উপন্যাসঃ কাকতাড়ুয়া
কেশবপুরের জমিদার রমজান শেখের পুত্র সরফরাজ প্রায়শই খাজনার অর্থ আদায়ের অজুহাতে প্রজাদের উপর নির্যাতন করত। প্রজারা প্রতিবাদ করতে ভয় পেত। তবে তরুণ প্রজা জমশেদ এসব অন্যায়-অত্যাচার মেনে নিতে পারেনি। একদিন রাতের অন্ধকারে জমশেদ সরফরাজের উপর অতর্কিত হামলা করে। সরফরাজ কিছু বুঝে ওঠার আগেই জমশেদ সটকে পড়ে । পরের দিন জমশেদসহ সন্দেহভাজন কয়েকজনকে ডেকে সরফরাজ তাদের জেরা করে ।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
জীবন অনিত্য নয় । মানবকল্যাণে বা দেশের স্বার্থে যারা জীবনকে উৎসর্গ করতে পারে, তারাই যুগ যুগ ধরে মানুষের গর্ব ও প্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে থাকে। ঠিক যেমন আমাদের দেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদরা বেঁচে আছে আমাদের অন্তরে ।
স্বাধীনতার অর্থ যদি হয়গো সুখের হাসি । আজকে কেন থমকে থাকে রাখাল ছেলের বাঁশি? স্বাধীনতা সূর্য আকাশ, মুক্ত হিরে পান্না। তবু কেন গুমরে ওঠে আমার মায়ের কান্না? স্বাধীনতা কই? স্বাধীনতা দুঃখীর ঘরে কষ্টে থাকে সই।
কাঠমিস্ত্রি বাবার সন্তান হৃদয় চন্দ্র তরুয়া। পড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে। সন্তানের লেখাপড়ার খরচ জোগানোর জন্য বিভিন্ন বাসায় কাজ করে। ছেলে মা-বাবাকে স্বপ্ন দেখায়। মাস্টার্স পাশ করে বড়ো চাকরি করলে তাদের আর দুঃখ থাকবে না। এক্ষেত্রে কোটাপ্রথা তার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই আন্দোলনে নেমে বৈষম্যের বিরুদ্ধে যখন স্লোগান তোলে তখন তার হৃদয় বরাবর গুলি করে খুনি মিঠু। মুহূর্তেই স্বপ্নের পথ পরিষ্কার করতে গিয়ে পথেই লুটিয়ে পড়ে হৃদয় । না খেয়ে যে মা-বাবা নিজেদের স্বপ্নকে মরতে দেননি সেই স্বপ্নকে এক গুলিতেই শেষ করে দেয় ঘাতকের নির্মম বুলেট।
মুক্তিকামী দুরন্ত পথিক দুর্গম পথ অগ্রসরমান। আর্তমানবতায় মুক্তিই তার কাম্য, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে সে স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে আনবে। লক্ষ-কোটি পরাধীন মানুষ তার পথ চেয়ে রয়েছে। উজ্জ্বল দৃষ্টি মেলে তারা স্বপ্ন দেখে- একদিন তাদের আকাঙ্ক্ষিত মুক্তিবার্তা আসবেই ।