৫ । বাক্যতত্ত্ব
(ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের গুণ বা বৈশিষ্ট্যসমূহ উদাহরণসহ লেখ।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি) :
ⅰ) অনুগ্রহ করে সব খুলে বলুন। (যৌগিক)
ii) ওকে চেনাই যায় না। (অস্তিবাচক)
iii) কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। (জটিল)
iv) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
v) বিপদে অধীর হতে নেই। (অনুজ্ঞাসূচক)
vi) মানুষ মরণশীল। (নেতিবাচক)
vii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
viii) লোকটি অত্যন্ত দরিদ্র। (বিস্ময়সূচক)
(ক) উত্তরঃ
যে সুনিব্যস্ত পদসমষ্টি দ্বারা কোনো বিষয়ে বক্তার সম্পূর্ণ মনোভাব প্রকাশিত হয় তাকে বাক্য বলে।
একটি সার্থক বাক্যের তিনটি বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। যথাঃ
১) আকাঙ্ক্ষা
২) আসত্তি
৩) যোগ্যতা
আকাঙ্ক্ষাঃ বাক্যের অর্থ পরিষ্কারভাবে বোঝার জন্য এক পদের পর অন্য পদ শোনার যে ইচ্ছা তাকে আকাঙ্ক্ষা বলে। যেমনঃ পৃথিবী সূর্যের চারদিকে → পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে।
আসত্তিঃ বাক্যের অর্থসঙ্গতি রক্ষার জন্য সুশৃঙ্খল পদবিন্যাসই আসত্তি। যেমনঃ আছে কলম আমার কালো একটি → আমার কাছে একটি কালো কলম আছে।
যোগ্যতাঃ বাক্যস্থিত পদসমূহের অন্তর্গত এবং ভাবগত মেলবন্ধনকে যোগ্যতা বলে। পদ সমষ্টির মধ্যে আকাঙ্ক্ষা ও আসত্তি উপস্থিতি থাকলেও সেটি বাক্য হবে না যদি না তার যোগ্যতা থাকে।
যেমনঃ গরুগুলো ইলেকট্রিক তারের উপরে বসে আছে। বাক্যটি একটি অযোগ্য বাক্য কারন গরুর ইলেকট্রিক তারের উপরে বসে বসে থাকাটা অবাস্তব। → পাখিগুলো ইলেকট্রিক তারের উপরে বসে আছে।
(খ) উত্তরঃ
ⅰ) অনুগ্রহ করে সব খুলে বলুন। (যৌগিক)
উত্তর: অনুগ্রহ করুন আর সব খুলে বলুন।
ii) ওকে চেনাই যায় না। (অস্তিবাচক)
উত্তর: ওকে চেনাই কঠিন ।
iii) কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। (জটিল)
উত্তর: যারা কীর্তিমান তাদের মৃত্যু নেই।
iv) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
উত্তর: দশ মিনিট পার হলো এবং ট্রেনটি এলো।
v) বিপদে অধীর হতে নেই। (অনুজ্ঞাসূচক)
উত্তর: বিপদে অধীর হয়ো না।
vi) মানুষ মরণশীল। (নেতিবাচক)
উত্তর: মানুষ অমর নয়।
vii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
উত্তর: নির্বোধরাই এ কথা বিশ্বাস করবে।
viii) লোকটি অত্যন্ত দরিদ্র। (বিস্ময়সূচক)
উত্তর: লোকটি কী দরিদ্র !
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) আবেগ শব্দ বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
ⅰ) গাড়িটা বেশ জোরে চলছে।
ii) এগিয়ে চলেছে প্রতিবাদী মিছিল।
iii) যে পথ দেখায় সে থাকে এগিয়ে।
iv) মাগো মা! এমন রসিকতা কেউ করে।
v) অধিক ভোজন অনুচিত।
vi) আমি আগামীকাল ঢাকায় যাব।
vii) বুঝিয়াছিলাম মেয়েটির রূপ বড় আশ্চর্য।
viii) হে রাজন, এ ফুলহার তোমার জন্যে।
(ক). অর্থ অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নির্দেশ অনুযায়ী বাক্যান্তর কর (যে-কোনো পাঁচটি)।
(i) সত্য কথা না বলে বিপদে পড়েছি। (যৌগিক)
(ii)এখনই ডাক্তার ডাকা উচিত। (অনুজ্ঞাবাচক)
(iii) ফুল সকলেই ভালোবাসে। (প্রশ্নবাচক)
(iv) বাংলাদেশের চিরস্থায়িত্ব কামনা করি। (ইচ্ছাসূচক)
(v) যে অন্ধ তাকে আলো দাও। (সরল)
(vi) বৃষ্টির অভাবে ফসল নষ্ট হবে। (জটিল)
(vii) শিশুরা দূষণমুক্ত পরিবেশ চায়। (নেতিবাচক)
(viii) শীতের পিঠা খেতে খুব মজা। (বিস্ময়সূচক)
(ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের গুণাবলি আলোচনা কর।
অথবা, (খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
i) যা বাঙালির আত্মজাগরণ, তা অভিনন্দনের দাবি রাখে। (সরল)
ii) জাদুঘর আমাদের আনন্দ দেয় না। (প্রশ্নবোধক)
iii) শম্ভুনাথ এ কথায় একেবারে যোগই দিলেন না। (অস্তিবাচক)
iv) এ দেশ বড় বিচিত্র। (বিস্ময়সূচক)
v) আমার কেনা বইটি খুব দামি (জটিল)
vi) তার নাম শিশির। (প্রশ্নবোধক)
vii) মা ছিল না বলে কেউ তার চুল বেঁধে দেয়নি। (জটিল)
viii) তিনি আর নেই। (যৌগিক)
(ক) গঠন অনুসারে বাক্য কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লেখ।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
i) তোমার এরূপ ব্যবহার অনুচিত। (নেতিবাচক)
ii) নবাবের কাছে আমাদের পদমর্যাদার কোনো মূল্য নেই। (অস্তিবাচক)
iii) বিপদাপন্নকে সেবা করা কর্তব্য। (অনুজ্ঞাবাচক)
iv) দেশকে ভালোবেসে শত শহিদ জীবন উৎসর্গ করেছেন। (প্রশ্নবাচক)
v) সর্বদা তার মনে দুঃখ। (বিস্ময়বাচক)
vi) আমার কেনা বইটি খুব মূল্যবান। (জটিল)
vii) সে অনেক পরিশ্রম করে সাফল্য অর্জন করেছে। (যৌগিক)
viii) যে মিথ্যা বলে, সে বিপদে পড়ে। (সরল)