মৌলিক মানবিক চাহিদার ধারণা ও বর্তমান পরিস্থিতি
আবদুল জব্বার তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনশীল ব্যক্তি। পরিবারের ৫ জন সদস্যের মুখে খাবার ও শরীরে পরিধেয় সামগ্রী তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। অন্যদিকে ২ জন স্কুলে যাবার উপযোগী মেয়েকে অভাবের কারণে স্কুলে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া স্ত্রী এক ধরনের। জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও আবদুল জব্বার ডাক্তার ও ঔষধ-পথ্যের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। সেজন্য তাকে অন্যের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
রহিম আট সন্তানের জনক। পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি ছোট ঘরে বাস করেন। অর্থের অভাবে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছেন না। তাছাড়া পরিবারের কোন সদস্য অসুস্থ হলে তাকে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হয় না। এমনকি তার পরিবারে অবসর সময় কাটানোর কোন ব্যবস্থাও নেই।
চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পড়েছে। এর ফলে আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধিতে সাধারণ দিনমজুর বশিরের মতো স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো খাদ্য সংকট, স্বাস্থ্য ঝুঁকি, শিক্ষার বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দিনাতিপাত করছে। সরকার বিভিন্ন মাধ্যমে পরিস্থিতি উত্তরণে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
অপর্ণা অত্যন্ত মেধাবী একজন শিক্ষার্থী। লেখা-পড়ায় তার অন্তহীন আগ্রহ কিন্তু খাওয়া-দাওয়ায় ততটা নয়। খাবারের প্রতি প্রচণ্ড অনীহা দেখে তার বাবা তাকে বলেন, সুষম আহার আমাদের শারীরিক বৃদ্ধি-বিকাশের জন্য যেমন প্রয়োজন তেমনি কর্মশক্তি, কর্মপ্রেরণা লাভে ও মেধার বিকাশের এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এমনকি মনস্তাত্ত্বিক ভারসাম্য বজায় রাখতেও এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
চা বিক্রেতা মাহতাবের আট সন্তান। সারাদিন চা বিক্রি করে যা পায় তা দিয়ে কোন রকমে ভরণপোষণের ব্যবস্থা হয়। মাহতাব ছেলে মেয়েদের থাকার জন্য আলাদা কোন ঘরের ব্যবস্থা করতে পারে না, আবার অসুখ-বিসুখেও ভালো ডাক্তার দেখাতে পারে না। বেতন দিতে পারে না বলে কোন ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠায়নি। এমনকি বাসায় রেডিও টেলিভিশনেরও কোন ব্যবস্থা নেই। ফলে তাদের স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে।