পাঠ- ৪ :মুইজউদ্দিন মুহম্মদ ঘোরির উত্তর ভারত অভিযান: তরাইনের (প্রথম ও দ্বিতীয়) যুদ্ধ
আহমদ শাহ ১৭৪৮ খ্রিষ্টাব্দে সিরহিন্দ আক্রমণ করেন কিছু সিরহিন্দের শাসক মইন-উল-মূলক মানপুরের প্রথম যুদ্ধে তাকে পরাজিত করেন। আহমদ শাহ ১৭৪৯ খ্রিস্টাব্দে শক্তিশালী বাহিনী নিয়ে ২য় যুদ্ধে সিরহিন্দের শাসনকর্তাকে পরাজিত করেন। আহমদ শাত বিজয়ী অঞ্চলে তার সেনাপতিকে দায়িত্ব প্রদান করে রাজধানীতে প্রত্যাবর্তন করেন।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
অটোমান সুলতান দ্বিতীয় মুরাদ ইউরোপীয় রাষ্ট্রবর্গের সম্মিলিত শক্তির নেতৃত্বদানকারী হাঙ্গেরির বিখ্যাত সেনাপতি হুনিয়াদির কাছে যুদ্ধে হেরে যান এবং সন্ধি করতে বাধ্য হন। পরে ইউরোপীয় শক্তিবর্গ সন্ধি ভঙ্গ করেন এবং ভার্না নগরী অবরোধ করেন। সুলতান মুরাদ হুনিয়াদিকে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার জন্য চল্লিশ হাজার সৈন্য নিয়ে ভার্নায় উপস্থিত হন। ১৪৪৪ খ্রিস্টাব্দে উভয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়। হুনিয়াদি পরাস্ত হন এবং হাঙ্গেরির রাজা নিহত হন। এভাবে সুলতান মুরাদ প্রথম যুদ্ধে চুনিয়াদির কাছে হেরে যাওয়ার প্রতিশোধ নিলেন। ফলে উত্তর ইউরোপীয় অটোমান অংশ আশঙ্কামুক্ত হলো।
ট্রান্স অক্সিয়ানার চাগতাই তুর্কি শাসক তৈমুর লং একজন বিশ্ববিখ্যাত সমর কুশলী শাসক ছিলেন। তার রাজ্য বিজয়ের মধ্যে এশিয়া অভিযান ছিল উল্লেখযোগ্য ঘটনা। মধ্য এশিয়ার রাজনৈতিক গোলযোগ তাকে অভিযান আগ্রহী করে তুলে। এ সময় মধ্য এশিয়াতে অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের উদ্ভব ঘটে এবং তারা পরস্পর কলহে লিপ্ত থাকত। তিনি বিখ্যাত কয়েকটি যুদ্ধ জয়ের মাধ্যমে কাবুল, কান্দাহার ও হিরাত দখল করেন এবং সাম্রাজ্যের আয়তন বৃদ্ধি করেন।
জনাব আলতাফ অনেকগুলো অঞ্চল জয় করেছিলেন। অবশেষে তিনি চেয়েছিলেন একটি স্থায়ী রাজ্য প্রতিষ্ঠার। আলতাফের সৈন্যরা প্রতিপক্ষের বহু সৈন্য এবং রাজন্যবর্গকে হত্যা করেছিল। ফলে প্রতিপক্ষ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জনাব আলতাফের প্রতিপক্ষ ছিল অন্য ধর্মাবলম্বী। যদি এ যুদ্ধে আলতাফ বাহিনী হেরে যেত, তবে সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা কোনোভাবেই সম্ভব হতো না।