১০ সারাংশ / ভাবসম্প্রসারণ
(ক) সারমর্ম লিখ:-
দৈন্য যদি আসে আসুক, লজ্জা কিবা তাহে
মাথা উঁচু রাখিস।
সুখের সাথী মুখের পানে, যদি না চাহে
ধৈর্য ধরে থাকিস।
রুদ্ররূপে তীব্র দুঃখ যদি আসে নেমে
বুক ফুলিয়ে দাঁড়াস।
আকাশ যদি বজ্র নিয়ে মাথায় পড়ে ভেঙে
ঊর্ধ্বে দু'হাত বাড়াস।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:- সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
ক)উত্তর:জীবনের চলার পথে দুরবস্থা ও বিপর্যয়ে মানুষের ধৈর্য হারানো উচিত নয়। প্রতিকূলতাকে সাহস ও ধৈর্যের সঙ্গে প্রতিহত করাই মানুষের একান্ত করণীয়।
খ)উত্তর:
মূলভাব:শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সুশিক্ষিত হলেই তাকে শিক্ষিত বলা যাবে না। সুশিক্ষিত হতে হলে তার মধ্যে সৃজনশীল অনুভূতি থাকা প্রয়োজন।
সম্প্রসারিত ভাব :শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে মানুষ শিক্ষিত হয়ে উঠে। মানব জীবন সুগঠন ও সুন্দর বিকাশের জন্য শিক্ষা একটি অপরিহার্য বিষয়। শিক্ষা ব্যবস্থার অবকাঠামোর ভিতর দিয়ে শিক্ষা অর্জনের রীতি প্রচলিত রয়েছে। আর এ শিক্ষা অর্জন করেই শিক্ষিত মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। প্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে শিক্ষা অর্জিত হলেও শিক্ষার সীমা সেখানে শেষ হয়ে যায় না। শিক্ষার পূর্ণতার দিকে অগ্রসর হতে হলে মানুষকে নিজস্ব প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হয়। স্বশিক্ষা বা নিজে নিজে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হয় বেশি জ্ঞানের জন্য।
শিক্ষা লাভের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ধাপে ধাপে এগিয়ে শিক্ষার্থীরা সেসব প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি অর্জন করে এবং শিক্ষিত হিসেবে পরিচিত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটা সীমাবদ্ধতা আছে। নির্দিষ্ট ডিগ্রি প্রধানের মধ্যেই তার দায়িত্ব শেষ হয়। কিন্তু শিক্ষার পরিধি অনেক বড়। সেই বিশাল পরিধির বিষয়কে কোন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা যায় না। জ্ঞানের রাজ্য অসীম এবং তা বাঁধাধরা পাঠ্যসূচির মাধ্যমে আয়ত্ব করা চলে না। সে জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে লোক শিক্ষিত নামে পরিচিত হয়। কিন্তু জ্ঞান রাজ্যে বিচরণ করে ব্যাপক শিক্ষা অর্জন করা যায় তা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থায় সম্ভব নয়। শিক্ষিত লোককে আরও বেশি শিক্ষার জন্য জ্ঞানের রাজ্যে মুক্তভাবে বিচরণ করতে হয়। নিজের উদ্যেগে শিক্ষা অর্জন করে শিক্ষিত ব্যক্তি আরও বেশি শিক্ষিত হয়ে ওঠে। বলা হয়ে থাকে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার পরই প্রকৃত শিক্ষা আরম্ভ হয়।’ যথার্থ জ্ঞান অর্জনের জন্য নিজের চেষ্টায় জ্ঞানের রাজ্যে বিচরণ করতে হয়।
সিদ্ধান্ত :সুশিক্ষার জন্য নিজের উদ্যেগের প্রয়োজন। স্বশিক্ষার মাধ্যমে সুশিক্ষিত হয়ে ওটা সম্ভব। সে জন্য সারা জীবন ধরে মানুষের জ্ঞান সাধনা চলে। নিজের চেষ্টা-চেতনা এবং অনুশীলনের দ্বারা স্ব-শিক্ষা অর্জন করা সম্ভব। এটা কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্জন করা যায় না। এভাবে যারা শিক্ষা অর্জন করে তারাই কেবল প্রকৃত শিক্ষিত।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) সারমর্ম লেখ:
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোটো সে তরী
আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি।
শ্রাবণ গগন ঘিরে
ঘন মেঘ ঘুরে ফিরে,
শূন্য নদীর তীরে,
রহিনু পড়ি-
যাহা ছিল নিয়ে গেল সোনার তরী।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
(ক) সারাংশ লেখঃ
বর্তমান সভ্যতায় দেখি, এক জায়গায় একদল মানুষ অন্ন উৎপাদনের চেষ্টায় নিজের সমস্ত শক্তি নিয়োগ করেছে, আর এক জায়গায় আর একদল মানুষ স্বতন্ত্র থেকে সেই অন্নে প্রাণধারণ করে। চাঁদের একপিঠে অন্ধকার, অন্যপিঠে আলো- এ সেই রকম। একদিকে দৈন্য মানুষকে পঙ্গু করে রেখেছে অন্যদিকে ধনের সন্ধান। ধনের অভিমান, ভোগ-বিলাস সাধনের প্রয়াসে মানুষ উন্মত্ত, অন্নের উৎপাদন হয় পল্লিতে, আর অর্থের সংগ্রহ চলে নগরে। অর্থ উপার্জনের সুযোগ ও উপকরণ যেখানেই কেন্দ্রীভূত, স্বভাবতই সেখানে আরাম, আরোগ্য, আমোদ ও শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়ে অপেক্ষাকৃত অল্পসংখ্যক লোককে ঐশ্বর্যের আশ্রয় দান করে। পল্লিতে সেই ভোগের উচ্ছিষ্ট যা- কিছু পৌঁছায় তা যৎকিঞ্চিৎ।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
বিদ্যার সঙ্গে সম্পর্কহীন জীবন অন্ধ এবং জীবনের সঙ্গে সম্পর্কহীন বিদ্যা পঙ্গু।
(ক) সারমর্ম লেখ:
অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দ্যাখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই- প্রীতি নেই-
করুণার আলোড়ন নেই-
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।
যাদের গভীর আস্থা আছে আজো মানুষের প্রতি
এখনো যাদের কাছে স্বাভাবিক বলে মনে হয়
মহৎ সত্য বা রীতি, কিংবা শিল্প অথবা সাধনা
শকুন ও শেয়ালের খাদ্য আজ তাদের হৃদয়।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর:
স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে
সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।
(ক) সারাংশ লেখ:
'মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেহ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে পারিত যে, সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই লাইব্রেরির তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্পির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িযা আছে। ইহারা সহসা যদি বিদ্রোহী হইয়া উঠে, নিস্তব্ধতা ভাঙিয়া ফেলে, অক্ষরের বেড়া দগ্ধ করিয়া একবারে বাহির হইয়া আসে। হিমালয়ের মাথার উপরে কঠিন বরফের মধ্যে যেমন কত কত বন্যা বাঁধা আছে, তেমনি এই লাইব্রেরির মধ্যে মানবহৃদয়ের বন্যাকে বাঁধিয়া রাখিয়াছে।
অথবা,
(খ) ভাব-সম্প্রসারণ কর: স্বার্থমগ্ন যে জন বিমুখ বৃহৎ জগৎ হতে, সে কখনো শেখেনি বাঁচিতে।