শ্রম
জাবেদ এবং জমসেদ দুইজন পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে একটি পুকুরে মাছ চাষের বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হন। পুকুরে মাছ চাষ এবং যাবতীয় পর্যালোচনার জন্য তিনি দৈনিক ৫০০ টাকায় জসিম নামক একজন কর্মচারী নিয়োজিত করেন। কিন্তু জসিমের দৈনিক পারিবারিক ব্যায় ৮০০ টাকা।তাই তাকে অন্যত্র কাজ করে আরও ৩০০ টাকা আয় করতে হয়। পরবর্তীতে জাবেদ ও জামসেদ কর্মচারী জসিমের বেতন ৮০০ টাকা করে দেয়, ফলে জসিমকে অন্যত্র কাজ করে বাড়তি আয় করতে হয় না।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
আকমল সাহেব একজন চাল উৎপাদনকারী। তিনি তার ধান কলে কার্যসম্পাদনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদেরকে তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দেন। যার ফলে তিনি সফলতা অর্জন করেছেন।
আমজাদ সাহেব একটি গ্রুপ অব কোম্পানির মালিক। তার সুগার মিলে কর্মরত কিছু শ্রমিককে জুট মিলে নিয়োগ দেওয়া হয়। কারণ উক্ত শ্রমিকরা নতুন বিধায় দক্ষতা ছিল না বললেই চলে। জুট মিলে গিয়েও তারা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল দেখাতে পারল না। আমজাদ সাহেব তার একজন বন্ধুর সাথে বিষয়টি আলোচনা করলে বন্ধুটি এভাবে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন না করে শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
মি. তাহের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা একজন উচ্চশিক্ষিত যুবক। তিনি সবসময় নিজ গ্রামের স্বল্প শিক্ষিত বেকার যুবকদের কথা ভেবেছেন। এ ভাবনার আলোকেই স্বল্পশিক্ষিত যুবকদের নিয়ে নিজ গ্রামে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প গড়ে তুলেছেন। এ শিল্পে গ্রামের যুবকরা কাজ করে যে বেতন পান তা দিয়ে একদিকে এনেছেন তাদের পারিবারিক সচ্ছলতা, অন্যদিকে মি. তাহেরও পেয়েছেন আর্থিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠা।
আলিম ও জামিল দুই ভাই মিলে 'ভাই ভাই' নামে একটি বেকারি স্থাপন করে ব্যবসায় শুরু করেন। প্রথমে ৫ জন শ্রমিক নিয়োগ করে বেকারি পরিচালিত হলেও ব্যবসায়ের পরিধি বেড়ে যাওয়ায় আরও ১০ জন দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শ্রমিক নিয়োগ দেন। ফলে আগের তুলনায় উৎপাদন বাড়ে এবং মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি হয়। একই উপকরণ ব্যবহার করে আগের তুলনায় সম্পদের সদ্ব্যবহার, উৎপাদন ও মুনাফা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। ‘ভাই ভাই’ বেকারিটি অল্পদিনেই ব্যবসায়ী সুনাম অর্জন করে ও পাশাপাশি মুনাফা বাড়ে।