৩।বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি(৫)
(ক) আবেগ শব্দ কাকে বলে? আবেগ শব্দের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করো।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি যৌগিক ক্রিয়া চিহ্নিত করো।
"চাহিয়া দেখিলাম- হঠাৎ কিছু বুঝিতে পারিলাম না। প্রথমে মনে করিলাম, ওয়েলিংটন হঠাৎ বিড়ালত্ব প্রাপ্ত হইয়া আমার নিকট ভিক্ষা করিতে আসিয়াছে। প্রথম উদ্যমে, পাষাণবৎ কঠিন হইয়া, বলিব মনে করিলাম যে, ডিউক মহাশয়কে ইতিপূর্বে (ইতঃপূর্বে) যথোচিত পুরস্কার দেওয়া গিয়াছে, এক্ষণে আর অতিরিক্ত পুরস্কার দেওয়া যাইতে পারে না।"
(ক).
উত্তর: যে শব্দ বাক্যের অন্য শব্দের সাথে সম্পর্ক না রেখে স্বাধীনভাবে ভাব প্রকাশে সহায়তা করে তাকে আবেগ শব্দ বলে।
যেমন: আরে, তুমি আবার কখন এলে!
উঃ, ছেলেটির কী কষ্ট!
নিচে আবেগ শব্দের প্রকারভেদ উল্লেখ করা হলো:
ক. সিদ্ধান্তবাচক আবেগশব্দ: যেসব শব্দ দ্বারা অনুমোদন, সম্মতি, সমর্থন ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করা হয় সেসব শব্দকে সিদ্ধান্তবাচক আবেগশব্দ বলা হয়। যেমন: উদ্বু, ওটা ধরবে না। বেশ, তোমার কথাই মানলাম।
খ. প্রশংসাবাচক আবেগশব্দ: যেসব শব্দ প্রশংসা বা তারিফের মনোভাব
প্রকাশ করে সেসব শব্দকে প্রশংসাবাচক আবেগশব্দ বলে। যেমন: শাবাশ! চমৎকার রেজাল্ট করেছ। বাঃ! তোমার জামাটা খুব সুন্দর।
গ. বিরক্তিবাচক আবেগশব্দ: অবজ্ঞা, ঘৃণা, বিরক্তি ইত্যাদি মনোভাব যেসব শব্দ দ্বারা প্রকাশ করা হয় সেসব শব্দকে বিরক্তিবাচক আবেগশব্দ বলে। যেমন: ছিঃ! এমন কাজটা তুমি করতে পারলে। কী অসহ্য, আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব!
ঘ.ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগশব্দ: যেসব শব্দ দ্বারা আতঙ্ক, যন্ত্রণা, কাতরতা ইত্যাদি প্রকাশ পায় সেসব শব্দকে বলা হয় ভয় ও যন্ত্রণাবাচক আবেগশব্দ। যেমন: উঃ কী যে যন্ত্রণা। ও মা! কী অন্ধকার।
ঙ. বিস্ময়বাচক আবেগশব্দ: এ ধরনের আবেগশব্দ বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার মনোভাব প্রকাশ করে। যেমন: আরে তুমি তাহলে এসেই পড়েছ! তাই! ও ফিরে এসেছে?
চ. করুণাবাচক আবেগশব্দ: যেসব শব্দ দ্বারা করুণা বা সহানুভূতিমূলক মনোভাব প্রকাশ পায় সেসব শব্দকে বলা হয় করুণাবাচক আবেগশব্দ। যেমন: আহা! ছেলেটার মা-বাবা কেউ নেই। হায়! হায়! এখন সে যাবে কোথায়।
ছ. সম্বোধনবাচক আবেগশব্দ: এ ধরনের আবেগশব্দ সম্বোধন বা আহ্বান করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমন: হে মহান, তোমাকে
অভিবাদন। ওরে, যানে। আলংকারিক আবেগশব্দ: যেসব আবেগশব্দ বাক্যের অর্থের জ.
কোনোরকম পরিবর্তন না ঘটিয়ে কোমলতা, মাধুর্য ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য এবং সংশয়, অনুরোধ, মিনতি ইত্যাদি মনোভাব প্রকাশের জন্য অলংকার হিসেবে ব্যবহৃত হয় সেসব শব্দকে বলা হয় আলংকারিক আবেগশব্দ। যেমন: মা. গো মা! এমন রসিকতাও কেউ করো! দূর পাগল! এসব নিয়ে অত ভাবতে নেই।
অথবা,
(খ)
উত্তর: i. চাহিয়া দেখিলাম; ii. বুঝিতে পারিলাম; iii. করিতে আসিয়াছে; iv. দেওয়া গিয়াছে; v. দেওয়া যাইতে পারে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
(ক) বিশেষণ পদ কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষণ পদের শ্রেণিবিভাগ দেখাও।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের পদ নির্দেশ কর:
চাকরি করে অন্যায় পয়সায় ধনী হওয়ার লোভ রাখ? তার চেয়ে মুদি দোকানি ভালো। মুদির পয়সা পবিত্র।
অনেক যুবক থাকতে পারে, যারা মনে করে কোনো রকমে একটা চাকরি সংগ্রহ করে সমাজের ভেতর আসন প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই হলো।
চুরির সাহায্যেই হোক অথবা অসৎ উপায় অবলম্বন করেই হোক, ক্ষতি নেই।
(ক) বিশেষ্যপদ কাকে বলে? উদাহরণসহ বিশেষ্যপদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নিম্নরেখ যেকোনো পাঁচটি শব্দের ব্যাকরণিক শব্দ নির্দেশ কর:
ⅰ) আজ নয় কাল সে আসবেই।
ii) বাবা রাতে ভাতের বদলে রুটি খান।
iii) লোকটি ধনী কিন্তু কৃপণ।
iv) আমাদের যাত্রা সমুদ্র অভিমুখে।
v) যথা ধর্ম তথা জয়।
vi) মোদের গরব মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।
ii) শাবাশ! দারুণ খেলেছে আমাদের ছেলেরা।
viii) তিনটি ফুল আর অনেক পাতা।
(ক) উদাহরণসহ সর্বনাম পদের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা কর।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি বিশেষণ পদ চিহ্নিত কর:
আজ সাদা মেঘে আকাশ ছেয়ে আছে। হঠাৎ টিপটিপ বৃষ্টি শুরু হল। করিম ভাঙা ছাতা দিয়ে বৃষ্টি ঠেকানোর বৃথা চেষ্টা করছিল। তার বেখেয়ালি মন হালকা বৃষ্টি আর মৃদু হাওয়ায় অস্থির হয়ে উঠল।
(ক) যোজক কাকে বলে? যোজক কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লেখ।
অথবা,
(খ) নিচের অনুচ্ছেদ থেকে পাঁচটি ক্রিয়া বিশেষণ শনাক্ত কর:-
'বাবা সকালে দ্রুত বেরিয়ে গেছেন। তখন টিপটিপ বৃষ্টি পড়ছিল। ঘরে বসে একমনে টিভি দেখছিল ছোটবোন। এসময় কেউ টিভিতে গুনগুনিয়ে গান করছিল। হঠাৎ বাবা এসে বললেন, তাঁর চশমাটা চট করে খুঁজে দিতে।