উপন্যাসঃ কাকতাড়ুয়া
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
প্রিয় মা,
সালাম রইল, তুমি হয়ত ভাবছ যে, প্রতিকূল অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ
হওয়াতে বাড়িতে আসতেছি। কিন্তু না, মা। কারণ তুমিও হয়তো রেডিওতে
শুনেছ যে, গতকালকে পাকিস্তানি পুলিশরা রফিক, শফিক, জব্বার,
সালামসহ অনেককে গুলি করে হত্যা করে। বলো মা, এটা কি মেনে নেওয়া
যায়? তাই শপথ নিয়েছি— বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করে তবেই বাড়িতে
ফিরব । মা, তুমি দোয়া করিয়ো ।
ইতি
তোমার স্নেহের বিজয়
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
জীবন অনিত্য নয় । মানবকল্যাণে বা দেশের স্বার্থে যারা জীবনকে উৎসর্গ করতে পারে, তারাই যুগ যুগ ধরে মানুষের গর্ব ও প্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে থাকে। ঠিক যেমন আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদরা বেঁচে আছে আমাদের অন্তরে ।
চাচা-চাচি মারা যাওয়ার পরে প্রমিলার বাড়িতে আশ্রিত অমিত। অমিতের বয়স ১৪ প্রমিলার ১২। অমিতের নীরবতা, অসহায়ত্ব প্রমিলাকে আকৃষ্ট করে। কিন্তু প্রমিলার বাবা-মা অমিতকে আর রাখতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। অমিত বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার দিন প্রমিলা খুব কেঁদেছিল। অমিতকে বারবার না যাওয়ার অনুরোধ করেছিল।
মুরাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই ভয়ে পালাতে থাকে। মুরাদকে তার বন্ধুরা পালাতে বললে সে বলে, ‘সবাই পালালে দেশ স্বাধীন করবে কে? আমাকে থাকতেই হবে।'
মুর্দা ফকির এককালে গ্রামের স্কুল শিক্ষক ছিলেন। দুর্ভিক্ষে চোখের সামনে স্ত্রী, পুত্র-কন্যা সবাইকে মরতে দেখেছে। কিন্তু কাউকে কবরে যেতে দেখেনি। শেয়াল, কুকুর লাশগুলো টানাটানি করে খেয়েছে। সেই থেকে সে পাগলের মতো হয়ে গেছে। সর্বদা গোরস্থানে থাকে। ভাবে, মরবার সময় হলে টুক করে কোনো কবরে ঢুকে পড়বে ।