১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারাংশ লেখ:
এটা স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, পৃথিবীতে যেখানে এসে তুমি থামবে সেখান হতেই তোমার ধ্বংস আরম্ভ হবে, কারণ তুমিই কেবল একলা থামবে, আর কেউ থামবে না। জগৎ প্রবাহের সঙ্গে সমগতিতে যদি চলতে না পারতো প্রবাহের সমস্ত সচল বেগ তোমার ওপর এসে আঘাত করবে, একেবারে বিদীর্ণ বিপর্যন্ত হবে কিংবা অল্পে অল্পে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কালস্রোতের তলদেশে অন্তর্হিত হয়ে যাবে। হয় অবিরাম চল এবং জীবনচর্চা করো, নয় বিশ্রাম করো এবং বিলুপ্ত হও। পৃথিবীর এই রকম নিয়ম।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) উত্তরঃ
সারাংশ: গতিশীল ও কর্মময় জীবনে সর্বদা মানুষকে সমানতালে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। অন্যথায়, গতির আঘাতে জীবন স্থবির, ক্ষয়প্রাপ্ত, বিলুপ্ত ও বিপর্যপ্ত হয়ে সাগরের অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়। তাই কর্মময় জীবন চর্চায় গতিশীলতা পৃথিবীর স্বাভাবিক নিয়ম।
(খ) উত্তরঃ
মূলভাব:
শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত হলেই তাকে শিক্ষিত বলা যাবে না। সুশিক্ষিত হতে হলে তার মধ্যে সৃজনশীল অনুভূতি থাকা প্রয়োজন।
সম্প্রসারিত ভাব:শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে মানুষ শিক্ষিত হয়ে উঠে। মানব জীবন সুগঠন ও সুন্দর বিকাশের জন্য শিক্ষা একটি অপরিহার্য বিষয়। শিক্ষা ব্যবস্থার অবকাঠামোর ভিতর দিয়ে শিক্ষা অর্জনের রীতি প্রচলিত রয়েছে। আর এ শিক্ষা অর্জন করেই শিক্ষিত মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে শিক্ষা অর্জিত হলেও শিক্ষার সীমা সেখানে শেষ হয়ে যায় না। শিক্ষার পূর্ণতার দিকে অগ্রসর হতে হলে মানুষকে নিজস্ব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয়। স্বশিক্ষা বা নিজে নিজে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হয় বেশি জ্ঞানের জন্য।
শিক্ষা লাভের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ধাপে ধাপে এগিয়ে শিক্ষার্থীরা সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি অর্জন করে এবং শিক্ষিত হিসেবে পরিচিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। নির্দিষ্ট ডিগ্রি প্রধানের মধ্যেই তার দায়িত্ব শেষ হয়। কিন্তু শিক্ষার পরিধি অনেক বড়। সেই বিশাল পরিধির বিষয়কে কোন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। জ্ঞানের রাজ্য অসীম এবং তা বাঁধাধরা পাঠ্যসূচির মাধ্যমে আয়ত্ব করা চলে না। সে জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে লোক শিক্ষিত নামে পরিচিত হয়। কিন্তু জ্ঞান রাজ্যে বিচরণ করে ব্যাপক শিক্ষা অর্জন করা যায় তা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় সম্ভব নয়। শিক্ষিত লোককে আরও বেশি শিক্ষার জন্য জ্ঞানের রাজ্যে মুক্তভাবে বিচরণ করতে হয়। নিজের উদ্যেগে শিক্ষা অর্জন করে শিক্ষিত ব্যক্তি আরও বেশি শিক্ষিত হয়ে ওঠে। বলা হয়ে থাকে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পরই প্রকৃত শিক্ষা আরম্ভ হয়।’
সিদ্ধান্ত:যথার্থ জ্ঞান অর্জনের জন্য নিজের চেষ্টায় জ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করতে হয়। সুশিক্ষার জন্য নিজের উদ্যেগের প্রয়োজন। স্বশিক্ষার মাধ্যমে সুশিক্ষিত হয়ে ওটা সম্ভব। সে জন্য সারা জীবন ধরে মানুষের জ্ঞান সাধনা চলে। নিজের চেষ্টা-চেতনা এবং অনুশীলনের দ্বারা স্ব-শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব। এটা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জন করা যায় না। এভাবে যারা শিক্ষা অর্জন করে তারাই কেবল প্রকৃত শিক্ষিত।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখ:
মানুষের সুন্দর মুখ দেখে আনন্দিত হয়ো না। স্বভাবে যে সুন্দর নয়, দেখতে সুন্দর হলেও তার স্বভাব, তার স্পর্শ, তার রীতি-নীতিকে মানুষ ঘৃণা করে। দুঃস্বভাবের মানুষ মানুষের হৃদয়ে জ্বালা এবং বেদনা দেয়, তার সুন্দর মুখে মানুষ তৃপ্তি পায় না। অবোধ লোকেরাই মানুষের রূপ দেখে মুগ্ধ হয় এবং তার ফল ভোগ করে। যার স্বভাব মন্দ, সে নিজেও দুষ্ক্রিয়াশীল, মিথ্যাবাদী, দুর্মতিকে ঘৃণা করে। মানুষ নিজে স্বভাবে সুন্দর না হলেও সে স্বভাবের সৌন্দর্যকে ভালোবাসে।
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
(ক) সারাংশ লেখ।
সময় ও স্রোত কারও অপেক্ষায় বসে থাকে না। চিরকাল চলতে থাকে। সময়ের নিকট অনুনয় কর, একে ভয় দেখাও, ভুক্ষেপও করবে না, সময় চলে যাবে আর ফিরবে না। নষ্ট স্বাস্থ্য ও হারানো ধন পূনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু সময় একবার গত হয়ে গেলে আর ফিরে আসে না। গত সময়ের জন্য অনুশোচনা-করা নিখল। যতই কাঁদ না কেন, গতসময় কখনও ফিরে আসবে না।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর।
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।