১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লেখো:
সবারে বাসিব ভালো, করিব না আত্মপর ভেদ
সংসারে গড়িব এক নতুন সমাজ।
মানুষের সাথে কভু মানুষের রবে না বিচ্ছেদ-
সর্বত্র মৈত্রীর ভাব করিবে বিরাজ।
দেশে দেশে যুগে যুগে কত যুদ্ধ কত না সংঘাত
মানুষে মানুষে হলো কত হানাহানি।
এবার মোদের পুণ্যে সমুদিবে প্রেমের প্রভাত
সোল্লাসে গাহিবে সবে সৌহার্দ্যের বাণী।
অথবা,
(খ) ভাবসম্প্রসারণ করো:
স্বদেশের উপকারে নেই যার মন কে বলে মানুষ তারে? পশু সেই জন।
(ক) উত্তরঃ
সারমর্ম: প্রেম-ভালোবাসা আর সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধনে বিশ্বময় মানুষের মাঝে সুন্দরতম প্রাণের স্পন্দন জাগিয়ে তুলতে হবে। আর তাই সাম্প্রতিক বিশ্ববাসীর দাবি- যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই।
(খ) উত্তরঃ
মূলভাব:
দেশের প্রতি যার ভালোবাসা নেই সেই ব্যক্তি পশুর সমান।
সম্প্রসারিত ভাব:
জন্মভূমি মানুষের একটি পরম পবিত্র মধুময় স্থান। জন্মভূমি স্বর্গের চেয়েও মহীয়ান। ‘জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদদী গরীয়সী।’ জন্মভূমির আলো-বাতাস, ফুল-ফল, মাটি-জল আমাদের জীবনকে বাঁচিয়ে রেখেছে। ‘মিছা মণিমুক্তা হেম, স্বদেশের প্রেম। তার চেয়ে রত্ন নাই আর। দেশের প্রতি ভালোবাসা ইমানের অঙ্গ। সুতরাং দেশকে ভালোবাসা এবং দেশের মঙ্গলের জন্য চেষ্টা করা প্রতেকেরই একান্ত কর্তব্য। দেশ ও জাতির সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করার মধ্যেই নাগরিক জীবনের একটি মহান দিক পরিস্ফুট হয়। স্বদেশের মঙ্গল ও কল্যাণে যিনি উদাসীন, দেশের প্রতি যার কোনো দায়িত্ববোধ নেই বিবেকহীন পশু আর তার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। দেশপ্ৰেম-শূন্য নীচাশয় ব্যক্তিরা কখনোই ভেবে দেখে না যে, দেশের জলাশয় তাদের তৃষ্ণা মিটাচ্ছে, শস্যক্ষেত্র ক্ষুধার অন্ন যোগাচ্ছে, নদ-নদী, হাওর-বাঁওড় মাছের চাহিদা পূরণ করছে, উদ্যানগুলো সুস্বাদু ফল দ্বারা রসনা পরিতৃপ্ত করছে। যে দেশ নানা দিক থেকে এত উপকার করছে সেই দেশের প্রতি যাদের কোনো কর্তব্য ও ভালোবাসা নেই–নিঃসন্দেহে তারা কৃতঘ্ন। মানুষ বিবেকবান পক্ষান্তরে পশু বিবেকহীন। পশুর একমাত্র চিন্তা তার থাকা-খাওয়া ও উদরপূর্তি। দেশপ্রেমহীন মানুষ ও পশুর অনুরূপ তাদের চিন্তা আত্মস্বার্থকেন্দ্রিক। তারা পশুর মতো নির্বোধ ও বিবেচনাহীন। দেশপ্রেম যার নেই তার মধ্যে কখনোই মহত্বের পরিচয় মিলে না।
সিদ্ধান্ত:
স্বদেশপ্রেম এবং স্বদেশের কল্যাণ নাগরিক জীবনের একটি অপরিহার্য উপাদান। স্বদেশের উপকারে যিনি উদাসীন তিনি মানুষ হয়েও পশুতুল্য।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখ:
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা; প্রমানা যাদের হৃদয়ে কোন প্রেম নেই-প্রীতি নেই-করুণার আলোড়ন নেই পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া যাদের গভীর আস্থা আছে আজো-মানুষের প্রতি এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হয় মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।
অথবা, (খ) ভাবসম্প্রসারণ কর:
স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ বৃহৎ জগত হতে সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।
(ক) সারমর্ম লেখ:
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই- প্রীতি নেই-
করুণার আলোড়ন নেই-
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।
যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়
মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে
সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।