১১ সংলাপ / খুদেগল্প
(ক) সম্প্রতি সাফ গেমস ফুটবলে ব্যর্থতা নিয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ তৈরি কর।
অথবা, (খ) প্রদত্ত উদ্দীপক অনুসরণে 'আমার শৈশব স্মৃতি' বিষয়ে একটি ক্ষুদে গল্প রচনা কর:
হারানো সে দিনের কথা বলব কীরে হায়..........
ক) উত্তরঃ
ইমরান : কিরে, খেলা শুরু না করে ফুটবল নিয়ে বসে আছিস যে।
তূর্য : তমাল, হিমু ওরা এখানো আসেনি। গত দুদিন তো খেলাই হয়নি ৷
ইমরান : কেন? খেলা হবে না কেন? তোরা কি সব একসাথে অসুস্থ ছিলি নাকি?
তূর্য : না, ইচ্ছে করেই ওরা ফুটবল খেলতে আসে না। সাফ গেমসের ব্যর্থতা ওদের ফুটবলের প্রতি অনিহা সৃষ্টি করেছে। আমি মনে করেছিলাম তুইও আসবি না।
ইমরান : আরে, আমি তো অসুস্থ ছিলাম তাই দুইদিন আসতে পারিনি। যদিও সাফ গেমস ফুটবলে বাংলাদেশের খেলা দেখে আমিও হতাশ হয়েছি। বাংলাদেশ কেন যে ভালো করতে পারছে না।
তূর্য : আমার মনে হয়, ক্লাব ফুটবলে বিদেশি খেলোয়াড়দের অতি প্রাধান্যই এর কারণ। লক্ষ করবি বাংলাদেশ দল যে সব অবস্থানে দুর্বল, ক্লাব ফুটবলে সেসব স্থানে বিদেশি খেলোয়াড় খেলে।
ইমরান : সেটা আমিও লক্ষ্য করেছি। তাছাড়া স্কুল পর্যায়ে ফুটবলার তৈরির কোনো প্রচেষ্টাও নেই।
তূর্য : শুধু কি তাই? ফুটবলারদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এবং বিদেশি কোচ নিয়ে সমস্যা তো লেগেই রয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের দেশি কোচ তৈরি করা উচিত ।
ইমরান : তোর হয়তো মনে আছে। অতীতে সাফ ফুটবলে আমরা খুব ভালো খেলেছি।
তূর্য : হ্যা, বাঙালি ফুটবল পাগল জাতি। আমাদের মতো লক্ষ-কোটি দর্শকের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে আরো শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
ইমরান : ক্লাব ফুটবল ও অন্যান্য সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে, বাংলাদেশ সাফ গেমসের শিরোপা জিতবেই।
খ) উত্তরঃ
আমার শৈশব স্মৃতি
‘হারানো সে দিনের কথা বলব কী রে হায়- সে চোখে দেখা প্রাণের কথা, সে কি ভোলা যায়।' হ্যাঁ, আমার জন্ম গ্রামে। বাংলাদেশের হাজারো গ্রামের মতো আমার গ্রামটিও ছায়া সুনিবিড়। জীবনের অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়েছে কিন্তু আমার শৈশব দিনগুলো আমার স্মৃতিপটে অক্ষয় হয়ে আছে।
স্নিগ্ধ পল্লিপ্রকৃতি ছিল আমার শৈশবের অন্তরঙ্গ বন্ধু। মনে পড়ে শৈশবের সেই দুরন্ত দিনগুলোকে। দস্যিপানায় ছিলাম অদম্য। সারাদিন কাটত ছোটাছুটি, লুটোপুটিতে। চাকরির প্রয়োজনে বাবা থাকতেন বিদেশে। মায়ের আদর ভালোবাসা শাসনের তুলনা ছিল অনেক বেশি। ফলে আমার ইচ্ছাটাই অনেক ক্ষেত্রে প্রাধন্য পেত। তার উপর দাদিমা ছিল আমার সব কাজের পক্ষে। তবে মাকে ভয়ও পেতাম খুব। সকাল হলেই ছুট দেয়ার জন্য মনটা উড়ু উড়ু করতো। নাশতাটা করতে পারলেই হতো, ছুটে বেরিয়ে যেতাম। বাড়ির পাশেই ছিল আমবাগান। যেখানে বন্ধু রাশেদকে নিয়ে গোপন আস্তানা তৈরি করেছিলাম।
বৈশাখের আম কুড়ানো ছিল সবচেয়ে আনন্দের বিষয়। ভোর হতেই দাদির তৈরি করে দেওয়া সুপুরির খোলার ব্যাগ নিয়ে আম কুড়াতে বেরোনো, কালবৈশাখীর সময় গাছতলায় ছোটাছুটি ইত্যাদি মধুময় স্মৃতি এখনও মানসপটে জ্বলজ্বল করে। সবচেয়ে যে আমার চেতনায় সদা জাগ্রত সেটা আমাদের বাড়ির পশ্চিম পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদীকে।
গ্রামের শীর্ণ নদীতে সাঁতার কাটা, মাছ ধরা ছিল আমার নৈমিত্তিক কাজ। প্রতিদিনের মতো সেদিনও সাঁতার কাটছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরেছিলাম যে, একবারেই সাঁতরে নদীর ওপারে যেতে পারবো। জেদের বশবর্তী হয়ে সাঁতার দিলাম কিন্তু মাঝ নদীতে গিয়ে পড়লাম ঘূর্ণিস্রোতে। আর এগুতে না পেরে অবশেষে চিৎকার দিলাম, যা শুনে মাছ ধরতে আসা জেলেরা আমাকে উদ্ধার করে। শৈশবের এসব মধুর স্মৃতি মানসপটে এখনও অমলিন। জীবনে সবকিছু ভুলে গেলেও শৈশবের সেই মধুময় স্মৃতিগুলো কখনো ভোলার নয়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক)
জ্ঞানচর্চায় বিজ্ঞানের ভূমিকা দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপতৈরি কর।
অথবা,
(খ) প্রদত্ত উদ্দীপক অনুসরণে 'পানি-দূষণ' বিষয়ে একটি ক্ষুদে গল্প রচনা কর:-
লঞ্চ ভ্রমণের সময় বুড়িগঙ্গা নদীর পানির রং দেখে রাহাত বিস্মিত হয়।…………….
(ক) নিরাপদ সড়ক চাই বিষয়ে দুজনের মধ্যে একটি সংলাপ রচনা কর ।
অথবা,
(খ) "তুমি অধম তাই বলিয়া আমি উত্তম হইব না কেন? উদ্দীপকটি অনুসরণে একটি খুদে গল্প রচনা কর।
(ক) মেট্রোরেল ভ্রমণের আনন্দকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর সংলাপ তৈরি কর।
অথবা, (খ) 'স্বপ্ন পূরণের আশা' শিরোনামে একটি খুদে গল্প লেখ।
(ক) 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও আবহমান বাংলাদেশ' বিষয়ে পিতা ও কন্যার সংলাপ রচনা কর।
অথবা,
(খ) নিচের উদ্দীপক অনুসরণ করে একটি খুদে গল্প লেখ।
হেমন্তের পড়ন্ত বিকেল। খালের ধারের আমগাছটার নিচে বসে আছে আয়মান। হঠাৎ পিছনে কারো পায়ের শব্দ শুনে চমকে উঠলো সে।....