নাটকঃ বহিপীর
আবু হানিফ পৈতৃক জমিজমা বিক্রি করে লাভের আশায় দোকানে অনেক মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য মজুত করেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাম পড়ে যায় । এমনকি ভোক্তাগণ ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ করলে তদন্ত টিম এসে তার সত্যতা প্রমাণ করে। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। তাকে জেলে যেতে হয় । কৃত অপরাধের উপযুক্ত সাজা ভোগ করতে হয়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
হালিম শহরে পড়াশোনা করে। তার বাবা পির এজন্য গ্রামের সবাই তাকে পরবর্তী পির বলে মনে করে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর হালিম গ্রামে ফিরলে গ্রামের মানুষ তার পোশাক ও আধুনিক কথাবার্তা শুনে অবাক হয় । তারা মনে করে হালিম বাবার সম্মান নষ্ট করেছে।
ব্যক্তিত্ববান পুরুষ স্থির। সহজে নিজেকে প্রকাশ করতে চায় না। হাজারো কষ্টকে হজম করে ফেলে। তাদের বুক ফাটলেও মুখ ফোটে যারা তারা বেদনার নিষ্কৃতি চায়। সফল হলে অতি উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে না। ব্যথ হলেও অতি আবেগে ভেঙে যায় না। তারা জীবনকে চেনে আঘাতে আঘাতে বেদনায় বেদনায়। তারা জানে সত্য কঠিন তারপরও সত্যকেই ভালোবাসে। জীবনের নির্মম বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে জীবন পরিচালনা করে ।
ফারাহর রিকশাচালক বাবা তার মাকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করে। নয় বছর জীবিকার ব্যবস্থা করে। যখন ১৩ বছর বয়স হয় তখন ৩০ বছরের এক বয়সের সময় ফারাহর মা ইন্তেকাল করেন। এলাকার মধ্যে চাঁদা তুলে তার এ বিয়েতে মোটেও রাজি নয়। জগতে তার আপন বলে কেউ নেই। তাই ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক করে। ছেলেটি বখে যাওয়া বেকার। ফারাহ তাকে এ বিয়ে মেনে নিতে হয়। আকাশের দিকে নিরুপায় হয়ে তাকিয়ে থাকে সে। অভিভাবকহীন জীবন কত দুঃসহ সেটা ফারাহ বুঝতে পারে।
মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের জনাব আবদুর রহমান অনেক ধনসম্পদের মালিক ছিলেন। কিন্তু ওই দেশের জান্তা সরকারের নির্যাতনে তাঁর বড়ো ব্যাবসা; জমিজমা, ঘরবাড়ি সব রেখে কোনো মতে জীবন রক্ষার জন্য পরিবারকে নিয়ে শরণার্থী হিসেবে চট্টগ্রামে চলে আসেন। এখন বৃদ্ধ বয়সে অসচ্ছলতার তাবুতে থাকতে থাকতে অতীতের কথা মনে করে চোখের পানি মুছতে থাকেন ।