সাম্যবাদী
শিক্ষকতার দীর্ঘ জীবনে রহিম সাহেবের কাছে শিক্ষার্থীদের ধর্মীয়, সামাজিক কিংবা অর্থনৈতিক পরিচয় কখনো বড় হয়ে ওঠেনি। জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি আশপাশের মানুষদের মানবতাবাদে দীক্ষিত করা ছিল তাঁর জীবনব্রত। এখন তাঁর অবসর কাটে সামাজিক আর ব্যক্তি মানুষের কল্যাণকর্মে। ধর্মীয় গোঁড়ামি কিংবা অন্ধ সংস্কারের কারণে সমাজে যখন অনাচার দেখা দেয় তখন রহিম সাহেব সর্বশক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। তিনি তাঁর শিক্ষার্থীদের প্রায়ই চণ্ডীদাসের সেই অমর উচ্চারণ মনে করিয়ে দিতেন, "সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।"
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে?
- লালন কয়, জাতের কী রূপ, দেখলাম না এ নজরে।
কেউ মালা কেউ তসবি গলায়, তাইতো কী জাত ভিন্ন বলায়,
যাওয়ার কিংবা আসার বেলায়, জাতের চিহ্ন রয় কার রে।
মৃত পুঁথি- কঙ্কাল দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?
আবির হোসেন একজন শিক্ষক। তিনি তাঁর শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি সবসময় সৎ, শুভ ও সুন্দরের পথে চলার উপদেশ দিতেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে আমরা যে সবাই মানুষ, সেই মানুষের কথা বলতেন, মনুষ্যত্বের কথা বলতেন। তিনি আরও বলতেন, আমি একজন মুসলমান হয়ে শুধু মুসলমান শিক্ষার্থীকে পড়াতে আসিনি। আমি এসেছি সবার শিক্ষক, অর্থাৎ মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে।
নাইকো এখানে কালা ও ধলার আলাদা গির্জা-ঘর,
নাইকো পাইক-বরকন্দাজ নাই পুলিশের ডর।
এই সেই স্বর্গ, এই সেই বেহেস্ত, এখানে বিভেদ নাই,
যত হাতাহাতি হাতে হাত রেখে মিলিয়াছে ভাই ভাই!
নাইকো এখানে ধর্মের ভেদ শাস্ত্রের কোলাহল,
পাদরি-পুরুত-মোল্লা-ভিক্ষু এক গ্লাসে খায় জল।