নেকলেস
মাদাম লোইসেল কেমন বৈঠকখানা কামনা করে?
আর থাকবে দুজন বেশ মোটাসোটা গৃহ-ভৃত্য। তারা খাটো পায়জামা পরে যেই বড় আরামকেদারা দুটি গরম করার যন্ত্র থেকে বিক্ষিপ্ত ভারি হাওয়ায় নিদ্রালু হয়ে উঠেছে, তাতে শুয়ে ঘুমিয়ে থাকবে। সে কামনা করে একটি বৈঠকখানা, পুরানো রেশমি পর্দা সেখানে ঝুলবে। থাকবে তাতে বিভিন্ন চমৎকার আসবাব, যার ওপর শোভা পাবে অমূল্য সব প্রাচান কৌতূহল-উদ্দীপক সামগ্রী। যেসব পরিচিত ও আকাঙ্ক্ষিত পুরুষ সব মেয়েদের কাম্য, সেসব অন্তরঙ্গ বন্ধুদের সঙ্গে বিকাল পাঁচটায় গল্পগুজব করবার জন্য ছোট সুরভিত একটি কক্ষ সেখানে থাকবে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
মর্সিয়া কী?
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বর্ষাযাপন' কবিতায় বাংলা ছোটগল্পের গঠন-প্রকৃতি সম্বন্ধে পাওয়া যায়-
"ছোটোপ্রাণ ছোটোব্যথা ছোটো ছোটো দুঃখ কথা নিতান্তই সহজ সরল,
সহস্র বিস্মৃতি রাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি
তারি দু'চারিটি অশ্রুজল।
নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা
নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়ে হইল না শেষ।"
ছোটোগল্পের এমন চমৎকার সংজ্ঞা আর কেউ দেননি।
সর্বদা তার মনে দুঃখ। নেকলেস গল্পে কার দুঃখের কথা বলা হয়েছে -
পিতার অভাবের সংসারে রেবেকা অতি কষ্টে মানুষ হয়েছে। জীবনে কত ছোটখাটো ইচ্ছাই তাকে নীরবে বিসর্জন দিতে হয়েছে! শিক্ষিত ও সুশ্রী হওয়া সত্ত্বেও বৈবাহিক জীবনে একটা ভালো সংসার জোটেনি। কিন্তু নিজের অবস্থাকে সে ভাগ্য হিসেবে মেনে নিয়েছে এবং গৃহ শিক্ষক স্বামীর সামান্য আয়ে সুন্দরভাবে সংসার পরিচালনা করছে। মেনে নেয়া এই জীবনে তার কোনো বিড়ম্বনা নেই।