নাটকঃ বহিপীর
তাহেরার মতে, পির সাহেব-
i. বুদ্ধিমান
ii. ভন্ড ধার্মিক
iii. অর্থলোভী
নিচের কোনটি সঠিক?
সঠিক উত্তর হবে:
ক. i ও ii
তাহেরার মতে, পীর সাহেব বুদ্ধিমান এবং ভন্ড ধার্মিক।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
হালিম শহরে পড়াশোনা করে। তার বাবা পির এজন্য গ্রামের সবাই তাকে পরবর্তী পির বলে মনে করে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর হালিম গ্রামে ফিরলে গ্রামের মানুষ তার পোশাক ও আধুনিক কথাবার্তা শুনে অবাক হয় । তারা মনে করে হালিম বাবার সম্মান নষ্ট করেছে।
ব্যক্তিত্ববান পুরুষ স্থির। সহজে নিজেকে প্রকাশ করতে চায় না। হাজারো কষ্টকে হজম করে ফেলে। তাদের বুক ফাটলেও মুখ ফোটে যারা তারা বেদনার নিষ্কৃতি চায়। সফল হলে অতি উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে না। ব্যথ হলেও অতি আবেগে ভেঙে যায় না। তারা জীবনকে চেনে আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়। তারা জানে সত্য কঠিন তারপরও সত্যকেই ভালোবাসে। জীবনের নির্মম বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে জীবন পরিচালনা করে ।
ফারাহর রিকশাচালক বাবা তার মাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করে। নয় বছর জীবিকার ব্যবস্থা করে। যখন ১৩ বছর বয়স হয় তখন ৩০ বছরের এক বয়সের সময় ফারাহর মা ইন্তেকাল করেন। এলাকার মধ্যে চাঁদা তুলে তার এ বিয়েতে মোটেও রাজি নয়। জগতে তার আপন বলে কেউ নেই। তাই ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে। ছেলেটি বখে যাওয়া বেকার। ফারাহ তাকে এ বিয়ে মেনে নিতে হয়। আকাশের দিকে নিরুপায় হয়ে তাকিয়ে থাকে সে। অভিভাবকহীন জীবন কত দুঃসহ সেটা ফারাহ বুঝতে পারে।
করিমন নেসা এক দরিদ্র ঘরের মেয়ে। তার বয়স তেরো বছর। তার বাবা দিনমজুর ও মা অন্যের বাড়িতে কাজ করলেও তাদের সংসার চলে না। এ অবস্থা দেখে গ্রামের মহাজন লায়েক ব্যাপারী অর্থের লোভ দেখিয়ে করিমনকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। বাবা-মা এমন প্রস্তাবে রাজি হলেও করিমন বিয়ের আগের দিন নিরুদ্দেশ যাত্রা করে ও শহরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের আশ্রয় পায়। সে ওই বাড়িতে কাজ করে এবং সামান্য লেখাপড়াও শিখেছে। বাড়ির কর্ত্রী রাজিয়া বেগম তাকে এক চাকরিজীবীর সাথে বিয়ে দেন ।