আম-আঁটির ভেঁপু
মিসেস শাহানার দিন শুরু হয় কাকডাকা ভোরে। ওয়াশিং মেশিনে কাপড় দেওয়া, ছেলেমেয়ের টিফিন তৈরি করা, তাদের বাবার নাশতা- এরপর নিজে তৈরি হয়ে অফিসে যাওয়া। তার মেয়ে সারা দশম শ্রেণিতে আর ছেলে সামি অষ্টম শ্রেণিতে- তাদেরও কোনো ফুরসত নেই। 'স্কুল শেষে ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, গণিত, আরও কত কোচিং; বাড়ি ফিরে আবার স্কুলের কাজ, বাড়ির কাজ, কোচিং-এর কাজ। স্কুল-কোচিং আর বাড়ির চার দেওয়াল এই যেন তাদের জীবন। বাবা-মা অফিস শেষে পছন্দের খাবার নিয়ে ফিরেন, নয়তো নিজেরাই অনলাইনে অর্ডার দিয়ে পছন্দের খাবার আনিয়ে নেয়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
গ্রামের বালকদের সর্দার বিন্টু। সারা দিন বনেবাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো, এর- ওর গাছের ফুল ছেঁড়া, গাছের ফলে ঢিল মারা, নদীতে দাপাদাপি করাই যেন তার কাজ। পিতৃহারা দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোটোখাটো খুনশুটি হলেও শত দুরন্তপনার মাঝেও ছোটো ভাই পল্টুকে আগলে রাখে সে। এমনকি তাকে রেখে কোনো খাবার মুখে দেয় না। গ্রামীণ জীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাইয়ের শৈশবে দারিদ্র্যের কোনো ছাপ প্রধান হয়ে ওঠেনি ।
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নের উত্তর দাও:
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাই তো জেগে রই
রাত্রি হলো মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
উদ্দীপকে 'আম-আঁটির ভেঁপু' গল্পের যে দিকটি অনুপস্থিত-
i. দারিদ্র্যের চিত্র
ii. দুরন্তপনা
iii. প্রকৃতিঘনিষ্ঠতা
নিচের কোনটি সঠিক?
কানাই ও ছোকানু দুই ভাই-বোন। কানাই তার ছোটো বোন ছোকানুকে অনেক ভালোবাসে এবং তার প্রতি অনেক দায়িত্বশীল। তারা নৌকা ভ্রমণে গেলে ছোকানুকে কানাই চোখে চোখে রাখে। ছোকানু ক্লান্ত হয়ে নৌকায় ঘুমিয়ে পড়লে কানাই মাঝিকে অনুরোধ করে তার প্রতি খেয়াল রাখার জন্য।
উদ্দীপক-১: পাড়ার বালকদের সর্দার ফটিক। সারা দিন বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো, এর-ওর গাছের ফল ছেঁড়া, নদীতে দাপাদাপি করা— এসবই তার কাজ। এক দণ্ড সে বাড়িতে থাকে না। শত দুরন্তপনার মাঝেও সে তার ছোটো ভাই মাখনকে আগলে রাখে ।
উদ্দীপক-২: অভাবের সংসার লাবণ্যের। সংসারে সারাক্ষণই নাই নাই ৷ এ যেন নুন আনতে পানতা ফুরোয়। পাওনাদারদের জ্বালায় সে অতিষ্ঠ। মাঝে মাঝে তার মনে হয় সব ছেড়ে পালিয়ে বাঁচি ।