একাত্তরের দিনগুলি
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা শক্ত অবস্থান নিয়েছে । পুরো এলাকার মানুষ ঘর ছেড়ে বের হবার সাহস পায়নি। একদিন এক চা বাগানের কয়েকজন কর্মচারী নিজেদের তৈরি বোমা ফাটিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের তিনটি জিপ উড়িয়ে দেয়। নিহত হয় বেশ কয়েকজন সেনা। তারপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত চলতে থাকে গেরিলা হামলা ।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
দিনপঞ্জি হয়তো সবাই লেখেন কিন্তু সব দিনপঞ্জিতে দেশের কথা, যুদ্ধের কথা, সমাজে পরিবর্তনের কথা সবসময় লিপিবদ্ধ নাও থাকতে পারে। নিজের একান্ত ব্যক্তিগত জীবন কাহিনি, কেউবা নিজের ভালো লাগা, মন্দ লাগার কথা লিখে থাকেন। তবে যেসব দিনপঞ্জিতে যুদ্ধের কথা থাকে, সমকালীন ইতিহাসের কথা থাকে— সেসব দিনপঞ্জি পরবর্তীকালে প্রজন্মের কাছে একটি প্রামাণ্য দলিল হয়ে ধরা দেয়।
একদিন সাবুদের গ্রামের পাশ দিযে গেল আট-নয় জনের একটি পরিবার। একজন সত্তর বছরের বুড়ো আছেন তাদের সঙ্গে। তিনটি মাঝ-বয়সী মেয়ে, ত্রিশ থেকে চল্লিশের মধ্যে বয়স; তাকে ধরে ধরে আনছে। সঙ্গে আরো পাঁচ-ছয়টি কুঁচো ছেলেমেয়ে, কেউ আট বছরের বেশি নয়। বুড়ো ঠিকমতো হাঁটতে পারে না। মেয়ে তিনটির সাহায্য নেয় । শোনা গেল, বুড়োর তিন ছেলেকেই মিলিটারি গুলি করে মেরেছে । সঙ্গী মেয়ে তিনটি বিধবা বউ। কুঁচো চেলেমেয়েগুলো বুড়োর নাতি-নাতনি
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিশ্চিত পরাজয় জেনে ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এসকল বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ছিলেন লেখক, সাহিত্যিক, আর্টিস্ট, অভিনেতা, সিনেমা নির্মাতা, শিক্ষক, ডাক্তার ইত্যাদি নানা পেশার ব্যক্তিবর্গ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী চেয়েছিল বাংলাদেশকে সার্বিকভাবে পঙ্গু করে দিতে। এই নির্মম ঘটনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য আমরা ১৪ই ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালন করে থাকি।