১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) উত্তরঃ
সারমর্মঃ অনন্ত অসীম মহাকালের কাছে ব্যক্তির কোনো মূল্য নেই। ব্যক্তির জীবনের মহৎ অর্জন ও স্বর্ণতুল্য সৃষ্টিকর্মই মহাকালের কাছে অমরত্ব লাভ করে। ব্যক্তিকে রিক্ত অবস্থায় হারিয়ে যেতে হয় বিস্মৃতির ও শূণ্যতার অতল গহ্বরে। মহাকালের জঠরে চির-বিলীন হওয়ার জন্যেই ব্যক্তির অপেক্ষা।
(খ) উত্তরঃ
মূলভাব:
একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলেই কাউকে সুশিক্ষিত বলা যায় না। সুশিক্ষিত হতে হলে সৃজনশীল জ্ঞান এবং প্রয়ােগ দক্ষতা অর্জন করতে হয়।
সম্প্রসারিত ভাব:শিক্ষা মানুষকে আলােকিত করে। তার চেতনাকে শানিত করে, ন্যায়-অন্যায়বােধ সৃষ্টি করে। আর এ সবকিছুই মানুষকে মনুষ্যত্বসম্পন্ন ব্যক্তিত্বে পরিণত করে। সাধারণভাবে শিক্ষা বলতে আমরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকেই বুঝি। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই মানবজীবনের একমাত্র শিক্ষা নয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের আচার-আচরণ ও কর্মপ্রণালি অনেক সময় বুদ্ধি-বিবেকহীন সাধারণ মানুষের চেয়েও হীন, ক্ষেত্রবিশেষে পশুর মতাে হয়ে থাকে। এজন্য মানুষমাত্রেরই প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে হয়। আর এজন্য প্রয়ােজন হয় স্বীয় উদ্যোগ, প্রচেষ্টা ও নিরলস সাধনা। কেননা নিজস্ব বুদ্ধি-বিবেক প্রয়ােগ করে প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জন করতে না পারলে কেউ সুশিক্ষিত হতে পারে না।
একথা অনস্বীকার্য যে, বর্তমান সময়ের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা মূলত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। এ ধরনের শিক্ষায় পরীক্ষা পাশ কিংবা কতকগুলাে সনদ লাভ করা গেলেও আলােকিত মানুষ হওয়া যায় না। এ ধরনের শিক্ষা প্রকৃত অর্থে জ্ঞানার্জনের জন্য নয় বরং জীবিকা অর্জনের জন্যে। তাই প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় উচ্চ ডিগ্রি লাভ করলেই সুশিক্ষিত হওয়া যায় না। আমাদের সমাজে এমন অনেকে আছেন যারা প্রাতিষ্ঠানিক কোনাে শিক্ষা লাভ না করেই প্রকৃতি ও পরিবেশ এবং সংগ্রামময় জীবন থেকে অনেক কিছু শিখে স্বশিক্ষিত হয়েছেন। তাঁদের জ্ঞান, দর্শন, আচার-আচরণ ও শিক্ষা মানুষকে মুগ্ধ করে। তারা তাদের জ্ঞানের আলােয় চারিদিক আলােকিত করে তােলেন। তাই আমাদের সকলের উচিত সার্টিফিকেট লাভের শিক্ষায় পরিণত না হয়ে জ্ঞানার্জনের শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া।
সিদ্ধান্ত:জীবনের পরিপূর্ণ সত্য উপলব্ধি করার জন্য দরকার সুশিক্ষা। সুশিক্ষাই পারে মানুষের আত্মিক উন্নতি সাধন করতে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখ:
হে মহাজীবন, আর এ কাব্য নয়-
এবার কঠিন কঠোর গদ্য আনো
পদ-লালিত্য ঝংকার মুছে যাক,
গদ্যের কড়া হাতুড়িকে আজ হানো।
প্রয়োজন নেই কবিতার স্নিগ্ধতা-
কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি;
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়-
পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
পথ পথিকের সৃষ্টি করে না, পথিকই পথের সৃষ্টি করে।
(ক) সারমর্ম লেখ:
কোথায় স্বর্গ, কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর?
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতেই সুরাসুর।
রিপুর তাড়নে যখনি মোদের বিবেক পায় গো লয়,
আত্মগ্লানির নরক অনলে তখনি পুড়িতে হয়।
প্রীতি ও প্রেমের পুণ্য বাঁধনে যবে মিলি পরস্পরে,
স্বর্গ আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরই কুঁড়েঘরে।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
রাত যত গভীর হয়, প্রভাত তত নিকটে আসে।
(ক) সারাংশ লেখ:
মানুষের সুন্দর মুখ দেখে আনন্দিত হয়ো না। স্বভাবে যে সুন্দর নয়, দেখতে সুন্দর হলেও তার স্বভাব, তার স্পর্শ, তার রীতি-নীতিকে মানুষ ঘৃণা করে। দুঃস্বভাবের মানুষ মানুষের হৃদয়ে জ্বালা এবং বেদনা দেয়, তার সুন্দর মুখে মানুষ তৃপ্তি পায় না। অবোধ লোকেরাই মানুষের রূপ দেখে মুগ্ধ হয় এবং তার ফল ভোগ করে। যার স্বভাব মন্দ, সে নিজেও দুষ্ক্রিয়াশীল, মিথ্যাবাদী, দুর্মতিকে ঘৃণা করে। মানুষ নিজে স্বভাবে সুন্দর না হলেও সে স্বভাবের সৌন্দর্যকে ভালোবাসে।
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য।