উপন্যাসঃ কাকতাড়ুয়া
নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং প্রশ্নের উত্তর দাও:
রফিক বিভিন্নভাবে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সাহায্য করে। একদিন রাজাকার শমসের আলি রফিককে ধরে পাকিস্তানি সেনাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। কিন্তু রফিক মৃত্যুভয়ে মোটেই ভীত হয় না।
উদ্দীপকের শমসের আলি 'কাকতাড়ুয়া' উপন্যাসের কোন চরিত্রকে মনে করিয়ে দেয়?
সঠিক উত্তর: ক) আহাদ মুন্সি
ব্যাখ্যা:
উদ্দীপকে শমসের আলি একজন রাজাকার, যে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরোধিতা করে এবং পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করে। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসেও আহাদ মুন্সি শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, যে নিজের স্বজাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং পাকিস্তানি সেনাদের সহায়তা করে।
এই দৃষ্টিকোণ থেকে, শমসের আলির চরিত্রটি 'কাকতাড়ুয়া' উপন্যাসের আহাদ মুন্সি চরিত্রকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
প্রিয় মা,
সালাম রইল, তুমি হয়ত ভাবছ যে, প্রতিকূল অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ
হওয়াতে বাড়িতে আসতেছি। কিন্তু না, মা। কারণ তুমিও হয়তো রেডিওতে
শুনেছ যে, গতকালকে পাকিস্তানি পুলিশরা রফিক, শফিক, জব্বার,
সালামসহ অনেককে গুলি করে হত্যা করে। বলো মা, এটা কি মেনে নেওয়া
যায়? তাই শপথ নিয়েছি— বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করে তবেই বাড়িতে
ফিরব । মা, তুমি দোয়া করিয়ো ।
ইতি
তোমার স্নেহের বিজয়
মুক্তিযুদ্ধের সময় আলিপুর গ্রামের অনেক যুবক মুক্তিবাধিনীতে যোগ দেয়। তারা দেশকে হানাদারমুক্ত করার জন্য শপথ গ্রহণ করেন। আর গ্রামের চেয়ারম্যান সাদেক মিয়া খবরাখবর পাচার করতে থাকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছে। এ সময় সে শান্তি কমিটিতেও যোগ দেয় এবং গ্রামের নিরী মানুষদের ওপরে চলে তার নির্মম নির্যাতন। অনেকে দেশত্যাগ করতেও বাধ্য হয় । এভাবে সে দেশমাতার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
জীবন অনিত্য নয় । মানবকল্যাণে বা দেশের স্বার্থে যারা জীবনকে উৎসর্গ করতে পারে, তারাই যুগ যুগ ধরে মানুষের গর্ব ও প্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে থাকে। ঠিক যেমন আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদরা বেঁচে আছে আমাদের অন্তরে ।
গানের অংশ-১:
তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই মা আমরা প্রতিবাদ করতে জানি ।
গানের অংশ-২:
এক নদী রক্ত পেরিয়ে বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্য আনলে যারা
তোমাদের এই ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না ।
না, না, না, শোধ হবে না ।