১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লেখ:
বিপদে মোরে রক্ষা কর, এ নহে মোর প্রার্থনা-
বিপদে আমি না যেন করি ভয়।
দুঃখতাপে ব্যথিত চিতে নাই-বা দিলে সান্ত্বনা,
দুঃখ যেন করিতে পারি জয়।
সহায় মোর না যদি জুটে,
নিজের বল না যেন টুটে-
সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি, লভিলে শুধু বঞ্চনা,
নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
'সাহিত্য জাতির দর্পণস্বরূপ'।
(ক) উত্তরঃ
সারমর্ম :
জীবন চলার পথে ঘাত-প্রতিঘাত, বিপদ-আপদ আসবেই। কেবল মানসিক দৃঢ়তাই পারে মানুষকে এগুলাে থেকে উত্তরণ করতে। অন্যের করুণা-নির্ভর না হয়ে সংগ্রামী চেতনা ও আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে মানুষ দুঃখ-কষ্ট, বিপদ-বঞ্চনা মােকাবেলা করতে পারে। এ আত্মশক্তিতে বলীয়ান ব্যক্তিই জীবনে প্রতিষ্ঠা অর্জন করতে পারে
(খ) উত্তরঃ
মূলভাব:সাহিত্যের মাধ্যমে কোন জাতির ধ্যান-ধারনা, চিন্তা-চেতনার প্রকাশ ঘটে। একটি দেশের সামগ্রিক পরিচয় ফুটে উঠে সেই দেশের সাহিত্যে।
সম্প্রসারিত ভাব :সাহিত্যের সাথে মানব জাতির ও সমাজের যোগাযোগ খুবই ঘনিষ্ঠ। জীবন ও সমাজকে নিয়েই সাহিত্য। কবি সাহিত্যিকেরা সমাজের মানুষ। সমাজ জীবনের লদ্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে সাহিত্য রচিত হয়। সে জন্য সাহিত্যে সমাজ জীবনের প্রতিফলন ঘটে। সাহিত্যের এ বৈশিষ্ট্য বিবেচনা করে সাহিত্যকে সমাজের দর্পন বলে অভিহিত করা হয়।
সাহিত্য সমাজকে নিয়ে সমাজের মানুষের জন্য সমাজের মানুষ দিয়ে তৈরী। লেখকেরা তাঁদের চারপাশের জীবন থেকে যে অভিজ্ঞতা লাভ করেন তা তাঁদের লেখায় প্রকাশ করেন। চারদিকে তাঁরা যা দেখেন, যা অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন তার সাথে মনের কল্পনা মাধুরী মিশিয়ে রচিত হয় সাহিত্য। সেজন্য সাহিত্য রচনার মূল উপকরণ মানুষের জীবন তথা সমাজ। লেখকেরা সমাজেরই অধিবাসী। তাঁরা লেখেন মানুষের জন্য। তাঁরা উপকরণ সংগ্রহ করে সমাজের জীবনধারা থেকে। সে জন্য সাহিত্যের মধ্যে যে জীবন বিধৃত হয় তা সমাজের মানুষের সুখ-দুঃখ আনন্দ-বেদনার জীবন। সাহিত্য পাঠ করে এ সমাজ জীবনের পরিচয় পাওয়া যায়। এদিক থেকে সাহিত্য সমাজ জীবনের তথা জাতির দর্পণ। সমাজের মানুষ সাহিত্যের মাধ্যমে নিজের জীবনের প্রতিফলন লক্ষ্য করে। সাহিত্যে জীবনের এ প্রতিফলন ঘটেছে বলে মানুষের কাছে যুগ যুগ ধরে তা সমাদৃত এবং জীবনকে বৈচিত্র্যময় রূপে প্রত্যক্ষ করার উৎস হিসেবে বিবেচিত।
সিদ্ধান্ত :কো
ন জাতির প্রতিনিধিত্ব করে সেই জাতির সাহিত্য। পৃথিবীতে যে জাতির সাহিত্য যত বেশি উন্নত, জাতি হিসেবেও সে জাতি তত বেশি উন্নত।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখ:
মানুষের সুন্দর মুখ দেখে আনন্দিত হয়ো না। স্বভাবে যে সুন্দর নয়, দেখতে সুন্দর হলেও তার স্বভাব, তার স্পর্শ, তার রীতি-নীতিকে মানুষ ঘৃণা করে। দুঃস্বভাবের মানুষ মানুষের হৃদয়ে জ্বালা এবং বেদনা দেয়, তার সুন্দর মুখে মানুষ তৃপ্তি পায় না। অবোধ লোকেরাই মানুষের রূপ দেখে মুগ্ধ হয় এবং তার ফল ভোগ করে। যার স্বভাব মন্দ, সে নিজেও দুষ্ক্রিয়াশীল, মিথ্যাবাদী, দুর্মতিকে ঘৃণা করে। মানুষ নিজে স্বভাবে সুন্দর না হলেও সে স্বভাবের সৌন্দর্যকে ভালোবাসে।
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।
(ক) সারাংশ লেখ।
সময় ও স্রোত কারও অপেক্ষায় বসে থাকে না। চিরকাল চলতে থাকে। সময়ের নিকট অনুনয় কর, একে ভয় দেখাও, ভুক্ষেপও করবে না, সময় চলে যাবে আর ফিরবে না। নষ্ট স্বাস্থ্য ও হারানো ধন পূনঃপ্রাপ্ত হওয়া যায়। কিন্তু সময় একবার গত হয়ে গেলে আর ফিরে আসে না। গত সময়ের জন্য অনুশোচনা-করা নিখল। যতই কাঁদ না কেন, গতসময় কখনও ফিরে আসবে না।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর।
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
(ক) সারাংশ লেখ:
এটা স্মরণ রাখা কর্তব্য যে, পৃথিবীতে যেখানে এসে তুমি থামবে সেখান হতেই তোমার ধ্বংস আরম্ভ হবে, কারণ তুমিই কেবল একলা থামবে, আর কেউ থামবে না। জগৎ প্রবাহের সঙ্গে সমগতিতে যদি চলতে না পারতো প্রবাহের সমস্ত সচল বেগ তোমার ওপর এসে আঘাত করবে, একেবারে বিদীর্ণ বিপর্যন্ত হবে কিংবা অল্পে অল্পে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে কালস্রোতের তলদেশে অন্তর্হিত হয়ে যাবে। হয় অবিরাম চল এবং জীবনচর্চা করো, নয় বিশ্রাম করো এবং বিলুপ্ত হও। পৃথিবীর এই রকম নিয়ম।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।