১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারাংশ লেখো:
মানুষের একটা বড়ো পরিচয় সে ভাবতে পারে। করতে পারে যেকোনো বিষয়ে চিন্তা। যে চিন্তা ও ভাব মানুষকে সাহায্য করে মানুষ হতে। পশুপাখিকে পশুপাখি হতে ভাবতে হয় না- পারেও না ওরা ভাবতে বা চিন্তা করতে। সে বালাই ওদের নেই। যেটুকু পারে তার পরিধি অত্যন্ত সংকীর্ণ- বাঁচা ও প্রজননের মধ্যে তা সীমিত। সভ্য- অসভ্যের পার্থক্যও এ ধরনের। যারা যত বেশি চিন্তাশীল, সভ্যতার পথে তারাই তত বেশি অগ্রসর। আর চিন্তার ক্ষেত্রে যারা পেছনে পড়ে - আছে, সভ্যতারও পেছনের সারিতেই তাদের স্থান।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো: প্রাণ থাকলে প্রাণী হয় কিন্তু মন না থাকলে মানুষ হয় না।
(ক) উত্তরঃ
সারাংশ: মানুষ জন্মগতভাবেই ভাবনা-চিন্তা করতে সক্ষম। এই ক্ষেত্রে অন্য পশুপাখিরা অসহায়। তারা সীমিত পরিধির মধ্যে থেকে জীবিকা ও প্রজনন পদ্ধতি সচল রেখেছে। ভালো-মন্দ চিন্তা করার সক্ষমতা সভ্যতার মাপকাঠি নির্ণয় করে।
(খ).উত্তর:
মূলভাব: প্রাণীর শুধু প্রাণ আছে বলেছ তারা প্রাণ। মানুষের মন বা বিবেক আছে কিন্তু পশুদের তা নেই। কিন্তু মন এমন এক অমূল্য সম্পদ যার প্রভাবে মানুষ প্রাণী হয়েও মানুষ নামে পরিচিত। মনই মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে পৃথক করেছে ।
সম্প্রসারিত ভাব: পৃথিবীতে যত প্রকার জীব রয়েছে তার প্রতিটিরই প্রাণ
আছে। এ বিচারে মানুষও অন্য দশটা প্রাণীর মতো একটা প্রাণী। শুধু মনই মানুষকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করেছে। পৃথিবীতে নিজেকে । আত্মপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য মানুষকে মহৎ গুণাবলির অধিকারী হতে হয়। মানুষের মধ্যে দুটি সত্তা বিরাজমান- একটি প্রাণীসত্তা, অন্যটি মানবসত্তা। শুধু প্রাণকে ধারণ করেই মানুষ নামের যোগ্য হওয়া যায় না। জগতের অন্যান্য প্রাণীর প্রাণ আছে, অনুরূপ মানুষেরও প্রাণ আছে। কিন্তু মানুষের মাঝে এমন কতগুলো মানবীয় বৈশিষ্ট্য আছে, যা অন্য প্রাণীর নেই। এখানেই মানুষের সঙ্গে অন্যান্য প্রাণীর পার্থক্য। মানুষের মন আছে বলেই মানুষ তার হৃদয়বৃত্তির বিকাশের সুযোগ পেয়েছে। তাই অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা হয়ে দৈনন্দিন জীবনের দ্বন্দ্ব-সংঘাত, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ- লালসা স্বার্থচিন্তা, কুমন্ত্রণা ইত্যাদির ক্লেদাক্ত স্পর্শ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে পারে। পৃথিবীতে যে প্রাণী মানবদেহের আকৃতি নিয়ে জন্মগ্রহণ করেও তার হৃদয়বৃত্তির বিকাশ ঘটাতে পারেনি এবং তার মনের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পারেনি- সে মূলত প্রাণীর সমতুল্য। যে মানুষ ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা করতে পারে এবং মনের মধ্যে মহৎ গুণাবলি অর্জন করে, সে যথার্থ মনুষ্যত্বের অধিকারী হতে পারে। মনের বিকাশের মাধ্যমে মানুষ মহৎ গুণাবলি অর্জন করতে পারে এবং যথার্থ মানুষের মর্যাদা পায়। তাই শুধু প্রাণ নয়, মনই মানুষকে মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
মন্তব্য: মানুষ এবং পশুর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে- মানুষের বিচার-বুদ্ধির ক্ষমতা, মহানুভবতা, ন্যায়পরায়ণতা ইত্যাদি গুণ রয়েছে, কিন্তু পশুর নেই। শুধু প্রাণই নয়, মন বা বিবেকই মানুষকে মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আত্মপরিচয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখো:
আমরা নূতন, আমরা কুঁড়ি, নিখিল বন-নন্দনে
ওষ্ঠে রাঙা হাসির রেখা, জীবন জাগে স্পন্দনে।
লক্ষ আশা অন্তরে, ঘুমিয়ে আছে মন্তরে,
ঘুমিয়ে আছে মুখের ভাষা পাপড়ি পাতার বন্ধনে।
সকল কাঁটা ধন্য করে ফুটব মোরা ফুটব গো,
প্রভাত-রবির সোনার আলো দু'হাত দিয়ে লুটব গো।
নিত্য নবীন গৌরবে, ছড়িয়ে দিব সৌরভে,
আকাশ পানে তুলব মাথা, সকল বাঁধন টুটব গো।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারমর্ম লেখো:
সবারে বাসিব ভালো, করিব না আত্মপর ভেদ
সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ।
মানুষের সাথে কভু মানুষের রবে না বিচ্ছেদ-
সর্বত্র মৈত্রীর ভাব করিবে বিরাজ।
দেশে দেশে যুগে যুগে কত যুদ্ধ কত না সংঘাত
মানুষে মানুষে হলো কত হানাহানি।
এবার মোদের পুণ্যে সমুদিবে প্রেমের প্রভাত
সোল্লাসে গাহিবে সবে সৌহার্দ্যের বাণী।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
স্বদেশের উপকারে নেই যার মন কে বলে মানুষ তারে? পশু সেই জন।