মাসি-পিসি
'মাসি-পিসি' গল্পের বৈচিত্র্যময় দিক হলো-
i. দুর্ভিক্ষের মর্মস্পশী স্মৃতি
ii. প্রকৃতির প্রতি নিবিড়তা
iii. মানবিক জীবনসংগ্রাম
নিচের কোনটি সঠিক?
• 'মাসি-পিসি' মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কতৃক রচিত গল্প। যেখানে লেখক দুর্ভিক্ষকালীন মানবিক সংকট ও জীবনসংগ্রামের মর্মস্পর্শী চিত্র অঙ্কন করেছেন। গল্পের মূল বৈচিত্র্য মানবিক বেদনাকে ফুটিয়ে তোলা।গল্পটি দুর্ভিক্ষের পটভূমিতে রচিত।মাসি-পিসির মতো চরিত্রগুলো সমাজের নিচুস্তরের প্রতিনিধিত্ব করে, যারা এই দুর্ভিক্ষে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।গল্পের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মানুষের জীবনসংগ্রামের দিকটি। দুর্ভিক্ষের মতো বড় সংকট মোকাবিলায় মাসি ও পিসির জীবনযাপন এবং তাদের দৈনন্দিন সংগ্রাম গল্পের কেন্দ্রে রয়েছে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
মাসি-পিসির সমস্ত মন জুড়ে কীসের ভাবনা রয়েছে?
ছলছল চোখে আহ্লাদির দিকে কে তাকিয়েছিল?
স্বামীহারা তাহেরা বিবির নদী তীরের ছোট্ট বাড়িটা বন্যায় তলিয়ে গেলে আরো অনেকের মতো রাস্তার পাশের বাঁধে নতুন আশ্রয় গড়ে তুলেছে। সরকারি ত্রাণ আর জমানো কিছু টাকা নিয়ে অনিশ্চিত জীবনের প্রহর গুনছে সে। চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে জীবন এখন তার কাছে একটা যুদ্ধের মতো। এর মধ্যে দুর্বৃত্তের দল রাতের আঁধারে নিরীহ মানুষের শেষ সম্বলও লুটে নিচ্ছে। তাহেরা জানে এ যুদ্ধে তাকে জিততেই হবে। তাই সে রামদা হাতে প্রহরীর মতো জেগে থাকে।
এইখানে তোর বুজির কবর পরীর মতন মেয়ে,
বিয়ে দিয়েছিনু কাজিদের বাড়ি বনিয়াদি ঘর পেয়ে।
এত আদরের বুজিরে যে তাহারা ভালোবাসিত না মোটে,
হাতেতে যদিও না মারিত তারে শত যে মারিত ঠোঁটে।