৫ । বাক্যতত্ত্ব
(ক) গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
i) ফরিয়াদি প্রসন্ন গোয়ালিনী। (জটিল)
ii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
iii) ওরা আগামীকাল আসবে। (প্রশ্নবাচক)
iv) তার নাম মজিদ। (জিজ্ঞাসাসূচক)
v) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
vi) মাতৃভূমিকে সকলেই ভালোবাসে। (নেতিবাচক)
vii) আমরা নড়লাম না। (অস্তিবাচক)
viii) সদা সত্য বলা উচিত। (অনুজ্ঞা)
ক) উত্তরঃ
গঠন অনুসারে বাংলা বাক্য ৩ প্রকার। যথা-
১।সরল বাক্য,
২। জটিল বাক্য এবং
৩। যৌগিক বাক্য।
১) সরল বাক্য- যে বাক্যে একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে তাকে সরল বাক্য বলে। যেমন- রাম বিদ্যালয়ে যায়। এই বাক্যটিতে সমাপিকা ক্রিয়াটি হল ‘যায়’।
২) জটিল বাক্য- যে বাক্যে একাধিক খণ্ডবাক্য একটির সঙ্গে আরেকটি সম্পর্কযুক্ত থাকে তাকে জটিল বাক্য বলে। খণ্ডবাক্যদুটির একটি প্রধান আর একটি অপ্রধান। প্রধান খণ্ডবাক্যের উপর অপ্রধান খণ্ডবাক্যটি নির্ভরশীল থাকে। যেমন- আমি যখন কলেজ যাই রাম তখন বিদ্যালয়ে যায়। এই বাক্যের প্রথম অংশটি দ্বিতীয় অংশের উপর নির্ভরশীল।
৩) যৌগিক বাক্য- একাধিক সরল বাক্য যখন এবং, কিন্তু, অথবা প্রভৃতি অব্যয় দ্বারা যুক্ত হয় তখন সেই বাক্যকে বলে যৌগিক বাক্য বলে। যেমন- আমি কলেজ যাই এবং রাম বিদ্যালয় যায়। এই বাক্যে দুটি সরল বাক্য ‘এবং’ দ্বারা যুক্ত হয়েছে কিন্তু কেউ কারো উপর নির্ভরশীল নয়।
খ) উত্তরঃ
i) ফরিয়াদি প্রসন্ন গোয়ালিনী। (জটিল)
উত্তর: যিনি ফরিয়াদি তিনি প্রসন্ন গোয়ালিনী ।
ii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
উত্তর: নির্বোধরাই এ কথা বিশ্বাস করবে।
iii) ওরা আগামীকাল আসবে। (প্রশ্নবাচক)
উত্তর: ওরা কি আগামীকাল আসবে ?
iv) তার নাম মজিদ। (জিজ্ঞাসাসূচক)
উত্তর: তার নাম মজিদ নয় কি ?
v) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
উত্তর: দশ মিনিট অতিক্রান্ত হলো , তারপর ট্রেনটি এলো।
vi) মাতৃভূমিকে সকলেই ভালোবাসে। (নেতিবাচক)
উত্তর: মাতৃভূমিকে কে না ভালোবাসে ?
vii) আমরা নড়লাম না। (অস্তিবাচক)
উত্তর: আমরা অনড় রইলাম।
viii) সদা সত্য বলা উচিত। (অনুজ্ঞা)
উত্তর: সদা সত্য বলবে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের গুণ বা বৈশিষ্ট্যসমূহ উদাহরণসহ লেখ।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি) :
ⅰ) অনুগ্রহ করে সব খুলে বলুন। (যৌগিক)
ii) ওকে চেনাই যায় না। (অস্তিবাচক)
iii) কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। (জটিল)
iv) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
v) বিপদে অধীর হতে নেই। (অনুজ্ঞাসূচক)
vi) মানুষ মরণশীল। (নেতিবাচক)
vii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
viii) লোকটি অত্যন্ত দরিদ্র। (বিস্ময়সূচক)
(ক) আবেগ শব্দ বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
ⅰ) গাড়িটা বেশ জোরে চলছে।
ii) এগিয়ে চলেছে প্রতিবাদী মিছিল।
iii) যে পথ দেখায় সে থাকে এগিয়ে।
iv) মাগো মা! এমন রসিকতা কেউ করে।
v) অধিক ভোজন অনুচিত।
vi) আমি আগামীকাল ঢাকায় যাব।
vii) বুঝিয়াছিলাম মেয়েটির রূপ বড় আশ্চর্য।
viii) হে রাজন, এ ফুলহার তোমার জন্যে।
(ক). অর্থ অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নির্দেশ অনুযায়ী বাক্যান্তর কর (যে-কোনো পাঁচটি)।
(i) সত্য কথা না বলে বিপদে পড়েছি। (যৌগিক)
(ii)এখনই ডাক্তার ডাকা উচিত। (অনুজ্ঞাবাচক)
(iii) ফুল সকলেই ভালোবাসে। (প্রশ্নবাচক)
(iv) বাংলাদেশের চিরস্থায়িত্ব কামনা করি। (ইচ্ছাসূচক)
(v) যে অন্ধ তাকে আলো দাও। (সরল)
(vi) বৃষ্টির অভাবে ফসল নষ্ট হবে। (জটিল)
(vii) শিশুরা দূষণমুক্ত পরিবেশ চায়। (নেতিবাচক)
(viii) শীতের পিঠা খেতে খুব মজা। (বিস্ময়সূচক)
(ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের গুণাবলি আলোচনা কর।
অথবা, (খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
i) যা বাঙালির আত্মজাগরণ, তা অভিনন্দনের দাবি রাখে। (সরল)
ii) জাদুঘর আমাদের আনন্দ দেয় না। (প্রশ্নবোধক)
iii) শম্ভুনাথ এ কথায় একেবারে যোগই দিলেন না। (অস্তিবাচক)
iv) এ দেশ বড় বিচিত্র। (বিস্ময়সূচক)
v) আমার কেনা বইটি খুব দামি (জটিল)
vi) তার নাম শিশির। (প্রশ্নবোধক)
vii) মা ছিল না বলে কেউ তার চুল বেঁধে দেয়নি। (জটিল)
viii) তিনি আর নেই। (যৌগিক)