ইসলামি অর্থ ব্যবস্থার গুরুত্ব ও বিভিন্ন দিক
জনাব ফয়সাল একজন কলেজ শিক্ষক। একদিন তিনি ক্লাসে কুরআন- হাদিসের আলোকে সম্পদের সর্বাধিক উৎপাদন, সুষ্ঠু বণ্টন ও ন্যায়সঙ্গত ভোগ বিশ্লেষণ, রাষ্ট্রীয় আয়ের উৎস সম্পর্কে আলোচনা করেন। কয়েকদিন তার আলোচনা শুনে এক ছাত্র তার কৃষক বাবাকে বলে যে, ফল ও ফসল সংগ্রহের সময় তার নির্দিষ্ট একটা অংশ দরিদ্রদের দিয়ে দিতে হয়। এরপর থেকে তার বাবা তাই করতেন।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
পবিত্র রমজান উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা একটি অর্থব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, এটি একটি আদর্শিক, অর্থব্যবস্থা। এ অর্থ ব্যবস্থায় সম্পদের মূল মালিকানা আল্লাহর। আর মানুষ হচ্ছে তার তত্ত্বাবধায়ক। এ অর্থব্যবস্থার মূল লক্ষ্য কেবল পৃথিবীর অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান নয় বরং মানুষের পরকালের মুক্তিও নিশ্চিত করা।

জনাব কিবরিয়া সাহেব বর্তমানে যে দেশে বসবাস করেন সে দেশের অবস্থা খুবই নাজুক। এখানকার অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বৈধ-অবৈধ বিবেচনা করা হয় না। আল্লাহ ও রাসুলের আদর্শ অনুসরণ করা হয় না। কিবরিয়া সাহেব একদিন তার বন্ধুকে আক্ষেপের সুরে বললেন, যদি আমাদের দেশের অর্থ ব্যবস্থা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদর্শের পক্ষে হতো তাহলে এমন খারাপ অবস্থা হতো না
ছক-১ | ছক-২ |
(i) সম্পদে অবাধ ব্যক্তি মালিকানা | (i) মালিকানা আল্লাহর |
(ii) উপার্জনের ক্ষেত্রে বৈধ অবৈধ উপেক্ষিত থাকে। | (ii) হালাল হারাম মেনে চলে |
(iii) আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে নীতি নৈতিকতা গুরুত্বহীন | (iii) অপচয় নিষিদ্ধ |
(iv) গরিবের অধিকার স্বীকৃত নয় | (iv) গরিবের অধিকার স্বীকৃত |