বিলাসী
'মৃত্যুঞ্জয়' রান্না করে খেত কেন?
তাহার ফোর্থ ক্লাসে পড়ার ইতিহাসও কখনো শুনি নাই, সেকেন্ড ক্লাসে উঠিবার খবরও কখনো পাই নাই। মৃত্যুঞ্জয়ের বাপ-মা, ভাই-বোন কেহই ছিল না, ছিল শুধু গ্রামের একপ্রান্তে একটা প্রকাণ্ড আম-কাঁঠালের বাগান, আর তার মধ্যে একটা প্রকাণ্ড পোড়ো-বাড়ি, আর ছিল এক জ্ঞাতি খুড়া। খুড়ার কাজ ছিল ভাইপোর নানাবিধ দুর্নাম রটনা করা- সে গাঁজা খায়, সে গুলি খায়, এমনি আরও কত কী! তাঁর আর একটা কাজ ছিল বলিয়া বেড়ানো, ঐ বাগানের অর্ধেকটা তাঁর নিজের অংশ, নালিশ করিয়া দখল করার অপেক্ষা মাত্র। অবশ্য দখল একদিন তিনি পাইয়াছিলেন বটে, কিন্তু সে জেলা-আদালতে নালিশ করিয়া নয়- উপরের আদালতের হুকুমে। কিন্তু সে কথা পরে হইবে।
মৃত্যুঞ্জয় নিজে রাঁধিয়া খাইত এবং আমের দিনে ঐ আম-বাগানটা জমা দিয়াই তাহার সারা বৎসরের খাওয়া-পরা চলিত এবং ভালো করিয়াই চলিত। যেই দিন দেখা হইয়াছে, সেইদিনই দেখিয়াছি ছেঁড়া-খোঁড়া মলিন বইগুলি বগলে করিয়া পথের এক ধার দিয়া নীরবে চলিয়াছে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
অসুস্থ সুমন মিয়ার দুর্দিনে তার সব আত্মীয়স্বজন দূরে চলে যায়। তার স্ত্রী নিজের গয়না বিক্রি করে এবং সমস্ত সঞ্চয় নষ্ট করে সুমন মিয়ার ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। স্ত্রীর সেবা ও ডাক্তারদের প্রচেষ্টায় সুমন মিয়া সুস্থ হয়ে তার সব সম্পত্তি স্ত্রীর নামে লিখে দেয়। এতে তার আত্মীয়স্বজনেরা সুমন মিয়াকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন অপবাদ প্রচার করতে থাকলে সুমন মিয়া তার স্ত্রীর ত্যাগ আর দয়ার্দ্র আচরণের কথা মনে করিয়ে দেয়।
"দোকানের খাবার কিনিয়া খাওয়াইতে গ্রামের মধ্যে তাহার জোড়া ছিল না।"
এখানে 'জোড়া' শব্দটি কী বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে?
করি না বিচার জাতিধর্মের
কোনো ভেদাভেদ ভাষা বর্ণের
সবাই মানুষ এই পরিচয়
হৃদয়ে নিরন্তর।
মৃত্যুঞ্জয়ের তিনকুলে কেউ নেই। বিশাল পোড়া বাড়ির মাঝখানে ভাঙা কুটিরে তার বাস। কিন্তু তার সম্পদে লালসা জাগে খুড়োর। স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মৃত্যুঞ্জয়ের নামে নানা অপকৌশল রটনা করে।
প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও উদ্দীপক ও বিলাসী গল্পে যেদিক ফুটে উঠে-
i. সমাজ শোষণ
ii. ব্যক্তিস্বার্থ চেতনা
iii. দারিদ্র্যের প্রতি করুণা
নিচের কোনটি সঠিক?