৫ । বাক্যতত্ত্ব
(ক) পদক্রম কী? বাংলা বাক্যে পদক্রমের পাঁচটি নিয়ম উদাহরণসহ লেখো।
অথবা,
(খ) বাক্যান্তর করো (যেকোনো পাঁচটি):
i. 'দুর্জনকে দূরে রেখো। (নির্দেশক)
ii. বিদ্বান হলেও তাঁর অহংকার নেই। (যৌগিক)
iii. সে কথাই এরা ভাবে। (নেতিবাচক)
iv. নির্বোধকে এত বুঝিয়ো না। (জটিল)
v. আমাদের দেশ সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। (বিস্ময়বোধক)
vi. লোকটি অশিক্ষিত কিন্তু অশিষ্ট নয়। (সরল)
vii. হৈমন্তী কোন কথা বলিল না। (অস্তিবাচক)
viii. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে সকলের কাজ করা উচিত। (অনুজ্ঞাবাচক)
(ক) উত্তরঃ
বাক্যের অন্তর্গত পদগুলোর যথাযথ সংস্থাপনকেই পদ সংস্থাপনার ক্রম বা পদক্রম বলে। যেমন: আমি চিড়িয়াখানা দেখতে ঢাকায় যাবো। এ বাক্যে সংস্থাপিত পদকে এমন একটি ক্রমে সাজানো হয়েছে, যাতে করে শ্রোতার পক্ষে বক্তার বক্তব্য বোঝা সহজ হয়। এটিই বাক্যের পদক্রম। বাংলা বাক্যে পদক্রমের পাঁচটি নিয়ম দেওয়া হলো:
১. সাধারণ বাক্যে প্রথমে সম্প্রসারণসহ উদ্দেশ্য (বা কর্তা) এবং বাক্যের শেষে সম্প্রসারণসহ বিধেয় (বা ক্রিয়াপদ) বসে। যেমন:
সম্প্রসারক | কর্তৃপদ | সম্প্রসারক | ক্রিয়াপদ |
মনোযোগী | শিক্ষার্থীরাই | নিয়মিত | পড়াশোনা করে। |
২. সম্বন্ধ পদ বিশেষ্যের পূর্বে বসে। যেমন- ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এসেছে।
৩. কারক- বিভক্তিযুক্ত পদ বা অসমাপিকা ক্রিয়াপদ বিশেষণের পূর্বে বসে। যেমন: রাজশাহীর আম খেতে চমৎকার।
৪. বিধেয় বিশেষণ সব সময় বিশেষ্যের পরে বসে। যেমন: তুমি যে বোকা তা বুঝতে আমার সময় লাগেনি।
৫. বহুপদময় বিশেষণ অবশ্যই বিশেষ্যের পূর্বে বসে। যেমন: তার চোখ বন্ধ-করা জেগে বড় যন্ত্রণার।
(খ) উত্তরঃ
i. 'দুর্জনকে দূরে রেখো। (নির্দেশক)
উত্তর: দুর্জন থেকে দূরে থাকবে।
ii. বিদ্বান হলেও তাঁর অহংকার নেই। (যৌগিক)
উত্তর: তিনি বিদ্বান তবুও তার অহংকার নেই।
iii. সে কথাই এরা ভাবে। (নেতিবাচক)
উত্তর: সে কথা এরা না ভেবে পারে না।
iv. নির্বোধকে এত বুঝিয়ো না। (জটিল)
উত্তর: যারা নির্বোধ তাদের কে এত বুঝিয়ো না।
v. আমাদের দেশ সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। (বিস্ময়বোধক)
উত্তর: কী সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশটা !
vi. লোকটি অশিক্ষিত কিন্তু অশিষ্ট নয়। (সরল)
উত্তর: লোকটি অশিক্ষিত হলেও অশিষ্ট নয়।
vii. হৈমন্তী কোন কথা বলিল না। (অস্তিবাচক)
উত্তর: হৈমন্তী কোনো কথা বলিতে অপারগ হইল ।
viii. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে সকলের কাজ করা উচিত। (অনুজ্ঞাবাচক)
উত্তর: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষর্থে সকলেই কাজ করো।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) একটি সার্থক বাক্যের কী কী গুণ থাকা আবশ্যক? উদাহরণসহ বিশ্লেষণ কর।
অথবা,
(খ) বাক্যান্তর কর (যে কোনো পাঁচটি):
(i) কীর্তিমানের মৃত্যু নাই। (জটিল)
(ii) ছেলেটি অসুস্থতার জন্য অনুপস্থিত। (যৌগিক)
(iii) যারা পরিশ্রমী তারা সফল হয়। (সরল)
(iv) বিড়ালকে বুঝান দায় হইল। (নেতিবাচক)
(v) তারা নিয়মিত শিক্ষার্থী নয়। (অস্তিবাচক)
(vi) মানুষটা সমস্ত রাত খেতে পাবে না। (প্রশ্নবাচক)
(vii) এটি ভারি লজ্জার কথা। (বিস্ময়সূচক)
(viii) দেশের সেবা করা কর্তব্য। (অনুজ্ঞাবাচক)
(ক) গঠন অনুসারে বাক্যের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
i) ফরিয়াদি প্রসন্ন গোয়ালিনী। (জটিল)
ii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
iii) ওরা আগামীকাল আসবে। (প্রশ্নবাচক)
iv) তার নাম মজিদ। (জিজ্ঞাসাসূচক)
v) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
vi) মাতৃভূমিকে সকলেই ভালোবাসে। (নেতিবাচক)
vii) আমরা নড়লাম না। (অস্তিবাচক)
viii) সদা সত্য বলা উচিত। (অনুজ্ঞা)
(ক) বাক্য কাকে বলে? একটি সার্থক বাক্যের গুণ বা বৈশিষ্ট্যসমূহ উদাহরণসহ লেখ।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি) :
ⅰ) অনুগ্রহ করে সব খুলে বলুন। (যৌগিক)
ii) ওকে চেনাই যায় না। (অস্তিবাচক)
iii) কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। (জটিল)
iv) দশ মিনিট পর ট্রেন এলো। (যৌগিক)
v) বিপদে অধীর হতে নেই। (অনুজ্ঞাসূচক)
vi) মানুষ মরণশীল। (নেতিবাচক)
vii) যাদের বুদ্ধি নেই, তারাই এ কথা বিশ্বাস করবে। (সরল)
viii) লোকটি অত্যন্ত দরিদ্র। (বিস্ময়সূচক)
(ক) আবেগ শব্দ বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) বাক্য রূপান্তর কর (যেকোনো পাঁচটি):
ⅰ) গাড়িটা বেশ জোরে চলছে।
ii) এগিয়ে চলেছে প্রতিবাদী মিছিল।
iii) যে পথ দেখায় সে থাকে এগিয়ে।
iv) মাগো মা! এমন রসিকতা কেউ করে।
v) অধিক ভোজন অনুচিত।
vi) আমি আগামীকাল ঢাকায় যাব।
vii) বুঝিয়াছিলাম মেয়েটির রূপ বড় আশ্চর্য।
viii) হে রাজন, এ ফুলহার তোমার জন্যে।