আম-আঁটির ভেঁপু
কানাই ও ছোকানু দুই ভাই-বোন। কানাই তার ছোটো বোন ছোকানুকে অনেক ভালোবাসে এবং তার প্রতি অনেক দায়িত্বশীল। তারা নৌকা ভ্রমণে গেলে ছোকানুকে কানাই চোখে চোখে রাখে। ছোকানু ক্লান্ত হয়ে নৌকায় ঘুমিয়ে পড়লে কানাই মাঝিকে অনুরোধ করে তার প্রতি খেয়াল রাখার জন্য।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
গ্রামের বালকদের সর্দার বিন্টু। সারা দিন বনেবাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো, এর- ওর গাছের ফুল ছেঁড়া, গাছের ফলে ঢিল মারা, নদীতে দাপাদাপি করাই যেন তার কাজ। পিতৃহারা দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোটোখাটো খুনশুটি হলেও শত দুরন্তপনার মাঝেও ছোটো ভাই পল্টুকে আগলে রাখে সে। এমনকি তাকে রেখে কোনো খাবার মুখে দেয় না। গ্রামীণ জীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাইয়ের শৈশবে দারিদ্র্যের কোনো ছাপ প্রধান হয়ে ওঠেনি ।
দিনমজুর কদম আলী তার মানসিক বিকারগ্রস্ত স্ত্রী ও দুটি ছোটো সন্তান নিয়ে বেশ কায়ক্লেশে জীবনযাপন করছে। সন্তান দুটিকে স্কুলে পাঠানোর মতো আর্থিক সংগতি তার নেই বিধায় তাদেরকে সে শিশুশ্রমে নিযুক্ত করে দিয়েছে। কিন্তু তার মনোবাসনা হলো সন্তানেরা স্কুলে পড়াশোনা করে নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে ।
বাড়ুয্যেদের মাঠের বাগানে চাঁপাতলীর আম এ অঞ্চলে বিখ্যাত। মিষ্টি কী! এই সময়ে পাকে। ঝড় উঠলে তার তলায় ভিড়ও তেমনি। যে আগে গিয়ে-পৌঁছাতে পারে তারই জয়। তাই সবার চেষ্টা বৈশাখী ঝড়ে কে কার আগে আমতলায় যাবে।
জহির রায়হান 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসে যুগযুগান্তরের বিবর্তনহীন গ্রামীণ জীবনের ছায়াচিত্র তুলে ধরেছেন। এখানে ক্ষুদ্র একটি গ্রামের একান্নবর্তী পরিবারের সংঘাতময় জীবনের কাহিনি তিনি বর্ণনা করেছেন। জীবিকার তাগিদে নারী-পুরুষ সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। হাজার বছর ধরে চলে আসছে গ্রামবাংলার মানুষের এ জীবনযুদ্ধ। এ যুদ্ধে কখনো তারা জয়ী হয়; আবার কখনো হয় পরাজিত। জীবিকার তাগিদে বাড়ির পুরুষদের কাজ করতে হয় ঘরে-বাইরে, দিনরাত যেন অক্লান্ত পরিশ্রম। বাড়ির নারী সদস্যরাও বাদ যায় না। তারা চাটাই বোনা, অন্যের ধান ভাঙা, শাপলা তোলা-এ রকম আরও অনেক কাজ করে যতটা পারা যায়। তারা পরিবারের আয়-উন্নতিতে সাহায্য করে। তবুও তাদের লড়তে হয় কঠিনতম জীবনসংগ্রামে। এরপরেও আছে নানা রকম কুসংস্কার, নানাবিধ ধর্মীয় গোঁড়ামি আর বিধিনিষেধের বেড়াজাল। লেখক এই উপন্যাসে আবহমানকালের গ্রামবাংলার প্রায় সব দিকই তুলে এনেছেন।