উপসর্গ
(ক) "উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে"- প্রমাণ কর।
অথবা,
(খ) প্রত্যয়ের নামসহ প্রকৃতি ও প্রত্যয় নির্ণয় কর। (যে কোনো পাঁচটি):-
মোড়ক, নশ্বর, মেঠো, জেলে, বক্তব্য, মানব, বুদ্ধিমান, মুগ্ধ।
(ক) উত্তরঃ
বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো অব্যয়সূচক শব্দাংশ রয়েছে, যার নিজস্ব কোনো অর্থ নেই, কিন্তু শব্দের আগে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করতে সাহায্য করে তাদের উপসর্গ বলে। উপসর্গের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো- এর নিজস্ব কোনো অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হলে অর্থদ্যোতকতা সৃষ্টি হয়। যেমন:
অ+কাজ= অকাজ
পরি+পূর্ণ = পরিপূর্ণ
প্র+ভাত= প্রভাত
বি+হার= বিহার
নি+খোঁজ= নিখোঁজ
উপর্যুক্ত উদাহরণসমূহে ‘অ’,‘পরি’, ’প্র’, ’বি’, ’নি’ ইত্যাদি শব্দাংশের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই, অথচ ‘কাজ’ শব্দের আগে ‘অ’ উপসর্গটি যুক্ত হলে হয় ‘অকাজ।’ এরকম ‘পূর্ণ’ শব্দের পূর্বে ‘পরি’ উপসর্গ যোগ করায় ‘পরিপূর্ণ’ হলো। ‘ভাত’ শব্দের সঙ্গে ‘প্র’ যুক্ত হয়ে ‘প্রভাত’, ‘হার’ শব্দের সঙ্গে ‘বি’ যুক্ত হয়ে ‘বিহার’, ‘খোঁজ’ শব্দের পূর্বে ‘নি’ উপসর্গ যুক্ত হয়ে ‘নিখোঁজ’ ইত্যাদি বিভিন্ন অর্থে শব্দ তৈরি হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো বিভিন্ন অর্থের দ্যোতক। এখানে উল্লেখ্য যে, নাম বা কৃদন্ত শব্দের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে স্বাধীনভাবে থাকলে উপসর্গের কোনো অর্থ নেই। কিন্তু কৃদন্ত বা নাম শব্দের সঙ্গে যুক্ত হলেই আশ্রিত শব্দকে অবলম্বন করে বিশেষ অর্থদ্যোতকতা সৃষ্টি করে।
অর্থাত্ উপসর্গের নিজস্ব কোনো অর্থ না থাকলেও অন্য শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তা শব্দের অর্থের পরিবর্তন, সমপ্রসারণ বা সংকোচন করতে পারে। অতএব, আমরা বলতে পারি ‘উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে।’
(খ) উত্তরঃ
গঠিত শব্দ | প্রকৃতি + প্রত্যয় | প্রত্যয়ের নাম |
|---|---|---|
মোড়ক | মুড় + অক | কৃৎ প্রত্যয় |
নশ্বর | নশ্ + বর | কৃৎ প্রত্যয় |
মেঠো | মাঠ + উয়া > ও | তদ্ধিত প্রত্যয় |
জেলে | জাল + ইয়া | তদ্ধিত প্রত্যয় |
বক্তব্য | বচ্ + তব্য | কৃৎ প্রত্যয় |
মানব | মনু + অ | তদ্ধিত প্রত্যয় |
বুদ্ধিমান | বুদ্ধি + মতুপ | তদ্ধিত প্রত্যয় |
মুগ্ধ | মুহ্ + ত | কৃৎ প্রত্যয় |
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই