বাংলা ভাষার প্রয়োগ -অপপ্রয়োগ (বাক্য শুদ্ধীকরণ)
(ক) বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি ক্রিয়া বিশ্লেষণ চিহ্নিত করো:
ইট বসানো রাস্তা দিয়ে করিম বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ দেখতে পেল চলন্ত বাস থেকে যাত্রীরা লাফিয়ে নামছে। হাঁটা-পথের অনেকেই দৃশ্যটি তাকিয়ে দেখল। কয়েক জনের যায়-যায় অবস্থা। কাঁদো- কাঁদো চেহারার মানুষগুলোকে দেখে করিম মনে কষ্ট পেল।
(ক) উত্তর: বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে নিমোক্ত আট ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
যথা: ১. বিশেষ্য, ২. সর্বনাম, ৩. বিশেষণ, ৪. ক্রিয়া বিশেষণ, ৫. ক্রিয়া, ৬. যোজক, ৭. অনুসর্গ এবং ৮. আবেগ-শব্দ।
বিশেষ্য: যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি, স্থান, দ্রব্যসামগ্রী, গুণ বা অবস্থার নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য বলে। বিশেষ স্থান, কাল ও অবস্থার নামও নির্দেশ করে। যেমন: নজরুল ইসলাম, ঢাকা, বাঘ, সুন্দরবন, দয়া, হাসি।
সর্বনাম: কোনো কিছুর নাম, সংজ্ঞা বা ঐ জাতীয় কোনো পদের পরিবর্তে যে নতুন শব্দ ব্যবহৃত হয় তাই সর্বনাম। অনেক সময় পূর্ববর্তী কোনো প্রসঙ্গের পুনরুক্তি না করে শুধু উল্লেখের জন্য বাক্যে সর্বনাম পদ ব্যবহৃত হয়। ড. মুহাম্মদ এনামুল হকের মতে, "পূর্ববর্তী বাক্য বা বাক্যের মধ্যে ব্যবহৃত বিশেষ্য পদের পরিবর্তে যে পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম পদ বলে।" বাক্যে সাধারণত সর্বনাম পদ বিশেষ্যের মতো ভূমিকা পালন করে। বিশেষ্যের পুরুষ, কারক ও বচনভেদে তার রূপের পরিবর্তন হয়। সর্বনাম পদ অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ্য, বিশেষ্যগুচ্ছ বা বিশেষ্যস্থানীয় বাক্যাংশের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়। যেমন: বিশেষ্যের পরিবর্তে- রাফি একজন ছাত্র। সে দেখতে খুব সুন্দর।
বিশেষণ: যা দ্বারা অন্য শব্দের অর্থকে বিশদ বা সীমিত করে শব্দটিকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষণ বলে। এই শব্দশ্রেণি বিশেষ্যের গুণ, অবস্থা, সংখ্যা বা পরিমাণকে বোঝায়। যেমন: বড় শহর, নতুন বাড়ি, অনেক লোক।
ক্রিয়া: যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনোকিছু করা বা না করা, হওয়া বা না হওয়া ইত্যাদি কোনো কাজ বোঝায়, তাই ক্রিয়া। এটি বাক্যের বিধেয় অংশ গঠন করে এবং বাক্যের কর্তা/উদ্দেশ্য কী করে বা তার কী হয় তা নির্দেশ করে। যেমন: বাগানে ফুল ফুটেছে। বিয়াজ ও নাফিস আগামীকাল আসবে।
ক্রিয়াবিশেষণ: যে শব্দশ্রেণি বাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করে তাই ক্রিয়াবিশেষণ। এটি ক্রিয়ার গুণ, প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য ও অর্থপ্রকাশক শব্দ হিসেবে ভূমিকা পালন করে এবং ক্রিয়ার স্থান, কাল, উপকরণ, তীব্রতা ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থার অর্থগত ধারণা দেয়। ক্রিয়াবিশেষণ সাধারণত কর্ম ও ক্রিয়ার পূর্বে বসে। যেমন: সবাই ভয়ে ভয়ে তার সামনে দাঁড়ালাম।
আবেগ শব্দ: যে শব্দশ্রেণি বাক্যের অন্য কোনো পদের সাথে অন্বয় বা সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়ে মনের গভীর ভাব বা অনুভূতি প্রকাশ করে তাই আবেগ শব্দ। যেমন: হুঁ, বেশ, না, হ্যা প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়।
যোজক: যে শব্দশ্রেণি একটি বাক্যকে অন্য আরেকটি বাক্যের কিংবা একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের সংযোজন, বিয়োজন বা অর্থের অসংকোচন ঘটায় তাই যোজক। যেমন: আঁচল ও নাফিস ভাই-বোন।
অনুসর্গ; যে শব্দ বাক্যে অন্য কোনো পদের পরে বসে পদটিকে বাক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত করে কিংবা বিভক্তির মতো কাজ করে তাকে অনুসর্গ বলা হয়। প্রথাগত ব্যাকরণে এদের কর্মপ্রচনীয়ও বলা হয়ে থাকে। যেমন: আমার জন্যে তুমি আর অপেক্ষা করো না।
(খ).
উত্তর: i. হঠাৎ, ii. লাফিয়ে, iii. তাকিয়ে, iv. যায় যায় অবস্থা, v. কষ্ট।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) নিচের যেকোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখ:
ⅰ) যাবতীয় প্রাণীবৃন্দ এই গ্রহের বাসিন্দা।
ii) তার দু'চোখ অশ্রুজলে ভেসে গেল।
iii) তিনি স্বস্ত্রীক নিউমার্কেটে গিয়েছেন।
iv) ফেলো টাকা মাখো তেল।
v) দৈন্যতা সবসময়ে প্রশংসনীয় নহে।
vi) শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করবো।
vii) উপরোক্ত বাক্যটি শুদ্ধ নয়।
viii) লোকটিকে পূর্ণচন্দ্র দিয়ে বিদায় করে দাও।
অথবা,
(খ) অনুচ্ছেদটি শুদ্ধ করে লেখ:
নুরুল হুদা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। তারা কি করে চেনে? কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের আলমারি সাজিয়ে রাখার সময়কালে এক কুলি দাঁড়িয়েছিল তার গা ঘেঁষে। তখন তো ঘোরতরো বর্ষাকাল, ঢাকাই এবার বৃষ্টিও হয়েছে খুব। রাতদিন এই বৃষ্টি নিয়ে সে কি যেন বলছিল, তাতে কুলিটা ভিড়বিড় করিয়া ওঠে, 'বর্ষাকালেই তো জুত'। কথাটা দুবার বলেছিল। এর মানে কী? স্টাফরুমে কে একজন একদিন না দুদিন ফিসফিস করছিল, বাংলায় বর্ষা তো শালারা জানে না। রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইনটার, আমাদের জেনারেল মনসুন।
(ক) উদাহরণসহ ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) অনুচ্ছেদটি শুদ্ধ করে লেখ:
পুণ্যে মতি হোক। জীবন সুন্দর হবে। গাম্ভীর্য নিস্পৃহ জীবনের নব রূপায়ন। নব রূপের আকস্মিকতা শৈশবের মতো। যাকে কখনো পরাভব করা যায় না।
(ক) বাক্য শুদ্ধ করে লেখ (যেকোনো পাঁচটি):
i) গাছে কাঁঠাল চুলে তেল।
ii) তিনি স্বস্ত্রীক ঢাকায় বাস করেন।
iii) শুধুমাত্র গায়ের জোরে কাজ হয় না।
iv) এ কথা প্রমাণ হয়েছে।
v) খাঁটি গরুর দুধ।
vi) বাংলাদেশ একটি উন্নতশীল রাষ্ট্র।
vii) পূর্বদিকে সূর্য উদয় হয়।
viii) ইহার আবশ্যক নাই।
অথবা,
(খ) অনুচ্ছেদটি শুদ্ধ করে লেখ:
রাসেল ছেলেটি ভয়নক মেধাবী ও বিনয়ী। তার মেধা পরিদর্শন করে সবাই মুগ্ধ। সকল শিক্ষকবৃন্দ মনে করেন, আগামী ভবিষ্যতে সে সাফল্যতা অর্জন করবে। যা ইতিপূর্বে এ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্ভব হয়নি।