১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারাংশ লেখ:
'মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেহ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে পারিত যে, সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই লাইব্রেরির তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্পির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িযা আছে। ইহারা সহসা যদি বিদ্রোহী হইয়া উঠে, নিস্তব্ধতা ভাঙিয়া ফেলে, অক্ষরের বেড়া দগ্ধ করিয়া একবারে বাহির হইয়া আসে। হিমালয়ের মাথার উপরে কঠিন বরফের মধ্যে যেমন কত কত বন্যা বাঁধা আছে, তেমনি এই লাইব্রেরির মধ্যে মানবহৃদয়ের বন্যাকে বাঁধিয়া রাখিয়াছে।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে, সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।
(ক) উত্তরঃ গ্রন্থাগার হলো জ্ঞানের এক নীরব মহাসমুদ্র। হাজার বছরের জ্ঞান ও মানবহৃদয়ের আবেগ, উচ্ছ্বাস বিভিন্ন গ্রন্থে লিপিবদ্ধ হয়ে গ্রন্থাগারে রক্ষিত হয়।
(খ) উত্তরঃ
মূলভাব:
স্বার্থপর মানুষ নীচ, হীন। যে আত্মস্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকে তার জীবনের কোনো মূল্য নেই। সে আসলে জীবিত থেকেও মৃত। কেননা স্বার্থাণে আত্মা মৃতেরই শামিল। স্বার্থমগ্ন থেকে যে জন বিমুখ সে এই বৃহৎ জগৎ কখোন বাচিঁতে শেখেনি।
সম্প্রসারিত ভাব:মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জিত হয়েছে তার বিচিত্র কর্মসাধনা দ্বারা। সামাজিক জীব হিসেবে মানুষ এককভাবে মাংসম্পূর্ণ নয়। তাই পারস্পরিক সাহায্য, সহানুভূতি, সহমর্মিতার মাধ্যমে তার জীবনযাপন অপরিহার্য হয়ে পড়ে। তাছাড়া প্রকৃতির নিয়মে মানুষ মরণশীল। চিরকাল পৃথিবীতে টিকে থাকা তার পক্ষে সম্ভব নয়। পারস্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সহযোগিতা ও কল্যাণ কামনার মাধ্যমে একদিকে যেমন মানুষ জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়- তেমনি নিজেকে অপরের হৃদয়ে তথা দেশ, জাতি, সমাজ, সংসার, আন্তরিকতা ও মর্যাদার চিরস্থায়ী আসনে অধিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়। সৌহার্দ্য, আন্তরিকতা, মঞ্চাল চিন্তা, জগতের শুভাশুভ বোধ মানুষের টিকে থাকাও মনুষ্যত্বের নিয়ামক। কিন্তু লোভ-লালসা, স্বার্থপরতা, ঈর্ষাপরায়ণতা, অকল্যাণ চিন্তা এগুলো মানুষের মনুষ্যত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব ও জীবনধারণের পরিপন্থী। তাই আত্মস্বার্থ নিয়ে নিমগ্ন ব্যক্তি মানুষের অকল্যাণের কারণ ও ঘৃণার পাত্র। তার জীবন আসলে মূলাহীন। তার জীবন মৃত্যুরই নামান্তর। স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে সে কখোন শেখেনি বাচিঁতে আমাদের উচিত সঠিক পথে থাকা।
মন্তব্যঃ
মানুষে মানুষে স্বার্থচিন্তা সর্বদা বিরাজ করে। কিন্তু মূল বিচারে তারা ঘৃণার পাত্র। আমাদের সকলের উচিত স্বার্থমগ্ন বিমুখ থেকে বিরত থাকা যাতে সকলকে আমরা সাহায্য করতে পারি। তাই বলয়েছে। স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে সে কখোন শেখোনি বাচিঁতে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখ:
হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়-
এবার কঠিন কঠোর গদ্য আনো
পদ-লালিত্য ঝংকার মুছে যাক,
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো।
প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা-
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি;
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়-
পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
(ক) সারমর্ম লেখ:
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতেই সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে।