আম-আঁটির ভেঁপু
বিধবা করিমনের সংসার যেন অভাবের কারখানা। তার উপর ছোটো ছেলেটা কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত। গোরুর সামান্য দুধ বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসা করালেও এখন সে সামর্থ্য নেই আর। কারও কাছে ধার চাওয়ার মুখ তার আর নেই। যার কাছে যাবে সেই তো বলবে, আগের ধার পরিশোধ করো ।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
গ্রামের বালকদের সর্দার বিন্টু। সারা দিন বনেবাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো, এর- ওর গাছের ফুল ছেঁড়া, গাছের ফলে ঢিল মারা, নদীতে দাপাদাপি করাই যেন তার কাজ। পিতৃহারা দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোটোখাটো খুনশুটি হলেও শত দুরন্তপনার মাঝেও ছোটো ভাই পল্টুকে আগলে রাখে সে। এমনকি তাকে রেখে কোনো খাবার মুখে দেয় না। গ্রামীণ জীবনে প্রকৃতিঘনিষ্ঠ দুই ভাইয়ের শৈশবে দারিদ্র্যের কোনো ছাপ প্রধান হয়ে ওঠেনি ।
কানাই ও ছোকানু দুই ভাই-বোন। কানাই তার ছোটো বোন ছোকানুকে অনেক ভালোবাসে এবং তার প্রতি অনেক দায়িত্বশীল। তারা নৌকা ভ্রমণে গেলে ছোকানুকে কানাই চোখে চোখে রাখে। ছোকানু ক্লান্ত হয়ে নৌকায় ঘুমিয়ে পড়লে কানাই মাঝিকে অনুরোধ করে তার প্রতি খেয়াল রাখার জন্য।
উদ্দীপক-১: পাড়ার বালকদের সর্দার ফটিক। সারা দিন বনবাদাড়ে ঘুরে বেড়ানো, এর-ওর গাছের ফল ছেঁড়া, নদীতে দাপাদাপি করা— এসবই তার কাজ। এক দণ্ড সে বাড়িতে থাকে না। শত দুরন্তপনার মাঝেও সে তার ছোটো ভাই মাখনকে আগলে রাখে ।
উদ্দীপক-২: অভাবের সংসার লাবণ্যের। সংসারে সারাক্ষণই নাই নাই ৷ এ যেন নুন আনতে পানতা ফুরোয়। পাওনাদারদের জ্বালায় সে অতিষ্ঠ। মাঝে মাঝে তার মনে হয় সব ছেড়ে পালিয়ে বাঁচি ।
দিনমজুর কদম আলী তার মানসিক বিকারগ্রস্ত স্ত্রী ও দুটি ছোটো সন্তান নিয়ে বেশ কায়ক্লেশে জীবনযাপন করছে। সন্তান দুটিকে স্কুলে পাঠানোর মতো আর্থিক সংগতি তার নেই বিধায় তাদেরকে সে শিশুশ্রমে নিযুক্ত করে দিয়েছে। কিন্তু তার মনোবাসনা হলো সন্তানেরা স্কুলে পড়াশোনা করে নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলবে ।