই বাক্যে ‘অর্থই অনর্থের’ বলার পর ‘মূল’ শব্দটি শোনার যে ইচ্ছা তাকে বাক্যের আকাঙ্কা বলে।
আসত্তি কাকে বলে?
বক্তার মনোভাব প্রকাশের জন্য বাক্যে শব্দগুলোকে এমনভাবে পর পর সাজাতে হবে যেন বক্তার সম্পূর্ন মনোভাব প্রকাশ করে। এতে যেন মনোভাব প্রকাশে বাধাগ্রস্ত না হয়। বাক্যে অর্থসংগতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসকে আসত্তি বলে।
যেমন: করিম ছেলে ভালো খুব । এখানে মনোভাব প্রকাশিত হয়নি। বলতে হবে, করিম খুব ভালো ছেলে। ‘করিম ছেলে ভালো খুব ‘ এ বাক্যে পরপর শব্দগুলোকে সাজানো হলেও বক্তার সম্পূর্ণ মনোভাব প্রকাশিত হয়নি। ‘করিম খুব ভালো ছেলে’ এ বাক্যে পরপর শব্দগুলোকে সাজানো হয়েছে এবং বক্তার সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশিত হয়েছে। সঠিক জায়গায় পরপর শব্দগুলো সাজানোকে আসত্তি বলে।
যোগ্যতা কাকে বলে?
বাক্যস্থিত পদসমূহের অর্থগত এবং ভাবগত মিলবন্ধনের নাম যোগ্যতা।
যেমন: ‘সূর্য পশ্চিম দিকে উঠছে’ এই বাক্য তার যোগ্যতা হারিয়েছে। বলতে হবে ‘সূর্য পূর্ব দিকে উঠছে’।
অথবা,
(খ). উত্তর:
i. আমার পথ দেখাবে আমার সত্য। (জটিল)
উত্তর: যা আমার পথ তা দেখাবে আমার সত্য।
ii. যখন মেঘ গর্জন করে তখন ময়ূর নৃত্য করে। (সরল)
উত্তর: মেঘ গর্জন করলে ময়ূর নৃত্য করে।
iii. শম্ভুনাথ এ কথায় একেবারে যোগই দিলেন না। (অস্তিবাচক)
উত্তর: শম্ভুনাথ এ কথায় যোগ দেওয়া থেকে একেবারেই বিরত থাকলেন।
iv. বৃক্ষের দিকে তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয়। (নেতিবাচক)
উত্তর: বৃক্ষের দিকে না তাকালে জীবনের তাৎপর্য উপলব্ধি সহজ হয় না।
V. ) যদিও সে দরিদ্র, তথাপি চরিত্রবান। (যৌগিক)
উত্তর: সে দরিদ্র কিন্তু চরিত্রবান ।
vi. শীতে দারিদ্র মানুষের খুব কষ্ট হয়। (বিস্ময়বাচক)
উত্তর: শীতে দরিদ্র মানুষের কী যে কষ্ট!
vii. তোমাকে এই খাতায় লিখতে হবে। (অনুজ্ঞাবাচক)
উত্তর: তুমি এই খাতায় লিখবে।
viii. ফুল সকলেই ভালোবাসে। (প্রশ্নবাচক)
উত্তর: ফুল সকলেই ভালোবাসে না কি ?
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) একটি সার্থক বাক্যের কী কী গুণ থাকা আবশ্যক? উদাহরণসহ বিশ্লেষণ কর।
অথবা,
(খ) বাক্যান্তর কর (যে কোনো পাঁচটি):
(i) কীর্তিমানের মৃত্যু নাই। (জটিল)
(ii) ছেলেটি অসুস্থতার জন্য অনুপস্থিত। (যৌগিক)
(iii) যারা পরিশ্রমী তারা সফল হয়। (সরল)
(iv) বিড়ালকে বুঝান দায় হইল। (নেতিবাচক)
(v) তারা নিয়মিত শিক্ষার্থী নয়। (অস্তিবাচক)
(vi) মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে না। (প্রশ্নবাচক)
(vii) এটি ভারি লজ্জার কথা। (বিস্ময়সূচক)
(viii) দেশের সেবা করা কর্তব্য। (অনুজ্ঞাবাচক)
(ক) গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
i) ফরিয়াদি প্রসন্ন গোয়ালিনী। (জটিল)
ii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
iii) ওরা আগামীকাল আসবে। (প্রশ্নবাচক)
iv) তার নাম মজিদ। (জিজ্ঞাসাসূচক)
v) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
vi) মাতৃভূমিকে সকলেই ভালোবাসে। (নেতিবাচক)
vii) আমরা নড়লাম না। (অস্তিবাচক)
viii) সদা সত্য বলা উচিত। (অনুজ্ঞা)
(ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের গুণ বা বৈশিষ্ট্যসমূহ উদাহরণসহ লেখ।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি) :
ⅰ) অনুগ্রহ করে সব খুলে বলুন। (যৌগিক)
ii) ওকে চেনাই যায় না। (অস্তিবাচক)
iii) কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। (জটিল)
iv) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
v) বিপদে অধীর হতে নেই। (অনুজ্ঞাসূচক)
vi) মানুষ মরণশীল। (নেতিবাচক)
vii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
viii) লোকটি অত্যন্ত দরিদ্র। (বিস্ময়সূচক)
(ক) পদক্রম কী? বাংলা বাক্যে পদক্রমের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।
অথবা,
(খ) বাক্যান্তর করো (যেকোনো পাঁচটি):
i. 'দুর্জনকে দূরে রেখো। (নির্দেশক)
ii. বিদ্বান হলেও তাঁর অহংকার নেই। (যৌগিক)
iii. সে কথাই এরা ভাবে। (নেতিবাচক)
iv. নির্বোধকে এত বুঝিয়ো না। (জটিল)
v. আমাদের দেশ সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। (বিস্ময়বোধক)
vi. লোকটি অশিক্ষিত কিন্তু অশিষ্ট নয়। (সরল)
vii. হৈমন্তী কোন কথা বলিল না। (অস্তিবাচক)
viii. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে সকলের কাজ করা উচিত। (অনুজ্ঞাবাচক)