বাংলা ভাষার প্রয়োগ -অপপ্রয়োগ (বাক্য শুদ্ধীকরণ)
(ক) উদাহরণসহ বিশেষণ পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করো।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত করো:
পদ্মা সেতু আর মেট্রোরেল বাংলাদেশের দুটি যুগান্তকারী সাফল্য। প্রমত্তা পদ্মার বুকে অভাবনীয় গৌরবের প্রতীক পদ্মা সেতু। পক্ষান্তরে মেট্রোরেল ঢাকা মহানগরীর দুর্বিষহ যানজট নিরসনে নতুন সংযোজন। গৌরবময় এই দুটি সাফল্য জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে সুদৃঢ় সাহস আর আত্মবিশ্বাসে জাগ্রত করেছে।
(ক) উত্তরঃ
যে শব্দশ্রেণি অন্য শব্দের অর্থকে বিশদ বা সীমিত করে শব্দটিকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষণ বলে। যেমন: লাল টুপি। সুন্দর বাগান ইত্যাদি। বিশেষণ দুইভাগে বিভক্ত। যথা: ১. নাম বিশেষণ, ২. ভাব বিশেষণ।
১. নাম বিশেষণ:
যেসব বিশেষণ অন্য কোনো বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষিত করে অর্থাৎ গুণ, দোষ, অবস্থা, সংখ্যা ও পরিমাণ বোঝায়, সেগুলোকে 'নাম বিশেষণ' বলে। যেমন: • বিশেষ্যের বিশেষণ অনেক মাছ উঠেছে আজ বাজারে। • সর্বনামের বিশেষণ তিনি রূপবান ও গুণবান।
২. ভাব বিশেষণ:
যেসব বিশেষণ বিশেষ্য ও সর্বনাম ছাড়া অন্য শব্দশ্রেণিকে বিশেষিত করে অর্থাৎ অবস্থা, সময় ও ভাব বোঝায়, সেগুলোকে ভাব বিশেষণ বলে। ভাব বিশেষণ দুই প্রকার। যথা: • ক. ক্রিয়া বিশেষণ ও • খ. বিশেষণের বিশেষণ।
ক. ক্রিয়া বিশেষণ: বাংলায় যে শব্দশ্রেণি ক্রিয়া সংঘটনের ভাব, কাল বা রূপ নির্দেশ করে তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে।
যেমন: • ক্রিয়া সংঘটনের ভাব: আস্তে আস্তে পানি বাড়ে। • ক্রিয়া সংঘটনের কাল পরে একবার এসো।
খ. বিশেষণের বিশেষণ: যে বিশেষণ অন্য বিশেষণকে বিশোষিত করে তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে।
যেমন: • নাম বিশেষণের বিশেষণ: এই কারণে সে অতিশয় মর্মাহত। • ক্রিয়া বিশেষণের বিশেষণ: রকেট অতি দ্রুত চলে।
(খ) উত্তর:
(i) দুটি; (ii) যুগান্তকারী; (iii) প্রমত্তা; (iv) অভাবনীয়; (v) দুর্বিষহ; (vi) নতুন; (vii) গৌরবময়; (viii) সুদৃঢ়।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) নিচের যেকোনো পাঁচটি বাক্য শুদ্ধ করে লেখ:
ⅰ) যাবতীয় প্রাণীবৃন্দ এই গ্রহের বাসিন্দা।
ii) তার দু'চোখ অশ্রুজলে ভেসে গেল।
iii) তিনি স্বস্ত্রীক নিউমার্কেটে গিয়েছেন।
iv) ফেলো টাকা মাখো তেল।
v) দৈন্যতা সবসময়ে প্রশংসনীয় নহে।
vi) শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করবো।
vii) উপরোক্ত বাক্যটি শুদ্ধ নয়।
viii) লোকটিকে পূর্ণচন্দ্র দিয়ে বিদায় করে দাও।
অথবা,
(খ) অনুচ্ছেদটি শুদ্ধ করে লেখ:
নুরুল হুদা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। তারা কি করে চেনে? কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের আলমারি সাজিয়ে রাখার সময়কালে এক কুলি দাঁড়িয়েছিল তার গা ঘেঁষে। তখন তো ঘোরতরো বর্ষাকাল, ঢাকাই এবার বৃষ্টিও হয়েছে খুব। রাতদিন এই বৃষ্টি নিয়ে সে কি যেন বলছিল, তাতে কুলিটা ভিড়বিড় করিয়া ওঠে, 'বর্ষাকালেই তো জুত'। কথাটা দুবার বলেছিল। এর মানে কী? স্টাফরুমে কে একজন একদিন না দুদিন ফিসফিস করছিল, বাংলায় বর্ষা তো শালারা জানে না। রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইনটার, আমাদের জেনারেল মনসুন।
(ক) বাংলা ভাষার শব্দ শ্রেণিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি ক্রিয়া বিশ্লেষণ চিহ্নিত করো:
ইট বসানো রাস্তা দিয়ে করিম বাড়ি ফিরছিল। হঠাৎ দেখতে পেল চলন্ত বাস থেকে যাত্রীরা লাফিয়ে নামছে। হাঁটা-পথের অনেকেই দৃশ্যটি তাকিয়ে দেখল। কয়েক জনের যায়-যায় অবস্থা। কাঁদো- কাঁদো চেহারার মানুষগুলোকে দেখে করিম মনে কষ্ট পেল।
(ক) উদাহরণসহ ক্রিয়াপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) অনুচ্ছেদটি শুদ্ধ করে লেখ:
পুণ্যে মতি হোক। জীবন সুন্দর হবে। গাম্ভীর্য নিস্পৃহ জীবনের নব রূপায়ন। নব রূপের আকস্মিকতা শৈশবের মতো। যাকে কখনো পরাভব করা যায় না।
(ক) নিচের অনুচ্ছেদের অপপ্রয়োগ সংশোধন করো:
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা বিচিত্রময়। তার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি যেমন 'বিদ্রোহী' কবিতা, তেমনি অশ্রুজলে ভেজা অনেক বিরহের গানও তিনি লিখেছেন। তার সৃষ্টিকর্ম বাংলা ভাষাকে বৈচিত্রভাবে সমৃদ্ধ করেছে। সব শিশুরা নজরুলের কবিতা ভালোবাসে। কবির প্রতি আমাদের অকুণ্ঠ শ্রদ্ধাঞ্জলী।
অথবা,
(খ) নিচের বাক্যগুলো শুদ্ধ করে লেখো:
i. সাধারণ ভুল বুঝতে না পারা লজ্জস্কর।
ii. পড়ালেখার প্রতিযোগীতা থাকা ভালো।
iii. দৈন্যতা কোনোকালেই প্রশংসনীয় নয়।
iv. মামলা চালাতে গিয়ে লোকটি সর্বশান্ত হলো।
v. ভূল লিখতে ভুল করো না।
vi. সব পাখিগুলো উড়ে চলে গেল।
vii. বাংলাদেশ একটি উন্নতশীল দেশ।
viii. মেয়েটি বিদ্যান কিন্তু ঝগড়াটে।