ইসলামি অর্থ ব্যবস্থার গুরুত্ব ও বিভিন্ন দিক
মামুন উচ্চশিক্ষার্থে একটি দেশে গমন করে দেখতে পায়, সে দেশে সৃষ্টিকর্তাকে সম্পদের মূল সত্ত্বাধিকারী মনে করা হয়। সকল বিনিয়োগ ও লেন-দেন সম্পন্ন হয় লাভ-ক্ষতির ভিত্তিতে। প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বছরান্তে মোট সম্পদের নির্দিষ্ট অংশ রাষ্ট্রের বিশেষ তহবিলে জমা দেয়। সে লক্ষ করেছে, এখানে কেউ ভিক্ষা করে না। মামুন আরো জানতে পারে, তার সহপাঠি মুয়াজের পিতা সেচের মাধ্যমে উৎপাদিত দুই হাজার মণ খেজুর থেকে একশ মণ খেজুর সরকারের তহবিলে জমা দেয়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
পবিত্র রমজান উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা একটি অর্থব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, এটি একটি আদর্শিক, অর্থব্যবস্থা। এ অর্থ ব্যবস্থায় সম্পদের মূল মালিকানা আল্লাহর। আর মানুষ হচ্ছে তার তত্ত্বাবধায়ক। এ অর্থব্যবস্থার মূল লক্ষ্য কেবল পৃথিবীর অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান নয় বরং মানুষের পরকালের মুক্তিও নিশ্চিত করা।

জনাব ফয়সাল একজন কলেজ শিক্ষক। একদিন তিনি ক্লাসে কুরআন- হাদিসের আলোকে সম্পদের সর্বাধিক উৎপাদন, সুষ্ঠু বণ্টন ও ন্যায়সঙ্গত ভোগ বিশ্লেষণ, রাষ্ট্রীয় আয়ের উৎস সম্পর্কে আলোচনা করেন। কয়েকদিন তার আলোচনা শুনে এক ছাত্র তার কৃষক বাবাকে বলে যে, ফল ও ফসল সংগ্রহের সময় তার নির্দিষ্ট একটা অংশ দরিদ্রদের দিয়ে দিতে হয়। এরপর থেকে তার বাবা তাই করতেন।
১০.৮ মি. সুশীল চাকমা একটি ইসলামি রাষ্ট্রের নাগরিক। তিনি তার একটি কৃষি খামার থেকে এ বছর এক লক্ষ টাকা সরকারের রাজস্ব খাতে জমা দেন। তার প্রতিবেশী মিসেস আয়েশা এবছর রমজান মাসে দশ ভরি গহনার বাজার মূল্য ৪,০০,০০০/- টাকা থেকে ১০,০০০/- টাকা দুজন গরিব ও মেধাবী ছাত্রের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য ফি বাবদ দান করেন। তিনি এতদিন একই টাকায় শাড়ি ও লুঙ্গি ক্রয় করে গরিবদের মাঝে বিতরণ করতেন।