৮.দিনলিপি/প্রতিবেদন-১০
(ক) তোমার কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতার বর্ণনা করো।
অথবা, (খ) নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণ এবং এর প্রতিকার সম্বন্ধে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রচনা করো।
(ক) উত্তর:
'এসেছে নতুন শিশু,
তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান’
-
কবির এ বাণী চিরন্তন। নতুনদের আহ্বান করতে পুরানোদের স্থান ছেড়ে দিতে হবে, এটাই যেন চিরন্তন রীতি। তাই তো রাজশাহী কলেজে প্রতিবছরের মতো এবারও নতুনদের আহ্বান জানাতে গতকাল আয়োজিত হয়েছিল নবীনবরণ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান শুরু করার যে নির্দিষ্ট সময় ছিল, তার অনেক আগেই নবীনরা কলেজে উপস্থিত হয়েছিল। নবীনদের আগমন উপলক্ষ্য করে কলেজ প্রাঙ্গণ খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছিল। পূর্বনির্ধারিত সময়ানুযায়ী অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্চে আসার পরপরই কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং গীতার শ্লোক পাঠ করা হয়েছিল। তারপর পুষ্পবৃষ্টির মাধ্যমে নবীনদের বরণ করে নেয় অগ্রজরা। নবীনদের উদ্দেশ্যে দ্বাদশ শ্রেণির একজন ছাত্রী মানপত্র পাঠ করে। তারপর সংক্ষিপ্তভাবে শুভেচ্ছা বক্তব্য পেশ করে বড় ভাই ও আপুরা। এসময় নবীন শিক্ষার্থীরা আসনে বসে সুশৃঙ্খলভাবে তাদের বক্তব্য শুনছিল। এরপর শিক্ষকবৃন্দ বক্তব্য দিলেন। তাদের চমৎকার উপস্থাপন ও বাচনভঙ্গি নবীনদের মুগ্ধ করেছিল। অধ্যক্ষ মহোদয় আরও আন্তরিক ও বন্ধুত্বসুলভ বক্তব্যের মাধ্যমে নতুনদের গ্রহণ করে নিলেন। নবীনদের পক্ষ থেকে দুই-তিনজন বক্তব্য দিয়ে এরকম একটা অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রবীণ বড় ভাই-আপুদের এবং শিক্ষকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করল।
এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা কবিতা আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশন, কৌতুক পরিবেশন ও অভিজ্ঞতার কথা বললেন। নবীন শিক্ষার্থীরা সবাই আনন্দময় সময় পার করছিল তখন। একসময় এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানও শেষ হলো। শিক্ষক- শিক্ষিকার আন্তরিকতাপূর্ণ ব্যবহার নবীনদের মাঝে উৎসাহ জাগিয়েছে। নবীনরা একটি উষ্ণ আমন্ত্রণ পেয়ে উল্লসিত চিত্তেই কলেজ জীবন শুরু করল।
(খ) উত্তর:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: জনজীবন বিপর্যন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক । ঢাকা। ২৭ শে মে ২০১৯৷৷ সম্প্রতি যে বিষয়টি আমাদের ভাবিত করছে তা হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। বর্তমানে আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধির ফলে জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। ফলে দৈনন্দিন জীবনে নেমে এসেছে অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগ। এর নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধান করছেন অর্থনীতিবিদগণ। বিশেষজ্ঞের মতে, এ আকস্মিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ অনেকগুলো। প্রথমত, মুনাফালোভী মজুতদাররা প্রায়ই অধিক মুনাফা অর্জনের মানসিকতায় দ্রব্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। দ্বিতীয়ত, বহির্বিশ্বে খাদ্যদ্রব্যের সংকটের ফলে দেশের বাজারে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পায়। তৃতীয়ত, সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি। দেশের একটি ক্ষুদ্রতম অংশ এরূপ ভাতা পেলেও অসুবিধার দায়ভার বহন করছে সমাজের বৃহত্তম অংশ। এমনকি চাকরিজীবীদের মধ্যেও কেউ কেউ এই পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। লক্ষণীয় ব্যাপার এই যে, সরকার কর্তৃক মহার্ঘ ভাতা ঘোষণার পরক্ষণেই অজ্ঞাত কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকে। সরকারি কর্মচারীগণ যে হারে মহার্ঘ ভাতা পেয়েছেন, দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে সরকারি কর্মচারীরাও এ সমস্যার শিকার হয়েছেন। তাই অবিলম্বে এ অনাকাঙ্ক্ষিত মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধকল্পে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা একান্ত আবশ্যক।
মূল্য বৃদ্ধি এদেশে এটাই প্রথম তা নয়। এদেশে এটি একটি নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে মূল্য বৃদ্ধিজনিত এমন নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টির ঘটনা বিরল। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতেও এমনটি ঘটলে বিক্ষোভ দানা বাঁধে, সরকারকে জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু এদেশের সরলপ্রাণ মানুষ এরূপ কোনো ঘটনা নিয়ে বেশি মাতামাতি পছন্দ করে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি তারা এদেশে জাতীয় সমস্যা বলেই ধরে নিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হলেও দুর্নীতিবাজ কর্মচারী ও মুনাফাখোর ব্যবসায়ীদের লাভের পরিমাণ বেশি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে বার বার। আমাদের উৎপাদিত পণ্য বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটা অসাধু শ্রেণি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে বিপদাপন্ন করে যারা নিজেদের সুখ-সম্পদ আহরণের চেষ্টায় মত্ত, তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। এসব অসৎ ও দুর্নীতিবাজ লোকদের উৎখাত করা এখন সময়ের দাবি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের সচেতনতা একান্ত অপরিহার্য।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবস উদ্যাপনের একটি দিনলিপি রচনা কর।
অথবা,
(খ) তোমার কলেজে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
(ক) বাংলা নববর্ষ কীভাবে উদ্যাপন করেছ তার ওপর একটি দিনলিপি রচনা করো।
অথবা,
(খ) 'দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি' বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
(ক) তোমার কলেজে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো।
অথবা,
(খ) জাতি গঠনে নারী সমাজের ভূমিকা সম্পর্কে একটি মঞ্চ ভাষণ তৈরি করো।
(ক) কলেজে প্রথম দিনের অনুভূতি ব্যক্ত করে একটি দিনলিপি লেখ।
অথবা,
(খ) তোমার, কলেজ ছাত্রাবাসের বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।