পল্লিজননী
'পল্লিজননী' কবিতায় মাকে না বলে ছেলে কোথায় গিয়েছিল?
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
মালেক তার অসুস্থ পুত্রকে নিয়ে ঢাকায় আসেন চিকিৎসার জন্য। পরীক্ষা করিয়ে জানা যায় তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন না করতে পারলে ছেলেকে বাঁচানো যাবে না । এ কথা জেনে মালেক তার একটা কিডনি পুত্রকে দান করেন ।
রনির বয়স এবার বারো পেরোলো। বুড়ো দুরন্ত ছেলে। রোজ বিকেলে দূরের মাঠে খেলতে যায় সে। ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা। একাকী বাসায় এ সময়টা বড়ো দুশ্চিন্তায় কাটে মা তাসমিনার। ছেলেকে নিয়ে নানা আশা ও আশঙ্কায় জায়নামাজে বসে এক নাগাড়ে দোয়া পড়তে থাকেন তিনি।
বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর-
পুত্র তাঁহার হুমায়ুন বুঝি বাঁচে না এবার আর!
চারিধারে তাঁর ঘনায়ে আসিছে মরণ-অন্ধকার ।
ছেলেটার বয়স হবে বছর দশেক, পরের ঘরে মানুষ। যেমন ভাঙা বেড়ার ধারে আগাছা, মালীর যত্ন নেই ঠিক তেমনই। ছেলেটা ফুল পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে হাড় ভাঙে, বুনো বিষফল খেয়ে ওর ভিরমি লাগে, কিছুতেই কিছু হয় না, আধমরা হয়েও বাঁচে। গেরস্ত ঘরে ঢুকলেই সবাই তাকে দূর দূর করে তাড়িয়ে দেয়। কেবল তাকে ডেকে এনে দুধ খাওয়ায় সিধু গোয়ালিনি। ছেলেটার উপদ্রবে গোয়ালিনির স্নেহ যেন আরও ঢেউ খেলিয়ে ওঠে। কেউ শাসন করতে এলে, গোয়ালিনি পক্ষ নেন ওই ছেলেটির।