মানবদেহের সহজাত ও অর্জিত প্রতিরক্ষা
মানবদেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রধান যোদ্ধা কোনটি?
ক. T-কোষ (T-Cell) : যে সকল কোষ থাইমাসে বর্ধিত হয় তাদের T-কোষ বলে । T-কোষে বহু প্রকরণ রয়েছে এবং এরা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকে। এক ধরনের T-কোষ মনোনিউক্লিয়ার ফ্যাগোসাইটের সাথে সংযোগ রক্ষা করে এবং অন্তর্নিহিত অ্যান্টিজেন ধ্বংসে ফ্যাগোসাইট কোষকে সহায়তা করে। এদের প্রথম ধরনের সাহায্যকারী T-কোষ (Helper-1T-Cell) বলে । অন্যদিকে আর এক ধরনের T-কোষ B-কোষের সংযোগ রক্ষা করে বিভাজিত হয় এবং অ্যান্টিবডি তৈরিতে সহায়তা করে। এরা দ্বিতীয় সাহায্যকারী T-কোষ (Helper-2T-Cell) নামে পরিচিত। এদের যথাক্রমে Tul ও TH2 দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। আবার তৃতীয় এক ধরনের T-কোষ বাহকের অণুজীব সংক্রমিত কোষকে ধ্বংস করে । এ প্রতিক্রিয়াকে কোষ বিধ্বংস ক্রিয়া (cytotoxicity) বলে । এসব T-কোষকে সাইটোটক্সিক T-কোষ বলে এবং Te দ্বারা চিহ্নিত করা হয় ।
খ. B-কোষ (B-Cell) : অস্থিমজ্জায় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত লিম্ফোসাইটকে B-কোষ বলা হয়। এগুলো প্রধানত অ্যান্টিবডি উৎপাদনকারী কোষ । প্রতিটি B-কোষ সুনির্দিষ্ট অ্যান্টিবডি উৎপাদনের জন্য নিয়োজিত থাকে । অ্যান্টিবডি রক্তে প্রবাহিত অ্যান্টিজেনকে ঘিরে ফেলে এবং ধ্বংস করে। যখন কোনো B-কোষ অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয় তখন এটি আকারে অনেক বড় হয়। এ অবস্থায় একে প্লাজমাকোষ (plasma cell) বলে । প্রকৃতপক্ষে একটি প্লাজমা কোষ অ্যান্টিবডি উৎপাদনের কারখানা হিসেবে কাজ করে। একটি প্লাজমাকোষ থেকে লক্ষ লক্ষ অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয় এবং রক্তে মিশে যায় ।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই