নেকলেস
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বর্ষাযাপন' কবিতায় বাংলা ছোটগল্পের গঠন-প্রকৃতি সম্বন্ধে পাওয়া যায়-
"ছোটোপ্রাণ ছোটোব্যথা ছোটো ছোটো দুঃখ কথা নিতান্তই সহজ সরল,
সহস্র বিস্মৃতি রাশি প্রত্যহ যেতেছে ভাসি
তারি দু'চারিটি অশ্রুজল।
নাহি বর্ণনার ছটা ঘটনার ঘনঘটা
নাহি তত্ত্ব নাহি উপদেশ অন্তরে অতৃপ্তি রবে সাঙ্গ করি মনে হবে
শেষ হয়ে হইল না শেষ।"
ছোটোগল্পের এমন চমৎকার সংজ্ঞা আর কেউ দেননি।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
পিতার অভাবের সংসারে রেবেকা অতি কষ্টে মানুষ হয়েছে। জীবনে কত ছোটখাটো ইচ্ছাই তাকে নীরবে বিসর্জন দিতে হয়েছে! শিক্ষিত ও সুশ্রী হওয়া সত্ত্বেও বৈবাহিক জীবনে একটা ভালো সংসার জোটেনি। কিন্তু নিজের অবস্থাকে সে ভাগ্য হিসেবে মেনে নিয়েছে এবং গৃহ শিক্ষক স্বামীর সামান্য আয়ে সুন্দরভাবে সংসার পরিচালনা করছে। মেনে নেয়া এই জীবনে তার কোনো বিড়ম্বনা নেই।
সালাম ও সালমার সংসারে সচ্ছলতা কিংবা বিলাসিতা না থাকলেও শান্তি এবং ভালোবাসার অভাব ছিল না। কিন্তু লোভে পড়ে বাড়তি পাওয়ার আশায় দুর্নীতির দায়ে অফিস সহকারীর চাকরিটা হারায় সালাম। তাদের সংসারে বাসা বাঁধে চরম দারিদ্র্য আর হতাশা। অগত্যা সালামের স্ত্রী সালমা অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ নেয়। সকাল-সন্ধ্যায় বর্ণনাতীত পরিশ্রম করে ক্লান্ত হয়ে ঘরে ফেরে সে। সালমার ক্লান্ত ও মলিন চেহারা দেখে সালাম মনে মনে খুব কষ্ট পায়। অথচ মুখ ফুটে সে কথা বলতে পারে না সে। কারণ সে ভালো করেই জানে যে, এই কষ্টের জন্য সে নিজেই দায়ী।