মমতাদি
অকালে স্বামী হারিয়ে দুটি সন্তান নিয়ে দিশেহারা নাসিমা । জীবন-জীবিকার তাগিদে সহায়সম্বলহীন নাসিমা পাশের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ নেয়। সকাল থেকে রাত অবধি কাজ করলেও গৃহকর্ত্রীর সন্তুষ্টি সে অর্জন করতে পারে না। একটু ভুল করলেই তিরস্কার সইতে হয় তাকে। কোনোরকম বেঁচে থাকার জন্য সে সবকিছু নীরবে সহ্য করে।
Ai এর মাধ্যমে
১০ লক্ষ+ প্রশ্ন ডাটাবেজ
প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করে ফেলো
উত্তর দিবে তোমার বই থেকে ও তোমার মত করে।
সারা দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজের অবস্থান যাচাই
রহিমা বেগম তার সংসারে অভাবের জন্য কাজ নেয় পাশের বাড়িতে। তারা তাকে যথেষ্ট সম্মান করে এবং বাড়ির ছোটোরা তাকে বড়ো বোনের মর্যাদা দেয়। বাড়ির গৃহিণী তাকে সম্মানের চোখে দেখে। রহিমা অভাবের কারণে কাজ করলেও আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে আছেন।
দশ বছরের গৃহপরিচারিকা সুমাইয়া আক্তারের পুরো শরীরে খুন্তির ছ্যাঁকা, মারধরের ক্ষতচিহ্ন দেখতে হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে। কুমিল্লায় নির্যাতনের শিকার মেয়েটির শরীরের নিচের অংশ গরম পানিতে ঝলসে গেছে। গত তিন জানুয়ারি রাতে কুমিল্লা শহরতলির ধর্মপুর এলাকায় বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে সে লাফিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গৃহকর্ত্রী তাহমিনা তুহিনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একটি সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্ত্রীর কাছে আমরা এ ধরনের অমানবিক আচরণ প্রত্যাশা করিনি। যদিও সেই অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দাবি করেছেন, ঘটনার সময় তিনি বাইরে ছিলেন এবং তার স্ত্রী এ ধরনের আচরণ করেননি । এটিকে দুর্ঘটনা বলে অজুহাত দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
গৃহকর্মী আসমা অনলাইনে কেক বানানো শিখেছে। শিহাব এর জন্ম দিনে সে কেক বানায় । শিহাবের মা দেখে বলে 'বাহ! চমৎকার হয়েছে। শিহাব বলল পুরো কেকটা আমি একাই খাব। আসমার চোখে পানি এসে গেল । বলল, ‘তাহলে আমি কৃতার্থ হব ।’
সম্প্রতি ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রফিকের পায়ে পুলিশের গুলিবিদ্ধ হওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় সম্মুখীন হয় তারই স্ত্রী ২০ বছর বয়সি সখিনা। স্বামীর ছোটো ব্যাবসা থাকলেও বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তরিতরকারি কেনা ও দুই ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাড় করতে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই সংসারের আয়ের কথা ভেবে সে এক ফ্ল্যাটে বুয়ার কাজ নেয়। আশানুরূপ পারিশ্রমিক ঠিক হওয়াতে সে কাজ করে মনোযোগ সহকারে। কিন্তু গতকালকে ওই বাসার আট বছরের ছোটো ছেলেকে স্নেহের দৃষ্টিতে হাত ধরাতে ছেলেটির মা রেগে যান এবং সে আর যেন কাজ করতে না আসে তা জানিয়ে দেন। সখিনা মর্মাহত হয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন।