১ম
কারাকাসের স্বৈরাচারী সরকারের কার্যক্রমে যখন সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ তখন হামাস বংশের হাফিস নামের বিপ্লবী এক নেতার আবির্ভাব ঘটে। তিনি সরকার উৎখাতের কর্মসূচির ডাক দেন। কর্মসূচিকে বেগবান ও সফল করার জন্য নানামুখী প্রলোভন ও প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে বিভিন্ন ভুক্তভোগী শ্রেণি ও সম্প্রদায়ের সমর্থন পেয়ে উক্ত সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হন।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
একজন মহান পুরুষের মৃত্যুর পর তাঁর প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্রে তাঁরই সফল উত্তরাধিকারীগণ ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। এদের মধ্যে জনাব 'ক' বয়স্কদের মধ্যে সবার আগে এই আদর্শ গ্রহণ করেছিলেন। জনাব 'ক' ছিলেন সম্পদশালী। তিনি তাঁর ধন-সম্পদ নতুন এই আদর্শ প্রচারে ব্যয় করেন। তাদের মতের অনুসারী অনেক ক্রীতদাসকে তাঁরা স্বীয় অর্থে মুক্ত করেন। বস্তুত, মহান পুরুষের মৃত্যুর পর 'ক' তার এই আদর্শ টিকিয়ে রাখেন।
জামাল, মারুফ, ফারুকদের মতো আরো অনেকে পদ্মার চরে বসবাস করে। সেখানের মালভূমিতে যে সামান্য শস্য উৎপন্ন হতো তা ছিল অতি নগন্য। তাই তারা পশুচারণ ও নৌযান লুণ্ঠন করে জীবিকা নির্বাহ করত। তারা ছিল বর্বর প্রকৃতির। দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে চর এলকার এক শ্রেণির সুদখোর গজিয়ে উঠে। সুদের টাকা সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় জামাল উদ্দিনের বড় ছেলেকে সুদখোরদের বাড়িতে রাখালের কাজ করতে হয়।
আমির হোসেন একজন যোগ্য শাসক, যিনি স্বীয় যোগ্যতা বলে তাঁর পূর্ব পুরুষগণ
কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বংশকে একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড় করান। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদেরকে দমন করে নিজ রাষ্ট্রকে সুসংহত করেন। রাজনৈতিক স্বার্থে অনেক ঘনিষ্ঠ প্রতিদ্বন্দ্বিকে তিনি সরিয়ে দেন। নিজ বংশের শাসকের জন্য একটি নগরীর পত্তন করেন যা পরবর্তী সময়েও সে বংশের রাজধানী হিসেবে পরিগণিত হয়। আমির হোসেনের শক্তিশালী। ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে তাঁকে বংশের শ্রেষ্ঠ শাসক হিসেবে অভিহিত করা হয়।
নাদির শাহ প্রজাদের সুবিধার্থে যে খাল খনন করেছিলেন তা আমাতুন বিবির খাল নামে পরিচিত। নাদির শাহের রাজ্যের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মানুষের মুখে মুখে। প্রজাদের প্রতি তার দরদ বিশ্ববাসী জেনে যায়। তার পার্শ্ববর্তী শক্তিধর রাজ্যের শাসক মানিক চাঁদ একবার তার রাজ্য আক্রমণ করলে নাদির শাহ এমন দাঁতভাঙা জবাব দেন যে, মানিক চাঁদ তার আনুগত্য স্বীকার করে কর প্রদানে বাধ্য হন।