নেকলেস
মর্সিয়া কী?
মর্সিয়া শব্দটি আরবি শব্দ মার্থিয়া থেকে এসেছে যার অর্থ হলো ট্র্যাজিক ঘটনা সম্পর্কে বা বিদেহী আত্মার জন্য শোকময় বিলাপ বা শোকগীতি।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বর্ষাযাপন' কবিতায় বাংলা ছোটগল্পের গঠন-প্রকৃতি সম্বন্ধে পাওয়া যায়-
"ছোটোপ্রাণ ছোটোব্যথা ছোটো ছোটো দুঃখ কথা নিতান্তই সহজ সরল,
সহস্র বিস্মৃতি রাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি
তারি দু'চারিটি অশ্রুজল।
নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা
নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়ে হইল না শেষ।"
ছোটোগল্পের এমন চমৎকার সংজ্ঞা আর কেউ দেননি।
সর্বদা তার মনে দুঃখ। নেকলেস গল্পে কার দুঃখের কথা বলা হয়েছে -
পিতার অভাবের সংসারে রেবেকা অতি কষ্টে মানুষ হয়েছে। জীবনে কত ছোটখাটো ইচ্ছাই তাকে নীরবে বিসর্জন দিতে হয়েছে! শিক্ষিত ও সুশ্রী হওয়া সত্ত্বেও বৈবাহিক জীবনে একটা ভালো সংসার জোটেনি। কিন্তু নিজের অবস্থাকে সে ভাগ্য হিসেবে মেনে নিয়েছে এবং গৃহ শিক্ষক স্বামীর সামান্য আয়ে সুন্দরভাবে সংসার পরিচালনা করছে। মেনে নেয়া এই জীবনে তার কোনো বিড়ম্বনা নেই।
রফিকের সংসারে সচ্ছলতা না থাকলেও শান্তিতেই ছিল তারা। কিন্তু লোভে পড়ে উপরি পাওনার আশায় কোম্পানির মাল পাচারে সহযোগিতার দায়ে দারোয়ানের চাকরিটা চলে যায় তার। সংসারে নেমে আসে চরম দারিদ্র্য। বাধ্য হয়ে রফিকের স্ত্রী কল্পনাকে পরের বাড়িতে ঝি-এর কাজ করতে হয়। রাত অবধি হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে সে ঘরে ফেরে। তার চেহারায় মলিনতার ছাপ দেখতে পেয়ে কষ্ট পায় রফিক। তবে মুখ ফুটে কিছুই বলতে পারে না। কারণ সে জানে তার এ শাস্তি আত্মকৃত। কাউকে সে দোষ দিতে পারে না।