১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লেখ:
হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়-
এবার কঠিন কঠোর গদ্য আনো
পদ-লালিত্য ঝংকার মুছে যাক,
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো।
প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা-
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি;
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়-
পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
ক)উত্তর :
সারমর্ম :কাব্যের স্নিগ্ধতা নয়, গদ্যের কঠোরতাই জীবন সংগ্রামে প্রয়োজন। বঞ্চিত, নিপীড়িত শ্রেণির মানুষের জীবনে তাই আজ গদ্যের কঠোরতাই কাম্য। ক্ষুধা আর দারিদ্র্য যাদের জীবনে নিত্যসঙ্গী তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ এবং বঞ্চনার অবসান ঘটানোই কবির প্রত্যাশা।
খ)উত্তর:
মানবসভ্যতার ইতিহাস বলে, মানব সম্প্রদায়ের পদচারণাই নব নব পথের জন্ম দিয়েছে। আগে থেকে পথ সৃষ্টি হয়ে থাকে নি বরং সৃষ্টিশীল মানুষ তার জীবনের গতি অক্ষুন্ন রাখতে নব নব পথের জন্ম দেন। ফলে পথ সৃষ্টি হয়েছে পথিকের মাধ্যমে।
জীবনানন্দ দাশ বলেছেন, “হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে”- একথা বললেও সে পথ কিন্তু পৃথিবীতে তৈরি থাকে না। মানুষ প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে পদচিহ্ন রাখতে রাখতে এক সময় সৃষ্টি হয় পথের। পথ তৈরির ক্ষেত্রে পথের কোনো ভূমিকা থাকে না, এতে মানুষেরই ভূমিকা। কারণ, পথ তৈরিতে ঘোলআনা কৃতিত্ব মানুষের, পথের নয়। পৃথিবীর জমিনে পথিক তার প্রয়োজনেই পথ সৃষ্টি করে নেয়। অর্থাৎ, পথকে আবিষ্কার করে, তেমনি পৃথিবীর যাবতীয় আবিষ্কার মানুষেরই, পূর্বে উপাদান হিসেবে ছিল কিন্তু মানুষ তার নিজস্ব প্রয়োজনে করেছে সৃষ্টি, করেছে আবিষ্কার। পথ যেমন একদিনে সৃষ্টি হয় না, শত মানুষের প্রয়োজনে বার বার পদচারণা করতে করতে যেমন সৃষ্টি হয় পথের, তেমনি বহু মানুষ শ্রম, মেধা ও চেষ্টায় সৃষ্টি হয় নতুন নতুন উপাদন, প্রয়োজনীয় আবিষ্কার। মানুষ তার প্রয়োজনে শ্বাসপদসংকুল বন্ধুর জমিনকে খোদাই করে করে গড়ে তুলেছে পথ, সে পথ বেয়ে এসেছে সভ্যতা। তেমনি শ্রমকর্তব্যনিষ্ঠা ও চেষ্টায় মানুষ গড়ে তুলেছে সুখ-সমৃদ্ধ সভ্য জীবন। মানুষ যখনই কোনো সংকটে পড়েছে, তখনই মানুষের মনন ও শ্রম দিয়ে তা সমাধানের পথ বের করেছে। পথ বা উপায় কখনো এমনিতে সৃষ্টি হয় নি, বা সুলভে মানুষের হাতে এসে ধরা দেয় নি। মানুষকেই আগে পা বাড়াতে হয়েছে, সৃষ্টি হয়েছে উপায়। সুতরাং পথিক অগ্রগামী, পথ অনুগামী।
প্রয়োজনে মানুষ পথ সৃষ্টি করে। গন্তব্য নির্ধারিত হলে সেখানে পৌঁছতেই আমরা নতুন পথ আবিষ্কার করি। তাই লেখক বলেছেন, “পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।”
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখ:
মানুষের সুন্দর মুখ দেখে আনন্দিত হয়ো না। স্বভাবে যে সুন্দর নয়, দেখতে সুন্দর হলেও তার স্বভাব, তার স্পর্শ, তার রীতি-নীতিকে মানুষ ঘৃণা করে। দুঃস্বভাবের মানুষ মানুষের হৃদয়ে জ্বালা এবং বেদনা দেয়, তার সুন্দর মুখে মানুষ তৃপ্তি পায় না। অবোধ লোকেরাই মানুষের রূপ দেখে মুগ্ধ হয় এবং তার ফল ভোগ করে। যার স্বভাব মন্দ, সে নিজেও দুষ্ক্রিয়াশীল, মিথ্যাবাদী, দুর্মতিকে ঘৃণা করে। মানুষ নিজে স্বভাবে সুন্দর না হলেও সে স্বভাবের সৌন্দর্যকে ভালোবাসে।
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
(ক) সারাংশ লেখ।
সময় ও স্রোত কারও অপেক্ষায় বসে থাকে না। চিরকাল চলতে থাকে। সময়ের নিকট অনুনয় কর, একে ভয় দেখাও, ভুক্ষেপও করবে না, সময় চলে যাবে আর ফিরবে না। নষ্ট স্বাস্থ্য ও হারানো ধন পূনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু সময় একবার গত হয়ে গেলে আর ফিরে আসে না। গত সময়ের জন্য অনুশোচনা-করা নিখল। যতই কাঁদ না কেন, গতসময় কখনও ফিরে আসবে না।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর।
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
(ক) সারাংশ লেখ:
এটা স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, পৃথিবীতে যেখানে এসে তুমি থামবে সেখান হতেই তোমার ধ্বংস আরম্ভ হবে, কারণ তুমিই কেবল একলা থামবে, আর কেউ থামবে না। জগৎ প্রবাহের সঙ্গে সমগতিতে যদি চলতে না পারতো প্রবাহের সমস্ত সচল বেগ তোমার ওপর এসে আঘাত করবে, একেবারে বিদীর্ণ বিপর্যন্ত হবে কিংবা অল্পে অল্পে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কালস্রোতের তলদেশে অন্তর্হিত হয়ে যাবে। হয় অবিরাম চল এবং জীবনচর্চা করো, নয় বিশ্রাম করো এবং বিলুপ্ত হও। পৃথিবীর এই রকম নিয়ম।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারমর্ম লেখ:
বিপদে মোরে রক্ষা কর, এ নহে মোর প্রার্থনা-
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে নাই-বা দিলে সান্ত্বনা,
দুঃখ যেন করিতে পারি জয়।
সহায় মোর না যদি জুটে,
নিজের বল না যেন টুটে-
সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি, লভিলে শুধু বঞ্চনা,
নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
'সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ'।