১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) উত্তরঃ
সারাংশ :বর্তমানে গ্রাম এবং শহরের অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। উৎপাদনের কেন্দ্র গ্রাম হলেও তার সকল সুবিধা ভোগ করছে শহরবাসী। তাই গ্রামের মানুষ একদিকে অনাহারে দিন কাটায় আর অন্যদিকে শহরের মুষ্টিমেয় মানুষ ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকে।
(খ) উত্তরঃ
মূলভাব: মানুষের জীবন গঠনের জন্য বিদ্যা অর্জন অপরিহার্য। জ্ঞানের আলো অজ্ঞতা ও মুর্খতার হাত থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়। বিদ্যার আলোয় আলোকিত না হলে মানুষের জীবন হয়ে যায় অন্ধের জীবনের মত। প্রতি পদক্ষেপে সে অন্ধকারে পথ হাতড়ায়। অন্যদিকে অর্জিত বিদ্যা বা জ্ঞানকে হতে হয় জীবনমুখী। জীবনে বিদ্যা কোন কাজে না এলে তা হয়ে যায় কেতাবি বিদ্যা। বস্তুত, বিদ্যার সাথে জীবনের নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমেই বিদ্যা ও মানব জীবনের সার্থকতা নির্ভরশীল।
সম্প্রসারিত ভাব:বিদ্যা মানব জীবনের অমূল্য সম্পদ। বিদ্যার আলোয় মানুষের জীবনের অজ্ঞানতার অন্ধকার দূর হয়। তা মানুষকে মানুষ হতে সাহায্য করে। বিদ্বানের ভূমিকায় সমাজ ও দেশ হয় সমৃদ্ধির আলোয় আলোকিত। শিক্ষার আলো ব্যক্তির জীবন থেকে যেমন দূর করে সংকীর্ণতার অন্ধকার, তেমনি তা সমাজকেও করে প্রগতির আলোয় আলোকিত। তাই জ্ঞানের আলো যদি জীবনকে আলোকিত না করে তবে সে জীবন ব্যর্থ। বিদ্যার সাথে সম্পর্কহীন জীবন হয়ে পড়ে বিচার-বুদ্ধিহীন। তার চোখ থাকলেও অন্তর-চক্ষু বলে কিছু থাকে না। মানব সন্তান কেবল জন্ম নিয়েই মানুষ হয় না, বিদ্যা অর্জনের সাধনা করেই প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে হয়। অন্যদিকে, বিদ্যার সাথে থাকা চাই জীবনের নিবিড় সম্পর্ক। যে বিদ্যা কেবল সার্টিফিকেট সর্বস্ব তার কোন মূল্য নেই। মানুষ অনেক বড় বড় ডিগ্রি লাভ করে খ্যাতি অর্জন করে। কিন্তু সে বিদ্যাকে মানব জীবনের কল্যাণে কাজে লাগানো না হলে সে ধরনের বিদ্যার কোন সার্থকতা থাকে না। বস্তুত, জীবনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক যে শিক্ষায় সে শিক্ষই প্রকৃত শিক্ষা। যথার্থ বিদ্বান ব্যক্তি জীবনকে সুন্দর ও গতিশীল করার পাশাপাশি সমাজকে উন্নত করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন।
এভাবে বিদ্যাকে কাজে লাগাতে পারলে জ্ঞানের আলোয় সমাজ আলোকিত হয়, দেশ ও জাতি প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে পারে। এভাবে জীবন আর বিদ্যার মিল ঘটাতে পারলেই জীবন সুন্দর হয়ে উঠে। তাতে বিদ্যা অর্জনও সার্থক হয়। তাই ব্যক্তিজীবন ও সমাজ জীবনের আলোময় বিকাশের জন্য চাই জীবন ঘনিষ্ঠ শিক্ষা।
সিদ্ধান্ত :আমাদেরকে অবশ্যই জ্ঞানার্জনের প্রচেষ্টা চালাতে হবে; আর তা হতে হবে জীবনের সাথে সম্পর্কিত বা জীবনঘনিষ্ঠ।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারমর্ম লেখ:
হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়-
এবার কঠিন কঠোর গদ্য আনো
পদ-লালিত্য ঝংকার মুছে যাক,
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো।
প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা-
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি;
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়-
পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
(ক) সারমর্ম লেখ:
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতেই সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে।
(ক) সারাংশ লেখ:
মানুষের সুন্দর মুখ দেখে আনন্দিত হয়ো না। স্বভাবে যে সুন্দর নয়, দেখতে সুন্দর হলেও তার স্বভাব, তার স্পর্শ, তার রীতি-নীতিকে মানুষ ঘৃণা করে। দুঃস্বভাবের মানুষ মানুষের হৃদয়ে জ্বালা এবং বেদনা দেয়, তার সুন্দর মুখে মানুষ তৃপ্তি পায় না। অবোধ লোকেরাই মানুষের রূপ দেখে মুগ্ধ হয় এবং তার ফল ভোগ করে। যার স্বভাব মন্দ, সে নিজেও দুষ্ক্রিয়াশীল, মিথ্যাবাদী, দুর্মতিকে ঘৃণা করে। মানুষ নিজে স্বভাবে সুন্দর না হলেও সে স্বভাবের সৌন্দর্যকে ভালোবাসে।
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
(ক) সারাংশ লেখ।
সময় ও স্রোত কারও অপেক্ষায় বসে থাকে না। চিরকাল চলতে থাকে। সময়ের নিকট অনুনয় কর, একে ভয় দেখাও, ভুক্ষেপও করবে না, সময় চলে যাবে আর ফিরবে না। নষ্ট স্বাস্থ্য ও হারানো ধন পূনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু সময় একবার গত হয়ে গেলে আর ফিরে আসে না। গত সময়ের জন্য অনুশোচনা-করা নিখল। যতই কাঁদ না কেন, গতসময় কখনও ফিরে আসবে না।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর।
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।